দিব্যি কাব্যিতে সুকৃতি সিকদার

কবিতা দাঁড়িয়ে গেছে

১.
আমি যত ঘুমিয়ে থাকতে চাই
মুখ তত কথা বলে ওঠে।
কার মুখ? কিছুই বুঝি না!

পারদে জ্বরের দাগ নোনা,
জলের ঘর্ষণ তবু শুয়ে
পাড়ের বেদনা মুছে দ‍্যায়।

যখন থামতে চাই, আমাকে থামার গতি দিও
যেন পথ বেঁকে যায় কিছুটা উত্তরে।
নিজেকে পুড়িয়ে লিখি রাধা
কুচফল বিকেলের মতো এক মেয়ে
মাঝেমাঝে কুয়াশা চাদরে
কানে কানে কথা কয়ে যায়।

২.
যতই উল্টে দাও মাথা সেই এক গোল থেকে যাবে,
তোমাকে আপন করে আবার সরিয়ে দেবে হায়।

ননদি খেয়েছে যত হাড়
আমি তাকে তারোধিক করেছি হজম।
কবিতার ধারা কমে গেছে
নির্দেশনামায় নুনের দেমাগ গলে জল।

আলুনির স্বভাব বশত
একে একে সবাই সরিয়ে দিতে চায়
লাইনের পাশ থেকে চরম লাইন।

লাভ নেই এতবেশি বকে
চুপচাপ মাছের বিচারে মরে যাই।
থম মেরে থাকে একা লুনি।

ভরের নিত‍্যতা সূত্রগুলি
মানেনি রুমাল কোনোদিনই।
আমারও মৃত‍্যুতে পৃথিবীর ভরভার
কিছুই যাবে না কমে। শোনো,

যে যার নিজের খাটে শুয়ে
ভেসে যেও তোমরা সবাই।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।