Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে প্রদীপ গুপ্ত (পর্ব - ১৯)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে প্রদীপ গুপ্ত (পর্ব - ১৯)

সুন্দরী মাকড়সা

ঘরের দরজা খুলতে খুলতে ঋষি একটু ঘুরিয়েই স্নেহাকে বললো, -- আজ কিন্তু কপালে ঘুম নেই স্নেহা, বসে বসে গল্প করতে করতেই রাত কাটাতে হবে। -- কেন? -- দুজনে এক খাটে শোবো কীভাবে? তাছাড়া, আমার তো কোনো সঙ্গী সাথী নেই যে ঘরে ডাবল বেডের বিলাসিতা করবো। তাছাড়া ঘরে বড় খাট পাতার মতো জায়গাই বা কোথায়? ঘরে ঢুকে আলো জ্বাললো ঋষি। স্নেহা দরজার বাইরে জুতোটা রেখে ঘরে ঢুকে চারদিকে নজর বুলিয়ে ঘরটাকে মেপে নিলো। --- নো প্রবলেম। চেয়ার আছে তো। চেয়ারে বসে টেবিলে মাথা দিয়েই তো ঘুমোই রোজ। যাকগে, তোয়ালেটা দাও, ফ্রেস হয়ে আসি। তোমার একটা কাচা শার্ট আর পাজামা দাও দেখি চটপট। ঋষি আলমারির পাল্লা খুলে একটা পাজামা আর একটা ফুলশার্ট বের করে স্নেহার দিকে এগিয়ে ধরলো। স্নেহা বাথরুমের দিকে গেলে ঋষি অগোছালো টেবিলটাকে একটু গোছাতে গিয়েই থমকে দাঁড়িয়ে পড়লো। টেবিলের ওপর একটা সাদা পাতায় লাল কালিতে লেখা রয়েছে -- " দুজনে মিলেই মরবি বলে ঠিক করলি? "

ঋষির মিনিট দুয়েক লাগলো ধাতস্থ হতে। ও তাড়াতাড়ি কাগজটাকে মুঠোর মধ্যে নিয়ে ওটাকে দলা পাকিয়ে জানালার কাছে গিয়ে জানালার পাল্লা খুলে কাগজের দলাটা ছুঁড়ে ফেলতে গিয়ে ফের থমকে গেলো। গতকাল যে জায়গাটায় মহিলাটির মৃতদেহ পড়েছিলো, ঠিক সে জায়গাটায় একটা ধূসর রঙের বেড়াল সমানে আঁচড়ে যাচ্ছে। ঋষি একটা বাচ্চা ছেলের মতো একদৃষ্টে বেড়ালটার দিকে তাকিয়ে রইলো। ঋষি মনে মনে প্রবলভাবে চাইছে যে বেড়ালটা কিছু একটা টেনে হিঁচরে বের করুক। হাতের কাগজের দলাটা বে- খেয়ালে কখন যে মেঝেতে পড়ে গেছে ঋষি টেরও পায় নি।

স্নানঘর থেকে ঘরে পা দিয়েই স্নেহা বলে উঠলো - বাহ্, জানালা দিয়ে কী অপূর্ব হাওয়া আসছে ঋষি! সবকটা জানালা খুলে দাও না প্লিজ।

চলবে

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register