ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন – ৩৭

ফেরা

মুসৌরি, তারপর আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি এতো বছরেও। তবে সেবারের স্মৃতি হয়ে রয়ে গেছে একটি ফটোগ্রাফ, এক বৃদ্ধ পাহাড়ি, এক বিশাল পাইথন নিয়ে বসে, যে পারে গিয়ে পাইথন হাতে নিয়ে ছবি তুলতে পারে, আমার তো দেখেই হয়ে গেছিলো। অতো কাছ থেকে জ্যান্ত পাইথন দেখিনি আগে, তবে তার পরের দিনই লছমনঝুলাতে এরকম আরেক পাহাড়ির দেখা পেয়েছিলাম, পরবর্তীতে বিন্ধ্যাচলেও এর অন্যথা দেখিনি। তবে আমার কখনোই সাহস হয়নি যে সেটা বলাই বাহুল্য।
মুসৌরি কেম্প টি ঘুরে, ঋষিকেশ, লছমনঝুলাতে ছোটো বেলার স্মৃতি ঝালিয়ে ফিরে এসেছিলাম হরিদ্বারে। তার পরেরদিন লোকাল সাইটসিয়িং করে প্রস্তুত হলাম গঙ্গোত্রী যাবার জন্য। আমাদের সাথে যাওয়া পিসির বৃদ্ধ শ্বশুর শাশুড়ি হরিদ্বার ভারত সেবাশ্রমেই থাকবেন আপাতত, আমরা ফিরলে একসাথে কোলকাতা ব্যাক করবো। অতঃপর আমরা বাকিরা, আমি, বাবা, জেঠু, পিসি, পিসেমশাই আর পিসতুতো বোন, তার বয়স তখন বছর আষ্টেক, ভারত সেবাশ্রমের পরিচিত এক গাড়ি ব্যবসায়ীর ঠিক করে দেওয়া আ্যম্বাস্যাডরে চেপে বসলাম এক ভোরবেলা। আমার একটু খারাপ লাগছিল সুমো পাইনি বলে, তবে বড়ো দের ইচ্ছায় কর্ম বলে আর কিছু বলিনি। এক মোটাসোটা ফর্সা গাড়োয়ালি যুবক, নাম দীপক, আমাদের সারথি হয়ে যোগ দিলেন। শুরু হলো আমাদের তিন ধাম ও গোমুখ যাত্রা, যদিও টের পাইনি প্রথম দিনেই অশান্তির মুখে পড়তে হবে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।