Mon 22 September 2025
Cluster Coding Blog

গদ্যের পোডিয়ামে অমিতাভ সরকার

maro news
গদ্যের পোডিয়ামে অমিতাভ সরকার

চিন্তার ২৪ পরগণায়

  ১ কাল আমার জন্মদিন নয়। শংসাপত্রে ভুল তারিখ দেওয়া আছে। আসল তারিখ আরও দুবছর পাঁচ মাস সাত দিন আগে। তাই আমাকে কেউ শুভেচ্ছা জানাবেন না। আসলে সাহিত্যিকের প্রতিদিনই তো নতুন করেই জন্মলাভ হয়, তাদের সৃষ্টির মাধ্যমে। ২ মিষ্টি খেতে আমার খুব ভালো লাগে। ছেলের পছন্দ ডিম। কোনোটাতেই বেশি কষ্ট নেই। কথার হাড় চিবতে হলে তখন বোঝা যেত কত ধানে কত চাল।   ৩ চিনতে পেরেছেন! আমি। আপনার সাথে অফিসে আলাপ। তারপর মেলা। তারপর... না, আর নেই। এবারের চেনাটা লেখা দিয়েই। কলেজ স্ট্রিট পাতাটা ভালো, ওই পাতাতে তো রবিবার লেখেনই। বই আলোচনা। আমি দেখি। আমার 'অচেনা সময়ের কাব্য', 'পথ চলা' দিয়েছিলাম। তখনই তো আপনাকে প্রথম দেখা। আজকে আপনার বই মেলা লেখাটাও পড়লাম। সহজ সাবলীল লেখার মধ্যে দিয়ে বইয়ের দেশে চলে গেলাম। গেলাম তো গেলাম,  আটকে পড়লাম। আর বেরোনো হলো কই!   রাত হল। বিশ্রাম করুন। কাল আবার কাজ...। প্রণাম নেবেন।   যদি কখনও ...   কেউ...   ৪ একদম এইভাবে কথা বলবেন না। যে ভাষা বলছেন, সেটার মানে বোঝেন! এই নামে কি আপনার বাবা কোনোদিন আপনাকে ডাকতেন, না আপনার ঠাকুর্দা আপনার বাবাকে... বলেননি তো! তাহলে আপনি কেন এ বয়সে...! সুস্থ মাথায় ভেবে দেখুন। জানেন কি এর জন্য আড়ালে-আবডালে আপনাকে নিয়ে চটুল আসর বসে, ঠিক আপনি যেমন আমাকে নিয়ে...! আসলে নিজেকে আপনি যত চালাকই ভাবুন না কেন, সব কথা ঠিকই কানে আসে। যাদের কাছে আমার নামে বিষাক্ত সব খিল্লি করেন, তারাই আবার আমাকে এসে এ সবকিছুই বলে দেয়। তাই বলি যে, বেশি কথা বলবেন না। এত বেশি বকলে আয়ুক্ষয় হয়। আর চিৎকার করলে প্রেসারটাও। আপনি বোকা তাই বোঝেন না। মেজাজটা আপনার বাড়ির ভ্যাটে ফেলে আসুন। ভালো না লাগলে এড়িয়ে চলুন, অভদ্রতা অপেক্ষা মৌনতা সহস্র গুণে শ্রেয়। মনে রাখবেন, আমরা কিন্তু এস এস সি দিয়েই এসেছি। আর হ্যাঁ, কেউই কিন্তু সাদা খাতা জমা দিইনি। আপনিও তো মনে হয়... তা হলে কেনই বা! ৫ খাতা-পেনে লেখা উঠে গেছে। ফোনেই সব চলে। এই তো সেদিন। স্টোরেজ ক্লিন করতে গিয়ে চল্লিশটা গল্প ডিলিট হয়ে গেছে। খুবই খারাপ লাগছে। ভুক্তভোগীরা ঠিকই বুঝবেন। আত্মার আত্মীয় এক কবির সাথে কথা হচ্ছিল। নির্লিপ্ত কণ্ঠে ওর জবাব, মুছে গেল তো কী হয়েছে। আমারও হয়েছে। চল্লিশটা গেল, তো আরও চল্লিশটা বেরবে। আমার উত্তর দেওয়ার মতো আর কিছু রইল না।   ৬   আমি একজন সামান্য লেখক, বারাসাতের উচ্চ মাধ্যমিক একটা স্কুলে পড়াই। কতটা ওদের, (যারা নিত্যদিন কলহের অভাবী সংসারে খিস্তি, গালাগালি শুনে বড় হয়, ডি জে র তালে ছন্দহীন জীবনে পছন্দের সুর বাঁধে, এখানে ওখানে কাজ করে, পড়াশোনা চালায়, আর হ্যাঁ পড়াশোনার আগে প্রেম করাটা আপনার আমার থেকেও অনেক আগেই শিখে ওঠে)  আর কতটা নিজেকে। শিক্ষকও তো মনোজগতে এক প্রকার ছাত্রই। তোষামোদ করতে পারি না, খুব যে ভালো লিখতে পারি তাও হয়তো নয়। তবুও চেষ্টা করি। চেষ্টায় কিছু হয়। কিছু কিছু পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন, সংবাদ পত্রে আমার কবিতা মাঝেমধ্যে বেরোয়। বছরে এক কি দু'বার। তাতেই খুশি থাকি।   জানি, আপনাদের দপ্তরে অনেক বই আসে। হয়তো সব... তবুও আশা রাখতেই হয়। ইচ্ছের মেঘ ভাবনায় পাড়ি দিই, কষ্টের ফুল ফোটা গাছে আলো হয়, রোদ বাড়ে, ছায়া পায় একলার মন। আমি গান বাঁধি। আপনারা যেমন ভালো গল্পের অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসে, আমিও তেমনি সংসারের পাঁচমেশালি মানুষের মাঝে শান্তির আনন্দে দিশা খুঁজে বেড়াই।   যদি ভালো লাগে, যদি যোগ্য মনে করেন, দেখবেন। আর কী বলব! ভালো থাকবেন বা থাকার চেষ্টা করবেন। না থেকেই বা উপায় কী! দিনের শেষে সবাই তো সেই একলাই।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register