মার্গে অনন্য সম্মান শিপ্রা দে (সেরা)
অনন্য সৃষ্টি সাহিত্য পরিবার
সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব - ৫৭
বিষয় - কৃষ্ণপ্রেম / অপূর্ণ ভালোবাসা / মায়ার বাঁধন
কৃষ্ণ প্রেম
মনমুগ্ধ সজ্জিত উজ্জ্বল পীতবাস,
গলে শোভে বৈজয়ন্তী মালা
মুরলীধর বাজায় বাঁশি
সুমধুর সুধা ঢালা।
পুষ্পে পুষ্পে ভ্রমরের গুঞ্জন পাখিদের আনন্দ উৎসব।
ময়ূরের বিচরণ,হরিণের চপলতা।
গভীর অনুরাগে স্তব্ধ হয়ে গোবৎস ভোলে দুগ্ধ পান।
গোপীগণের আঁচল পড়িল খসিয়া,শিথিল হয় বেনীবন্ধন
ঘরের বাইরে ছুটিল সব ফেলিয়া সকল কাজ
বংশীহারির বংশী ধ্বনি পাগল করে আজ।
গোপী মাঝে বনমালি হইল অন্তর্ধান
উন্মাদিনীর মতো খোঁজে যতো গোপীগণ।
শ্রীকৃষ্ণের লীলা কথা করিয়া স্মরণ
উদ্বেলিত,চঞ্চল গোপী সিক্ত নয়ন।
যাকে পায় পথে জিজ্ঞাসে তাহারে
শ্যামকে দেখেছো নাকি ?
কৃষ্ণ বিরহে পাগলের ন্যায় অশোক তরুর তলে
হে কৃষ্ণ, হে কৃষ্ণ করে ভাসায় চোখের জলে।
তুলসী বৃক্ষ পথ মাঝে মেলে জিজ্ঞাসে তাহারে গোপী
তোমার পত্র মাধবের পায়ে পায় রোজ ঠাঁই
জানো কি তুমি কোথায় গেলে আমরা মাধব পাই?
কেহ পারে না বলিতে কোথা শ্যাম খেলে আঁখ মিচৌলি,
কৃষ্ণ অণ্বেষণে ক্লান্ত হল গোপীগণ।
বিরহ জ্বালা বুকে বাজে শেল।নিরাশায় বসে তমাল তরুর তলে।
জলশূন্য মাছের মতো অচেতনবস্থা
কৃষ্ণ বিনা বাঁচে না প্রাণ অনূঢ়াবস্থা
এসব দেখে
মদনমোহন হলো আবির্ভূত
যমুনার তীরে চাঁদের কিরণ অন্ধকার দূর করে
শরতের ফুল ফুটেছিল বনে
মৃদু মন্দ সমীরণে।
কদম্বের সুবাস ছড়ায় মোহিত হয় বাতাস
যমুনার জলে জলকেলি খেলে গোপীগণ কৃষ্ণ সাথ।
কৃষ্ণ প্রেমে মজিল মন যতো ব্রজবাসীর
সবে মিলে বলে কৃষ্ণ আমি তোমার দাসী।
0 Comments.