ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন – ১০৪

ফেরা

লেহ যাবার গাড়ির প্রবলেম সল্ভড।পরশু যাওয়া, কাল কি সারাদিন আমরা মানালি তে হেঁটে বেড়াবো? নাকি নাগর ঘুরে আসবো।
নাগর? সেখানে কি আছে? অনিন্দিতা শুধায়।
ওখানে রাজবাড়ী আছে, যদিও এখন হোটেল হয়ে গেছে। এছাড়াও রোয়েরিখ এর বাড়ি আর মিউজিয়াম।
রোয়েরিখ? কে তিনি? নাম শুনিনি। দুই মহিলা সমস্বরে বলে ওঠে।
তিনি একজন রুশ শিল্পী। এটুকু জেনে রাখো। বাকিটুকু কাল ওনার বাড়ি গিয়ে বলবো।
অগত্যা। দুজনেই ঢকাঢক মাথা নাড়ে। শর্মাজীর কাছে আবার যাই। পরেরদিন একটা গাড়ি লাগবে। কুলু ভ্যালি, আপেল বাগান, নাগর ক্যাসেল আর রোয়েরিখ হাউস সব ঘুরে আসবো। শর্মাজী শোনেন। ফোনে কাকে নির্দেশ দেন। কাল সকাল নয়টায় একটা সুইফট ডিজায়ার আসবে। আট ঘন্টার চুক্তি। তিন হাজার টাকা লাগবে, সব ঘুরিয়ে দেবে। রাজি হয়ে তখনই টাকা মিটিয়ে দি। তারপর রাস্তায় নেমে চা আর লোকাল বিস্কুট খেয়ে পাকদন্ডী বেয়ে হিড়িম্বা মন্দির।
১৫ শতকে গুহা কেটে এক স্হানীয় রাজা মন্দির তৈরী করেন। জনশ্রুতি, মধ্যম পান্ডব ভীমের স্ত্রী হিড়িম্বা এখানে তপস্যা করেছিলেন। বাকি জায়গাতে ওনার পরিচিত রাক্ষসী হিসেবে, কিন্তু এখানে উনি দেবী রুপে পূজিতা হন। নবরাত্রির সময়, সারা দেশে মা দূর্গার আরাধনা চলে, ব্যতিক্রম মানালি। ঐ সময় ধুমধাম করে হিড়িম্বা মায়ের পুজো হয়। দূর গ্রাম থেকে যাত্রীরা আসেন। মেলা বসে।
মন্দিরে আমি আগেরবার ও গেছিলাম। পুরনো অ্যালবামে ইয়াকের পিঠে চড়ে ছবিও আছে। তবে এবার ইয়াক চোখে পড়লো না। বদলে বড়ো বড়ো পাহাড়ি খরগোশ হাতে অনেকে দাঁড়িয়ে। মহিলাদের হাতে দিয়ে ছবি তোলার জন্য। আমার সাথী দুজন মহিলাও সেই দলে নাম লেখাতে লেট করেননি। ঘচাঘচ ছবি ওঠে।
মন্দির থেকে বেরিয়ে আবার হোটেলে ফেরা। ডিনার হোটেলেই করবো। তবে হোটেলের পাশেই মদের দোকান দেখে মনে আসে… লুগড়ি খেলে কেমন হয়?

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!