কবিতায় তীর্থঙ্কর ভট্টাচার্য

দুটি দেশ একটি কবিতা

আজকে বলি দুটি দেশের গল্প।
সে কোথাও কোনো এক খানে
ছিল দুটি দেশ।
তাদের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাচ্ছে একটা নদী।
নদীটার নাম দীঘলা।
দুটি দেশের মানুষগুলো একাত্ম।
তারা সাঁকোয় করে একে অপরের কাছে আসত
কখনো তরী বেয়ে পৌঁছে যেত পরস্পরের নিকটে।
এদেশে যখন সাঁঝের আজান ডাক দিত,
ওদেশের বৌ ঝিরা টের পেত সাঁঝপিদিমের হয়ে গেছে সময়।
এদেশের হাকিমসাহেবের যখন বড় অসুখ,
ও দেশের বৈদ্যমশাই এসে দিলেন ভেষজ।
এ দেশে যখন উঠল উৎসবের ধুম,
সকলে মিলে মেতে আনন্দ করল ওখানে।
মিলে মিশে এভাবেই কাটছিল দিনগুলো।
পৃথিবীটা উঠল ফুঁসে যে বার
পাতাল পুরীর দানোর আস্ফালনে,
তখন থেকেই পাল্টে গেল ছবি
বদলে গেল তখন থেকেই সবই
ধরল কাঁপন মাটিতে আর মনে।
নদীতে উঠল ভয়ানক সেই ঝড়
ঘাটের তরী, তরীর ঘাট গেল পুরোই ভেঙে
তলিয়ে গেল সেই সাঁকোটাও দীঘলা নদীর জলে
দু পার থেকে দেখল তারা অবাক চোখ মেলে।
সে ঝড় যে থামবে কবে কেউ তা জানে নাকো
কখনো বাড়ে কখনো কমে কিছুই বোঝায় না তো।
নদীর ওপর ঘন কুয়াশা, তপ্ত হাওয়া বয়
নিকটে তার যায় না যাওয়া দৃষ্টি রুদ্ধ হয়।
এদেশ ওদেশ সম্পর্কের কেটে গেল তার
ছিন্ন ভুবন ছিন্ন যে মন শূণ্য নদীর ধার।
গল্পেতে অনেক কথাই রয়েছে বাকি, হয়নি বলা,
অনেক জীবন পার
নতুন করে লেখার আশায় আসি যেন ফিরি আবার।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।