Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সুদীপ ঘোষাল (পর্ব - ৯)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সুদীপ ঘোষাল (পর্ব - ৯)

কল্পবিজ্ঞানের গল্প

ইউরেকা ইউরেনাস

কান ধরে ধরে যেতে যেতে গা ছমছম করছে ভয় ভয় লাগছে কিন্তু কিছু করার নেই যেতেই হবে রাত আড়াইটা হয়ে গেল এখনও পারে কেউ নেই হঠাৎ দেখা গেল দূরে সাদা ঘুম থেকে একজন দাঁড়িয়ে আছে এবং আমাকে ডাকছে।কোন আওয়াজ নাই শুধু ইশারায় হাত দেখিয়ে ডাকছে আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম এই রাত্রিবেলা এখানে সাদা কাপড় পড়ে মেয়েদের সাজেকে দাঁড়িয়ে আছে নিশ্চয়ই ভয় দেখাবে উদ্দেশ্যে।কিন্তু যখন কাছে গেলাম তখন দেখলাম না এটা ভয় দেখানো নয় সে হঠাত উঠে গেল একটা গাছের উপরে গাছের উপরের দিকে তাকিয়ে দেখি সে হি হি করে হাসছে আবার লাভ মেরে জলে পড়লে বলল ঝাপাং করে। ঝপাং করে জলে পড়ে হাতে একটা সাদা মাছ নিয়ে উঠে পড়ল গাছে যে কর্ম করে কাঁচা মাছ দিয়ে খেতে লাগলো আমার খুব ভয় পেয়ে গেলাম আমি আমি সঙ্গে সঙ্গে লন্ঠন নিয়ে আস্তে আস্তে এগোতে লাগলাম যখন লাগলাম তখন সেই সাদা কাপড় ওয়ালা বলল কিনে খুব ভয় পেয়েছিস মনে হচ্ছে বাড়ি যেতে পারবি তো।

আমিওখুব ভয় পেয়ে গেলাম ঠকঠক করে কাঁপছি তখন পাঠাও মাটিতে থাকছে না কোন রকমে টেনে চলতে চলতে অনেক দূর আসার পর হঠাৎ একজন বলল কি গো কোথায় যাচ্ছ ।

মানুষের গলার আওয়াজ পেয়ে আমার একটু সাহস হলো আমি বললাম তুমি কে বলছো আমি ভোলা আমাকে চিনতে পারছ না অন্ধকারে আমি তোমার মুখ দেখতে পাইনি জানো এই বটগাছে কাদের ধরে একটা বুড়ি মাছ খেতে লাগল কাকা বলল ওই গাছের পেত্নী থাকে তুমি খুব জোর বেঁচে গিয়েছে ওই গাছের তলা দিয়ে রাত্রিবেলায় টানে বাঁচেনা চলো তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসি।

আমি বললাম এত রাতে তুমি কাঁদোর ধরে কি করছিলে ভোলা বলল আমরা তো গরিব মানুষ বাড়িতে পায়খানা বাথরুম কিছু নাই এই তাই মানে কাঁদর ধারে বসে কম্ম সারি। তাই রাত দুপুরে উঠে এখানে এসেছি বট গাছের কাছে ভুলেও যাই। না আমরা।

ভোলা বলল তা তোমার এত রাত হল কেন আমি তখন সবিস্তারে আমার ঘটনা বললাম যে শ্মশান থেকে ফিরছিল।
শ্মশান থেকে ফিরছ তাহলে এখনো গঙ্গা চান করো নাই।
আমি বললাম না গঙ্গা চান করা হয়নি বাড়িতে গিয়ে স্নান করে পরিষ্কার হয়ে গেছে তারপর ঢুকবো।

আমি ভাবলাম মানুষের বিশ্বাস মানুষের কাছেই থাক হয়তো তাই মানুষের বিশ্বাসে আঘাত দেওয়া যায় না। কিন্তু আমি ওসব বিশ্বাস করিনা আজকে অন্তত বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু নিজের চোখে দেখার পর আর আমার কিছু বলার থাকল না। সেই মেছো বাড়ি এসেও জ্বালাচ্ছে।
তোতন বললেন, আমরা আজই রাতে ধরব ব্যাটাকে।

নাটুবাবু বললেন ভয়ে ভয়ে আছি খুব।
সুমন্তবাবু বললেন, যখন ভয়ের অনুভূতি প্রথম টের পাচ্ছেন, মনে হচ্ছে বুক ধড়ফড় বেড়ে গেছে, অস্থির লাগছে, বমি বমি ভাব হচ্ছে, মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে, দেরি না করে দ্রুত ব্রিদিং রিলাক্সেশন করুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন, বুকের ভেতর সমস্ত খালি জায়গা বাতাসে ভরে ফেলুন, দমটা অল্পক্ষণ আটকে রাখুন, তারপর মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এভাবে পর পর তিনবার করুন।ভূতের ভয় থেকে বেড়িয়ে আসতে ভূত এবং ভয় নিয়ে চিন্তা করা বন্ধ করুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন, সত্যি ভূত বলে কিছু রয়েছে কি না?

তোতন বললেন, না কি আপনি অজানা কোনো কারণে ভয় পাচ্ছেন? আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ কখনো ভূত দেখেছে কি না? ক্ষতি হলে তার কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে? উত্তরগুলো খুঁজে নিয়ে ভাবুন আদৌ ভয় পাওয়ার কোনো কারণ রয়েছে কি না।সিনেমায় ভূত, আত্মা এই বিষয়গুলোকে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করা হয়। ভয়ের সিনেমা, নাটক আমাদের মধ্যে ভূত ও আত্মা সম্পর্কে ভয় তৈরির সাহায্য করে। তাই যদি এ ধরনের সিনেমা, নাটক দেখে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তবে এই ধরনের নাটক, সিনেমা, গল্পের বই এড়িয়ে চলুনভয়কে জয় করতে ভয়ের বিষয়টি সরাসরি মোকাবিলা করতে হয়। আপনি হয়তো ভূতের ভয়ে রাতে একা থাকতে ভয় পান, ঘরে আলো জ্বালিয়ে রাখেন- এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে রাতে একা থাকা শুরু করুন। ভাবুন, পৃথিবীতে কত মানুষ একা থাকে। ভূত তাদের আক্রমণ না করলে আপনাকে করবে কেন? আপনার সঙ্গে তো ভূতের বিশেষ কোনো শত্রুতা নেই। প্রথমে আলো জ্বালিয়ে একা ঘরে থাকার অভ্যাস করুন। প্রথমে কষ্ট হবে তারপরও চেষ্টা করুন। প্রথমদিন পারলে নিজেকে নিজে ধন্যবাদ দিন, ছোট পুরস্কার দিন। এভাবে একা থাকায় অভ্যস্ত হলে একা ঘরে আলো নিভিয়ে থাকার পদক্ষেপ নিন। এভাবে ধীরে ধীরে ভয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন।ভয় থেকে মনটাকে অন্য দিকে সরিয়ে দিতে গান শোনা, টিভি দেখা, গল্পের বই পড়ার মতো নিজের ভালোলাগার কাজগুলো করুন। জানালার দিকে তাকালে ভয় হলে জানালা খুলে রাখুন। জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে বাইরে দেখুন। জানালার দিকে চোখ পড়লে চোখ বন্ধ না করে তাকান। কিন্তু বার বার তাকিয়ে কিছু রয়েছে কি না সেটি চেক করা থেকে বিরত থাকুন।নিজেকে বলুন যতবার শব্দ শুনে বা আওয়াজে ভয় পেয়েছি, বা বাইরে যা দেখেছি তাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছি।ভূত নিয়ে নানা আশঙ্কার কথা মনে হলে ভাবুন যা ভাবছেন তা যদি সত্যি হয় তবে কি হবে? সবচেয়ে খারাপ কী হতে পারে? এমন হবার আশঙ্কা কতটুকু?যখন ভয় পাচ্ছেন তখন যা ভেবে ভয় পাচ্ছেন তা কাগজে লিখে ফেলুন, লেখা শেষে কাগজ কুটিকুটি করে ছিঁড়ে ফেলুন বা পুড়িয়ে ফেলুন।ভাবুন ভূত বা আত্মা আপনার মতোই। তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কোনো প্রমাণ নেই যে ভূত কারো কখনো ক্ষতি করেছে।অনেক সময় ছোটবেলা থেকে ভূত সম্পর্কে শোনা গল্প আমাদের মনে ভূত সম্পর্কে একটি ভয়ঙ্কর ছবি তৈরি করে। এতে আমাদের মাঝে ভয় তৈরি হয়। অনেক সময় বড় হওয়ার পরও তা থেকে যায়। তাই বাচ্চাদের সঙ্গে এ ধরনের গল্প না করার চেষ্টা করুন।ভয় থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য নিজেকে যথেষ্ট সময় দিন।নিজের আগের সফলতার কথা চিন্তা করুন। মনে করুন আগে কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার পর কী কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, কীভাবে বের হয়ে এসেছিলেন। এটা আপনার মনোবল বাড়াতে সাহায্য করবে।নিজেকে বলুন, ‘ভয়ের কাছে পরাজিত হবো না। ভয় আসতেই পারে। এটা স্বাভাবিক। আমি জানি ভয়টা অমূলক। তাই ভয় পাবার কিছু নেই। বরং ভয় দূর করতে যা যা করা দরকার করব।’ভূত নিয়ে যেসব কমেডি সিনেমা রয়েছে সেগুলো দেখুন। ভয়ের সময় মনে করার চেষ্টা করুন ভয়ের সিনেমাগুলোতে ভূত কী কী করার চেষ্টা করে এবং প্রাণ খুলে হাসুন।কোনো বিষয় নিয়ে মজা করলে সে বিষয়ে ভয় দূর করা সম্ভব। ভূত বিষয়ে অন্যের সঙ্গে বেশি বেশি গল্প বলুন, মজা করুন।অনেক সময় ভূতের ভয়ের সঙ্গে মানসিক অসুস্থতাও যুক্ত থাকতে পারে। সেখানে ছোটখাট পরামর্শ মেনে চললেই তা দূর করা সম্ভব হবে না। তাই নিজে নিজে ভূতের ভয় দূর করতে না পারলে মনো-চিকিৎসক, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর সাহায্য নিন।ভূতের ভয়টা যেহেতু রাতেই হয়, তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে শিথিল থাকতে পারেন এমন কিছু করুন। ঘুমের সময় অল্প আলো জ্বালিয়ে ঘুমান।সিলিং বা জানালায় ঝুলন্ত কিছু থাকলে তা সরিয়ে ফেলুন, যাতে রাতের বেলা এগুলো থেকে ভয় না তৈরি হয়‘ভূত আসলে কী হবে?’- এ ধরনের ভাবনা ব্যক্তির মধ্যে মানসিক অস্থিরতা তৈরি করে। তাই ভবিষ্যতে যা ঘটার আশঙ্কা সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত নন তা ভাবা থেকে বিরত থাকুন।
ভূতের ভয়কে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমাদের মধ্যেই লুকায়িত রয়েছে। তাই ভূতের ভয়কে জয় করুন।

নাটুবাবু বললেন, আমি বামুনের ছেলে। ভূত আছে বুঝলেন। শুনুন আমি বলি, শিবের অনুচর দেবযোনিবিশেষ (ভূতনাথ)। অশরীরী প্রেত বা পিশাচ জীব, প্রাণী (সর্বভূতে দয়া)। ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তুসমূহের মূল উপাদান পঞ্চভূত।পরিণত দ্রবীভূত, বাষ্পীভূত বিদ্যমান, রয়েছে এমন ̃ .কাল বি. অতীত কাল ̃ ভূতপ্রেতের দ্বারা আক্রান্ত বা আবিষ্ট। ̃ .চতুর্দশী. কার্তিক মাসের কৃষ্ণাচতুর্দশী তিথি। ভূত হলো অশরীরি পুরুষ আত্মা, আর পেত্নী অশরীরি মেয়ে আত্মা। অপঘাত, আত্মহত্যা প্রভৃতি কারণে মৃত্যুর পর মানুষের অতৃপ্ত আত্মা ভূত-পেত্নী হয়ে পৃথিবীতে বিচরণ করতে পারে। অন্যান্য জীবজন্তু বা প্রানীও তাদের মৃত্যুর পরে ভূতে পরিণত হতে পারে। বাংলায় ভূতকে মাঝে মাঝে প্রেতাত্মা হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register