- 3
- 0
নগনন্দিতা, তুমি ঈশ্বরের মানসকন্যা। তোমার স্নিগ্ধ মনোরম রূপলাবণ্যের উপমা শুধু তুমি।
ভোরের আলো ফুটে ওঠা পথে আমি একা। এগিয়ে চলেছি
সদ্য বৃষ্টিতে ভিজে স্নান সেরে ওঠা এই পাহাড়িপথ ধরে। উপত্যকার কালো ঝকঝকে পথ এঁকে বেঁকে ওপরে উঠে গেছে। পাহাড়ের চির সবুজের সাথে কালো ওই পথের মধুর সখ্যতা।
চির সুন্দরী, তুমি স্বপ্নে দেখা কবিতা আমার।
বৃষ্টি ঝরার পর মেঘের আদরখেলা দেখে আমি স্তব্ধ হয়ে গেছি। মেঘেরা পাহাড় চূড়া ছেড়ে মাটির কোলে নেমে এসেছে। সাদা মেঘের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে সবুজেঢাকা চার্চ। সবুজের কি অদ্ভুত সৌন্দর্য !এক মনোহরণ অপরূপ রূপে সবুজকে মাথায় ধরে রেখেছে উপত্যকার বাড়িগুলো তাদের তিনকোনা ছাদের উপর।
গলায় টুংটাং ঘন্টার আওয়াজ করতে করতে দুরে বিস্তীর্ণ সবুজমাঠে চরে বেড়ানো সাদা ভেড়া একটা একটা দেখা যাচ্ছে। ছোট ছোট গাছে হলুদ আর ঘননীল রংয়ের ফুলের সমারোহ।
অনেক অনেক উঁচু পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসছে বড় একটা ঝর্ণা। নিজের গানের আনন্দে মাতিয়ে রেখেছে সারাক্ষণ নিজেকে। মাটির কোলে আশ্রয় পেয়ে তার আনন্দলহরী উপলে উছলে নেচে নেচে চলছে সাগরের পানে। এই আকাশ, এই মেঘ, এই চিরসবুজ বনানী, ওই রোদ্দুর, ওই বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া পথ - অর্পণ করেছে নিজেকে এই সৃষ্টির কাছে।হে চিরসুন্দর, হে মহীয়ান, তোমার পূজায় বিশ্বযজ্ঞে এই আমার অর্ঘ্য নিবেদন।
0 Comments.