T3 শারদ সংখ্যা ২০২২ || তব অচিন্ত্য রূপ || বিশেষ সংখ্যায় উজ্জ্বল দাস

ঘুড়ি

-দেখ লাস্ট বেঞ্চে বসে বসে চিনুটা কী গন্ডগোল টাই না করছে। স্যার আজ ক্লাস থেকেই বের করে দিলেন।

-হ্যাঁ রে ভোম্বল। ঠিক বলেছিস। আচ্ছা শোন দুদিন পরেই তো বিশ্বকর্মা পুজো আজ সব কিনে আনতে হবে তো রাতে।

-হ্যাঁ কিনবো তো। তুই একটা কাজ করিস। বাড়ি থেকে টাকা আনবি। আমিও বাবার থেকে চেয়ে আনবো।

-বাচ্চু তুই কিন্তু এবারে মাঞ্জা টা একটু মন দিয়ে বানাস। আগের বারে পুরো ফ্লপ হয়েছিলো। তোর জন্য সব ভোকাট্টা হয়েছিলো মনে আছে।

-বেশি ফ্যাচ ফ্যাচ করিসনি তো, দাঁড়া। এবার শালা ওই চিনুদের পাড়ার সব কটার ঘুড়ি কাটবো। দেখ শুধু কী করি।

-ঠিক আছে ঠিক আছে দেখা যাবে। এখন চলি। সন্ধ্যাবেলা তাহলে বরকির দোকানের সামনে দেখা হচ্ছে।

-আচ্ছা। তোর সাইকেলটা নিয়ে আসিস। আমারটা লিক করছে বার বার। টিউবটা পাল্টাতে হবে।

নবম শ্রেণীর প্রচন্ড ডানপিটে ছাত্র বাচ্চু আর ভোম্বল। চিনুটা ঠিক ডানপিটে নয় ও একটা ঠিক কেমন যেন। চুল আঁচড়ায় না, ময়লা জামা কাপড় পরে। স্কুলের কাজ করে আনে না, টিফিন চুরি করে খায়। সারাদিন আড্ডা মারে , খেলে। কিন্তু পড়াশুনাটা কি করে এত ভালো করে কে জানে। প্রত্যেক বার ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করে। অথচ কেউ ওকে কোনদিন পড়তে দেখেনি। পরীক্ষার আগের দিন নাকি ওকে সিনেমা পাড়ায় দেখা যায়। নাহলে ও কিছুতেই পাশ করবে না। লুকিয়ে চুরিয়ে কোনক্রমে সিনেমাটা ওর দেখা চাইই চাই। একেবারে হাড় বখাটে।

(দুই)

-দেখো ক্লাস নাইন হলো। এবার ছেলেটাকে একটু বুঝিয়ে সুজিয়ে বলো। পড়াশোনায় মন দিক একটু।

-দেখো সর্বানি ও তো ভালোই করছে পড়াশোনাটা। ওকে ঘাঁটিও না শুধু শুধু।

-তোমার আর কী। সারাদিন তো আল্লার নামে বেরিয়ে পড়ো, বুঝবে কী সংসারের জ্বালা। ঠিক করছে, ঠিক করছে বলে তো এত গুলো বছর কেটে গেলো। আশ্চর্য্য।

-এতে এতো আশ্চর্য্যের কি আছে টা কি। ও কি খারাপ রেজাল্ট করে? যে ওকে শুধু শুধু ধমকাবো। এই তো বয়স। এখন এসব করবে নাতো কি তোমার মতো বুড়ি বয়সে করবে নাকি।

হ্যাঁ… কি বললে! আমি বুড়ি? তুমি বুড়ো। যাও তো। আর যদি কিচ্ছু বলি তোমায় কোনদিন। আপাতত যাও। হাত পা ধুয়ে খেয়ে নিয়ে আমায় উদ্ধার করো।

পেশায় ভালো মানুষ অটো চালক চিনুর বাবা। এও এক অদ্ভুত আশ্চর্য্য পৃথিবীর। টাকা পয়সা বা খুচরোর সমস্যা থাকলে অনেক যাত্রীর থেকে অর্ধেক সময় ভাড়াই নেন না। অদ্ভুত লোক মাইরি। এতো গুলো পেট, ছেলের পড়াশুনা, বাড়ি ভাড়া সব মিলিয়ে এক টানাটানির সংসার। তবুও চিনুর মায়ের মুখে যেন সর্বদা হাসি লেগেই আছে। সামনেই আবার বিশ্বকর্মা পুজোর এটা দাও ওটা করো ছেলের গাদা ফরমায়েশ। সারাদিন হার ভাঙা খাটুনির পড়ে সত্যিই আর পেরে ওঠেনা শরীর।

(তিন)

বাচ্চু আর ভোম্বল বরকির দোকান থেকে গোটা দশেক ঘুড়ি লাটাই নিয়ে সাইকেলের প্যাডেলে চাপ দিয়ে সন্ধ্যা ভ্রমণে বেরোলো। পড়াশোনা তো এখন বন্ধ বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য। দুই কিশোর মন যেন ছটফট করে কী করবো কী না করবো। এদিকে চিনুরাও ছাড়ার পাত্র নয়। দুই পক্ষই সেয়ানে সেয়ানে। সব নাম করা ঘুড়ি উড়িয়ের দল। কেউ পেটকাট্টি তো কেউ চাঁদিয়াল আবার কারও কারও ভাঁড়ারে বগগা। এবার জমবে খেলা। রাত জেগে মাঞ্জা দেওয়া চলবে তার পর জব্বর শুকনো হলেই আর দেখে কে।

রাতে চিনুদের পাড়ার মাঠেই সব জমায়েত। ওখানেই গোলপোস্টে, গাছে সুতো জড়িয়ে জড়িয়ে রাতভর চলবে মাঞ্জা দেওয়া। দুপক্ষই বিপক্ষের শক্তি সম্পর্কে অল্পবিস্তর ওয়াকিবহাল। মাঞ্জার সরঞ্জামের প্রস্তুতি তুঙ্গে।

তুঁতে, অ্যরারুট সঙ্গে একটা টিউব লাইট ভাঙা এনে ঘটাং ঘটাং গুঁড়ো করার কাজ শুরু। এরা হামানদিস্তা তো ওরা মাটির হাঁড়ি। পাশাপাশি। যেন এই বুঝি যুদ্ধ লেগে যায়, যায়। এই মাঞ্জা দেওয়া শুরু। কেউ গাছে সুতো জড়ায় তো কেউ গোলপোস্টে। এবারে বাচ্চুরা একদম উঠেপড়ে লেগেছে চিনুদের হারাবে বলে। ভালো করে তুঁতে আর কাঁচের গুঁড়ো মেখে নিয়ে শুরু হলো হাতে করে মাঞ্জা দেবার কাজ।

রাত অনেক হলো। দু পক্ষেরই মাঞ্জা দেওয়া প্রায় শেষের মুখে। রাত জেগে সবাই খুব ক্লান্ত। ভোর রাতে যে যার সুতো ওভাবেই রেখে দিয়ে বাড়ি চলে গেল। একটু গা’টা এলিয়ে নিয়েই আবার মাঠে দৌড়তে হবে। একদিন পরেই মহারণ।পরদিন বেলা গড়ানোর আগেই সব মাঠে গিয়ে হাজির। কটকটে রোদ্দুর। এবারে এই ঠাঠাপোড়া আগুনে যেন উৎসাহের শেষ নেই কারো। আজ আর ঘুমটাই হবে না হয়তো। সারাদিন একটু নাকে মুখে গুঁজেই কোনোরকমে মাঠে। এবার সুতো গুটিয়ে নিয়ে লাটাই হাতে বাড়ি। বাকি রইলো কলকাটি লাগানো। সব ঘুড়ি গুলো তে বিকেলে বসে একে একে সুতো দিয়ে দুপক্ষই কলকাটি বেঁধে চলেছে। রাত পোহালেই পাড়ায় পাড়ায় পুজোর সঙ্গে দামামা। এবারে বাচ্চুরা জবরদস্ত উঠে পড়ে লেগেছে। প্রতিপক্ষ চিনুরাও কাজের কাজ করে চলেছে।

(চার)

সাঁই সাঁই সাঁই সাঁই করে শুরু হয়ে গেল পাড়ায় পাড়ায় ঘুড়ির লড়াই। চারদিকে ফড় ফড়িয়ে উড়ে চলেছে রং বেরঙের এক তে, দু তে, চাঁদিয়ালেরা। আরো কত নানান নামের বাহার। যথারীতি শুরুও হয়ে গেলো দুপাড়ায় বেপরোয়া ঘুড়ির সুতোয় টান। হাত যেন সুতোর ধারে কেটে ফালাফালা হয়ে যাওয়ার জোগাড়। এরা টানে তো ওরা ছাড়ে, এরা ছাড়ে তো ওরা টানে। ছাদ থেকে ছাদে যেন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। মন্ত্রী সেনাপতিরা পাশ থেকে চিল চিৎকারে উৎসাহ দিয়ে চলছে সোল্লাসে। হঠাৎ…

ভোওওও কাটাটা টা ঢিনকা চিকা ঢিনকা চিকা… ভোওওও কাটা…

বলে বেজে উঠলো চিনুদের ঢোলটা। দুয়ো দুয়ো কেটে গেল কেটে গেল চিল চিৎকারে পাড়া মাথায় চিনুদের।

এদিকে ভোম্বল আর বাচ্চুদের চোখে আগুন। এবারেও না গো হারা হারে ওরা। রাগে মুখ চোখ তেতে পুড়ে লাল হয়ে গেছে। ভোম্বল আর বাচ্চুতে লেগে গেল বচসা। এ বলে “মাঞ্জা খারাপ” ও বলে “এবার দেখ কী করি”।

নতুন করে ঘুড়ি বারলো ভোম্বলরা। চিনুরাও পাড়ার বন্ধুর দোতলার ছাদ থেকে ফড়ফড়িয়ে ছেড়ে খেলছে। হাতে লগা নিয়েও রেডি চিনুর দল। শুধু কেটেই শান্তি নেই লুটতেও হবে। আবার শুরু। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এবার না জিতলে যে মান যায়। সোঁ সোঁ করে বেড়ে দিলো ভোম্বলটা। বাচ্চুর হাতে লাটাই। সোজা মাথাটা ওপরে করেই গোঁত্তা মেরে ঢুকে গেলো চিনুদের সুতোর তলায়। এই সুযোগ

“ছাড় বাচ্চু সুতো ছাড়”

এই বলেই বাঁ হাতে সুতো ধরে টানা শুরু করলো ভোম্বল। হু হু হুসসসস করে ঘুড়ি উড়ে চললো, হঠাৎ চিনুদের ঘুড়ি অনেকটা সুতো সমেত ভো কাট্টা, চিনুর হার গিলে চেহারায় ভয়ঙ্কর রেগে লাল। ওদিকে বাচ্চু ভোম্বলের লম্ফ শুরু হলো। “দুয়ো দুয়ো দুয়ো”।

(পাঁচ)

আনন্দে আত্মহারা হয়ে ভোম্বল লাফিয়ে চলেছে। ঘুড়ি তখন ফড়ফড় করে একটু বিশ্রাম নিয় প্রস্তুত হচ্ছে নতুন করে যুদ্ধের জন্য। আরো জনা চারেক সমবয়স্কক হট্টগোলে পাড়ার একতলা বাড়িটা হৈ হৈ তে মশগুল। লাটাই ধরতে গিয়ে ভোম্বল পেছনে হাত দিতেই হালকা হয়ে গেল বুকটা। আরে বাচ্চুটা গেলো কই এই ফাঁকতালে। আনন্দে পালিয়ে গেল নাকি !

একটু এগিয়ে গিয়ে ন্যাড়া ছাদটার ধারে যেতেই চোখ দুটো নিচে গেল। একি! রক্তাক্ত বাচ্চু কে মাটি থেকে ততক্ষনে পাঁজা কোলে করে তুলে নিয়েছে চিনু আর তার দলবল। সবাই মিলে চোখের নিমেষে একতলায় এক দৌড়। তাড়াতাড়ি করে ক্লাবের অ্যাম্বুলেন্সটা কে খবর দিয়েই যে যার সাইকেল বের করে ফেললো। আনন্দে লাফাতে লাফাতে বাচ্চু খেয়াল করেনি ন্যাড়া ছাদের কতটা ধারে যাওয়া উচিত। পা পিছলে একেবারে সটাং নিচে পড়ে গেছে। ভোম্বলরা অন্যমনস্ক থাকায় খেয়াল করেনি। পাশের ছাদ থেকে সবার আগে চোখে পড়েছে চিনুর। দৌড়ে এসে তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যাবস্থা করতে শুরু করে দেয়।

বয়স কম। হালকা ফুলকা চেহারা। কোন রকমে বাচ্চু কে কাছাকাছি হাসপাতালে সংজ্ঞাহীন রক্তাক্ত অবস্থায় ভর্তি করা হলো। আস্তে আস্তে বাড়ির লোকজনরাও শশব্যস্ত হয়ে আসতে শুরু করেছেন। ডাক্তারবাবু চিকিৎসা শুরু করে দিয়েছেন সঙ্গে সঙ্গেই। টানটান উত্তেজনা নিয়ে সকলে বাইরে অপেক্ষা করছে। সবচেয়ে অসহায় যেন চিনু। একমুহূর্ত বসছে না কোথাও। এদিক সেদিক করে বেড়াচ্ছে। ঘন্টা খানেক পর হঠাৎ দরজাটা খুলে ডাক্তার বাবু বেরিয়ে এলেন। সবার আগে চিনু দৌড়ে গিয়ে জানতে চাইলো।

-ডাক্তার বাবু আমাদের বাচ্চু ভালো হয়ে যাবে তো ডাক্তারবাবু?

-অনেক ওপর থেকে পড়েছে। অতিরিক্ত মাত্রায় রক্তপাত। ডান হাত ফ্র্যাকচার হয়ে গেছে। যতক্ষণ না জ্ঞান ফিরছে কিছুই বলা যাবে না। অন্তত বাহাত্তর ঘন্টা অপেক্ষা।

গড়গড়িয়ে কথা গুলো বলে ডাক্তার সান্যাল এগিয়ে গেলেন। চিনু পেছন পেছন দৌড়ে গিয়ে ডাক্তার বাবুর হাত দুটো ধরে ফেলল।

-যত রক্ত লাগে আপনি আমার থেকে নিয়ে নিন ডাক্তার বাবু। আমার বন্ধুটাকে ফিরিয়ে দিন, যে ভাবেই হোক।

-অপেক্ষা করতে হবে একটু। আমাদের স্টকে যতক্ষণ ব্লাড থাকবে ততক্ষণ আমরা দিয়ে যাবো। না পারলে আপনাদেরকেই ব্যবস্থা করতে হবে।

(ছয়)

বাবা মায়ের অনেক অনুরোধেও মুহূর্তের জন্য বাড়ি যায়নি চিনু। বাহাত্তর ঘন্টা সারাদিন হাসপাতালেই কেটেছে। বাচ্চুর বাবা মায়ের পাশে থেকেছে। ডাক্তাররা কিছুই বলবেন না তার আগে। আর তর সইছে না কারুর। কাল দুপুর বেলা মোটামুটি তিনদিন হয়ে যাবে। গোটা সাতেক বন্ধু পালা করে থাকছে চিনুর সাথে। বাবা মায়ের মুখ ভয়ে ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। ঝিমুনি ঝিমুনি ভাব সারা রাত। এই বুঝি কোন খবর আসে।

বাহাত্তর ঘন্টা কাটার আগেই ডাক্তার বাবু নার্স’কে দিয়ে বাড়ির লোক’কে ডেকে পাঠালেন। ভয়ে ভয়ে দু’পা এক’পা করে গিয়ে ঢুকলো ডাক্তারের বসার ঘরে। পেছন পেছন চিনু। বাচ্চুর মা তো অঝোর ধারায় কেঁদেই চলেছে কদিন ধরে। তাকে সামলানোই যাচ্ছে না।

-দেখুন হাতে একটা অপারেশন করতে হবে এখন আপাতত আউট অফ ডেঞ্জার। তবে খুব উৎসাহিত হওয়ার কিছু নেই। যেভাবে লেগেছে চোটটা খুব স্বাভাবিক কিছু নয়। তার পর টানা রেস্টে থাকতে হবে। বাবা মা’কে অনেক যত্নবান হতে হবে। তাহলেই সুস্থ জীবন পাবে।

-আচ্ছা ডাক্তারবাবু। কথা শোনে না একটুও যে। আমরা কি একটু দেখতে যেতে পারি এখন তাহলে ছেলেকে?

-যান তবে, এই সবে জ্ঞান ফিরেছে। উত্তেজনা ওর পক্ষে খুব ক্ষতিকর।

সাধারণ কথা গুলো বলতে বলতে ডাক্তারবাবু দাঁড়িয়ে পড়লেন। বাচ্চুর বাবা মা চিনু একসঙ্গে ধীর পায়ে গিয়ে ঢুকলো বাচ্চুর কাছে। ভোম্বল এতক্ষণ বাইরেই অপেক্ষা করছিলো। সেও এসে হাজির। পিট পিট করে তাকাচ্ছে বাচ্চু। শরীরের চারদিকে ছুঁচ ফোটানো। স্যালাইন চলছে, আরো কত চ্যানেল করা। সবাইকে দেখতে পেয়ে বুকে যেন বল পেলো বাচ্চু। কথা বলার চেষ্টা করলো। মুখ নাড়লেও আওয়াজ বেরোলো না। চোখ দিয়ে দু ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে চাদরটা ভিজিয়ে দিলো। যেন কতদিন কথা বলেনি। এভাবে দেখে কোন মা ঠিক থাকতে পারে। অগত্যা কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেল সবাই।

(সাত)

এত বড় অঘটন যে কখনো ঘটে যেতে পারে সামান্য ঘুড়ির লড়াইয়ে এ যেন স্বয়ং ঈশ্বরও বিশ্বাস করবেন না। সবার অলক্ষ্যে ডানপিটে বদনামি চিনুও দুফোঁটা জল যে ফেলেনি তা নয়। কিন্তু ওর অভিব্যক্তি এতটাই কম যে কাউকে বোঝাতেও পারবে না। কষ্টটা ও নিজেও কিছু কম পাইনি। সবাই যখন ধীরে ধীরে বাইরে বেরিয়ে আসছে চিনু তখন একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে আবার বাচ্চুর বিছানার পাশে গিয়ে ওর করুণ মুখটার দিকে তাকিয়ে দাঁড়ালো।

“জানিস ডাক্তারবাবু কি বললো! বললো যে আর কটা দিন পরেই তোকে ছেড়ে দেবে। তেমন কিছুই হয়নি। সামনেই দুগ্গা পুজো। আমরা নতুন জামা পরে একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে যাবো। আর কি বললো জানিস সামনের বছর বিশ্বকর্মা পুজোয় আমরা যেন একসঙ্গে এক টিমে থাকি , তাহলে সব পাড়াই আমাদের কাছে গোহারা হেরে যাবে”।

সমাপ্ত

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।