সাতে পাঁচে কবিতায় শর্মিষ্ঠা সেন

বাগান বিলাসিনী

রাস্তার ওপারে যে অগোছালো বাগানটি রোজ দেখি তাতে খাপছাড়া ভাবে আছে কিছু ডালিয়া, পিটুনিয়া, গোলাপ আর গাঁদা।

বেঁটে বেঁটে ইনকা গাঁদার পাশে লম্বা বেমানান ডালিয়া। বেগনী, কমলা, হলদেটে সাদা। নাকি সাদাটে হলুদ?

আগাছার মতো বেড়ে ওঠা পিটুনিয়ায় হোরি খেলার রং দেখি।

কখনও টুবুটুবু উপছে ওঠা দীঘি, কখনও কাঠ হয়ে থাকা টব দেখি। শীতে চড়ুইয়েরা নাইতে আসেনা। দু একটা তিলে ঘুঘু দুপুরে উদাস হয়ে আলসেতে বসে, তারপর পাড়ি দেয় অন্য কোনোখানে।

কাঁটা গাছের মতো শীর্ণ গোলাপ, তবু পণ ধরে ফুল ফোটায় বাকিদের দেখাদেখি।

শুকিয়ে যাওয়া রক্তের মতো ঘন লাল, ফ্যাকাসে হলুদ আর গোলাপী। আমি সোনালী সকাল পার করে বসে বসে দেখি দুপুর, বিকেল। গোধূলি আলোর মতন মেঘের ওপর মেঘ জমে আকাশ জুড়ে। এলোমেলো হাওয়ায় চাতকেরা দ্রুত উড়ে যায় পশ্চিমে।

তখনই হঠাৎ খসে পড়া পাঁপড়িগুলো গোলাপী প্রজাপতির মতো উড়ে বেড়ায় কিছুক্ষণ। মৃত্যুর পর নতুন জীবন পেয়েছিল কী ওরা?

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।