• Uncategorized
  • 0

কবিতায় বলরুমে উজ্জ্বল দাস

ছন্দে ছন্দে কেলো

কদিন আগেই দাওয়ায় বসে
ভাবতে ছিলেম মনে।
আমার পেনের কালি কি গেলো
শুকিয়ে ঘরের কোনে !
গল্প কেন আর আসে না গিজ গিজিয়ে মগজে
ছন্দ কেন আর জমে না রমরমিয়ে কাগজে।
কারণ খুঁজতে জলকে নেমে কুমিরের নেই দেখা,
বন্ধুরা আজ ব্যস্ত সবাই জলকে আমি একা।
কষ্টে সিষ্টে চিন্তে ভেবে,
লাইন দুয়েক লিখতে নেমে, কেমন ধারা এলো।
লিখতে বসে আর মেলে না
ছন্দে ছন্দে কেলো।
তখন আমি ভাবছি বটেক ছাইড়া দিনু লিখ্যা,
শান না দিলে বুদ্ধি সমেত আমিও একটি বোকা
যারপর নাই হাত পা কাঁপে পেন বাবাজি স্থির
লেখার শুরু হলো যখন শব্দেরা গম্ভীর।
অনেক হেঁকে ডেকে যখন তাদের তোষামোদ
আসছে ফিরে হাত পা ছুঁড়ে বুদ্ধি নিয়ে বোধ।
যাক বাবা এই শুভ যাত্রায় উৎরে গেলাম দেখি
অনেক শব্দ কিলবিলিয়ে মাথায় ভরা একি!
আজগুবি সব “আবোল তাবোল”
“গেছো দাদা”দের নিয়ে
“ইট পাটকেল, চিত পটাং” ও
গামছা কাঁধে বিয়ে।
“হাস-জারু” আর “রাম গরু”রাও
অতিথি আজ বটে
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে লিখতে ছিলুম
আর কিছু নেই ঘটে।
কোত্থেকে এক “পাগলা দাশু”
রাম গরুড়ের নাতি।
জানতে পারি কথা বলে
খুঁজছে সে এক হাতি।
পুষবে নাকি সাধ হয়েছে
লাখ টাকারই লোভে।
সব খানে সে মারছে যে ঢুঁ
ফুঁসছে ভীষণ ক্ষোভে।
হাত পা ছুঁড়ে দাশু বাবাজি
রেগে গিয়ে কেঁদে।
বললে আমায় যেতেই হবে
রাখবে নচেৎ বেঁধে।
বেজায় চোটে দাশু খুড়ো
ডাকলো আমায় যেতে।
আমিও দিলাম সঙ্গ যে তার
লাখ টাকাটা পেতে।
হস্তি শাবক সেজে গুজে
চলছি পিছে পিছে।
মানে বিহীন ছন্দে তালিম
রাগ করো না মিছে।
পরের বারে আসছি কিন্তু
গল্প গাছা নিয়ে,
হুপিং কাশির গেছো বৌদির
বৌভাতে তে গিয়ে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।