T3 শারদ সংখ্যা ২০২২ || তব অচিন্ত্য রূপ || বিশেষ সংখ্যায় টুম্পা সাহা

কিশোরকাল

ভরন্ত কৈশোর অস্থির
ভাসমান আবেগ বেসামাল,
যন্ত্রনাও তীর হয়ে বিঁধে যায়,
বার্ধক্য স্মৃতি ভুলে স্তব্ধ থাকে।

কিশোর বেলার ভাললাগা লাগামহীন,
অবুঝ, অজ্ঞান সমাজ নিয়মের।
রঙ, চামড়া, বয়স সব সংজ্ঞা ছাড়া,
ছেলেটি নিজেও বোঝে না পুরোটা।

তার ঘোমটা দেওয়া মা,
গৃহকর্ম বা পূজোপাঠ সংসার।
তার নরম সরলতা সহপাঠির খোরাক।
তখন তিনি এলেন।

বড্ড গম্ভির, রাগি মানুষ।
ভয়ে জড় হঠাৎ লম্বা হওয়া বোকাটা।
চোখ আটকায় চকিত হাসিতে,
ভাঙে পাথর, শব্দ হয় না।

সাহসি হয়ে ওঠে সে,
আলোচনা সিলেবাসের মাঝে।
মা দূর্গার রূপক সাহিত্য বোঝান।
চোখে তখন দূর্গা রূপি তিনি।

ক্যাবলা প্রশ্ন করে ফেলে,
আপনি দেবী পূজা করেন?
স্মিত উত্তর, ‘হ্যাঁ’!
কল্পনায় রঙ চড়ে।

বাঁশের কাঠামোতে মাটি পরে
চক্ষূদানের পর ঘামতেল।
গল্পে দেবী স্বয়ং আসেন
গুন্ডা দমন করতে।

নিরীহ ছেলেটি রোজ মার খায়,
উদ্ধার করেন এক নারী।
যার মুখ প্রিয় মানুষটার মত,
যাকে সকালে দেখলেই মন ভাল।

অনেক দ্বীধা কাটিয়ে দিয়েই দিল,
তার নিবেদন করা গল্প।
জমা পড়ল অনেক কাগজের ভীড়ে।
কোনোদিন কি দেখবেন ফিরে,
সব খাতার মধ্যে এই সহজ স্বীকারোক্তি!

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!