Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সৈয়দ মিজানুর রহমান (পর্ব - ২৭)

maro news
কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সৈয়দ মিজানুর রহমান (পর্ব - ২৭)

অনন্ত - অন্তরা

সন্ধ্যা চুপচাপ বেরিয়ে পড়লো, ঔষধ কিনে প্যাকেট সুপ কিনে নিয়ে বাসায় ঢুকল, বুয়া এই সুপটা ওকে বানিয়ে দিন তার আগে পানি নিয়ে আসুন ওর মাথায় জলপট্টি দিতে হবে । এইযে পানি -- এখানে রেখে আপনি সুপটা বানিয়ে নিয়ে আসুন । এই দিকটা আমি দেখছি । পলিব্যাগ মাথার নিচে দিয়ে ওর মাথা্য পানি ঢেলে দিতে লাগলাম সেই সাথে জলপট্টি দিয়ে রাখলাম কপাল চোখ জুড়ে । মনে হচ্ছে আগুন বেরিয়ে আসছে চোখদিয়ে । হঠাৎ এতো জ্বর কিছু বুঝতে পারছি না , কেন এমন হল ? মাথাটা মুছিয়ে দিতে বুয়াকে ডাকলাম উনি মাথা উঁচিয়ে ধরলো আমি ভালো করে মাথাটা মুছে দিলাম । অনন্ত – এখন একটু ভালো লাগছে না তোর? হ্যাঁ একটু – পারলে উঠে বোস – সুপ নিয়ে আসছে একটু খেয়ে ঔষধ খেয়ে নিবি কেমন- খাটের সাথে হেলান দিয়ে বসলো , কী বিমর্ষ দেখাচ্ছে ওকে! কেউ নেই একা একা থাকে কিভাবে একা একা থাকবেন ভাবতেই চোখ ভরে উঠলো । শোন তুই চিন্তা করিস না , তুই আগে সুপটা খেয়ে ঔষধটা খেয়েনে আমি বাসা থেকে আসছি । বুয়া আজ রান্না করা লাগবে না আপনি একটু বসুন আমি আসছি । ওদের বসিয়ে দ্রুত বাসায় যেয়ে মায়ের সাথে অনন্তের প্রচন্ড জ্বরের কথা জানালো, মায়ের কাছে অনুরোধ করলো ওকে এই বাসায় না আনলে কে দেখবে ওকে? আমারাই তো ওর আপনজন মা ওকে আমাদের বাসায় আসতে অনুমতি দাও প্লিজ!! সবই বুঝি মা, বাড়িতে অবিবাহিতা মেয়ে থাকলে অনেক কিছু ভেবে চিন্তে করতে হয়, দেখি তোর বাবা কী বলে? তুমি একটু বোস এখানে, আমি শুনে আসি । মা যখন বাবার রুমে গেল সন্ধ্যা তখন পিছে পিছে পা টিপে টিপে বাবার রুমের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো আড়িপাততে, বাবাকে মা ভীষণ গম্ভীর স্বরে কথাগুলি বলছিল বাবা নির্লিপ্ত উদার মনে শুনছিল, সব শোনার পর হেসে দিয়ে অনুমতি দিয়ে আরো বলল ছেলে খুব ভালো এমন ছেলে আজকাল পাওয়া খুব দুষ্কর । তুমি চিন্তা করো না মেয়ের সাথে কাউকে পাঠিয়ে দাও ছেলেকে নিয়ে আসুক । কথা শেষ হওয়ার পর দ্রুত সরে গেল সন্ধ্যা, একটু পরেই মা যেয়ে সন্ধ্যাকে মলিন মুখে তার বাবার কথা জানিয়ে দিলো, সন্ধ্যা মাকে বলল- মা তুমি নিশ্চিন্তে থাকতে পার তোমার মেয়ে কোন ভুল করবে না , আমি শুধু আমার পরম বন্ধুর সেবা করবো সেখানে কোন পাপা থাকবে না , তোমাদের মান-সম্মান আমার জীবন থাকতে কখনই ধুলোই মিশতে দেবো না, মা মেয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলল যাও তাকে নিয়ে এসো । সন্ধ্যা তাদের কাজের মেয়েকে নিয়ে ঐ বাসায় যেয়ে অনন্তকে সব বুঝিয়ে বললে ও সম্মতি দিলো এবং প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস পত্র নিয়ে ওদের বাসায় ফিরে আসলো তবে আসার সময় বেশ কষ্ট হয়েছে অনন্তের রিক্সায় ওঠতে এবং নামতে । ভীষন দুর্বল হয়ে পড়েছে সেটা বুঝতে সন্ধ্যা আর বাকী রইল না । অনন্তকে ওদের অতিথি রুমে থাকতে দিলো এবং কাজের মেয়ে ও বুয়াকে সব বুঝিয়ে দিলো রুমটা ওর মতো করে ঘুছিয়ে দেওয়ার জন্য । অনন্তর কাজের বুয়াকে বলে দিল আগামীকাল থেকে যদি আপনার কোন সমস্যা না হয় তাহলে আমাদের বাসায় এসে শুধু অনন্তের কাজগুলি করবেন কেমন- পারবেন তো? বুয়া সম্মতি দিলো দিয়ে ঐদিনের মতো কাজ শেষ করে বুয়া চলে গেলেন ।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register