Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

।। ত্রিতাপহারিণী ২০২০।। T3 শারদ সংখ্যায় দীপক জানা

maro news
।। ত্রিতাপহারিণী ২০২০।। T3 শারদ সংখ্যায় দীপক জানা

তেলেভাজা

দোকানটায় সেল বেশ। সকাল সন্ধ্যে বেশ গম্ গম্ করে। আগে বুড়ো বুড়ি চপ, পিঁয়াজী, বেগুনী আর কখনও সখনও সব্জী পকোড়া ভাজতো। এখন ভ্যারাইটির চপ হয়। আলুর চপ, মোচার চপ, চিংড়ির চপ, মাংসের চপ, নানা ধরনের পকোড়া, মানে বাঙালি জিভের পুরো রসনা বিলাস। অথচ এম. এ. পাশের সার্টিফিকেটটা নিয়ে কত জায়গায় যে ফেউ ফেউ করে ঘুরেছিল সৌগত তার ঠিক নেই। কিন্তু একদিন দোকানে বসে বাবা মাকে তেলেভাজা বেচতে দেখেই মনে হয় এই দোকানকেও তো সাজানো যায়, চালানো যায়। করা যেতেই পারে অন্যরকম কিছু। তারপরই...। এখন সৌগত তেলের তাক জানে। তেল কেমন গরম হলে তেলেভাজা মচমচে খাস্তা হয়। চপ ছাড়ার কত পরে ওল্টাতে হয়। পেঁয়াজী, পকোড়ায় কেমন তাপ লাগে। বেসনে কোন কোন জিনিস দিলে তেলেভাজার স্বাদ বেড়ে যায়। তেলেভাজা ফোলে। বেগুনীকে কতটা ভাজতে হয়। আজ একটা নতুন আইটেম ভাজবে সৌগত। বেসনে লবন, লঙ্কাগুঁড়ো, কালোজিরে, একটু খাবার সোডা দেয়। অনেক ফাঁটে। তারপর কাঁচি দিয়ে কাটা একটা টুকরো তুলে বেসনে ডুবিয়ে গরম তেলে ছাড়ে। ওটা ভাজা হচ্ছে। বেশ ফেনা ছেড়ে কল্ কল্ করে। উল্টে পাল্টে ভেজে তুলে নেয় সে। কামড় দেয়। কই তেমন স্বাদ পেলোনা তো! তবে কি এম. এ. পাশের সার্টিফিকেটের চাইতে একটা বেগুন হওয়াই অনেক ভালো ছিল?
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register