T3 ।। কবিতা পার্বণ ।। বিশেষ সংখ্যায় তনিমা হাজরা

হিমেল পংক্তিমালা
(১)
জিরেন লেগেছে খেজুরের
বুকের কোঠায়,
টুপটাপ কুয়াশায় জমে
মধুমাস।
শীতল, তুমি আরো শীতল হও।
এ আঘ্রাণ ধরে রাখো
আস্বাদের রোমাঞ্চতায়।।
(২)
তালেগোলে পড়ে ঢিল,
বাড়ে ইওসিনোফিল,
হিমঝরা ভোরে আসে,
কাঁচের গেলাসে,
খেজুরের বুক চিরে সুমধুর রস।
কুয়াশায় হারালো কোথায় কিশোরী বয়স।
রোদ্দুরে গুড়িসুড়ি,
স্কার্ফেতে কান মুড়ি,
বেমক্কা ঠান্ডার ধাত।
অবেলায় চান করে,
রাতভোর কেশে মরে,
হাতে পায়ে রসুনের তেল।
গরজেই জেগে পড়ি,
পরীক্ষার নেই দেরী,
ঘুমঘুম খাতা আর পেন।
সেইসব ছিল ভালো,লোডশেডিং
আর হ্যারিকেন আলো,
খেজুরের গুড় আর পিঠে ও পায়েস।
শীত তুমি সহচরী,
হাতটি বাড়িয়ে ধরি,
আনমন পায়ে পায়ে ঋতুর সারণী বেয়ে যাই।।
(৩)
শীতের খেজুর গুড়ে
পায়েস আর পিঠের আঘ্রাণ,
শীতের কম্বল আর খ্রীষ্টমাস জুড়ে
অপেক্ষায় বৃদ্ধ দুটি প্রাণ।
অদূরে ব্যালকনি জুড়ে কলকল স্বরে চারটি পরিযায়ী পাখি রোদ্দুরে গা রেখে গায়,
প্রতি শীতে ঘর ডাকে যে তাদের,
একবার আয়, একবার আয়।
এ অপত্য মায়া,
কোথায় যেন হেঁটে হেঁটে চলে যায় হিমেল কুয়াশায় ।
(৪)
হিমেল হাওয়ার স্পর্শ গায়ে মেখে,
শীত দিচ্ছে আততায়ী আঁচ,
কুয়াশঘেরা মধুকল্প প্রাণ,
তুই বাঁচ,
তুই বাঁচ।
মাটির গায়ে রোদের চিলিক ছুট,
কি দিলো সে ছুঁয়ে,
এমন গভীর প্রাণ
দিলো রুয়ে,
দিলো রুয়ে।
সূর্য যাবে মকর রাশির বাড়ি
উত্তরায়ণ হলো এবার শুরু,
যাত্রাপথে সাথে যাব
চলো যাই
চলো যাই।।।ত নি মা।।
সবাই কে মকর সংক্রান্তির শুভকামনা।