ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন – ৩০

তুমি ডাক দিয়েছ কোন সকালে

দোকান ছাড়িয়ে একটু এগোতেই বিশাল জায়গা জুড়ে বরফের চাঁই। খুব ধীরে ধীরে ব্যালান্স করে সেটা পেরোতে হবে। পা টিপে টিপে মিত্র জেঠিমার হাত ধরে পার হলাম। ওনাকে দাঁড়িয়ে থাকতে বলে আবার এদিকে এলাম। এবার জেঠুর পালা। একভাবে আমার হাত ধরে উনিও ক্রস করলেন। এরপর কিছুটা সমতল, তারপর ধাপ ধাপ বেয়ে সিঁড়ি উঠেছে একদম গুহা পর্যন্ত। সিঁড়ির আগে নির্মলদার সাথে দেখা। উনি বহু বার আসা পোক্ত লোক, আমাদের মতো কেলিয়ে পড়েননি। বললেন যে উনি ফিরতি পথ ধরছেন, আমরা যেন সাবধানে ফিরি। উনি তো চলে গেলেন কিন্তু লোকের ভিড় সামলে যখন আমরা গুহা প্রবেশ করলাম তখন আরো ঘন্টা দুই অতিক্রান্ত। প্রবেশ করা মাত্র মন ভরে উঠলো বাবা অমরনাথের বরফ লিঙ্গ দর্শন করে। এতো খরচ, এতো কষ্ট সার্থক হলো। কতো লোক কত আশা নিয়েও তো আসতে পারেন না, কিন্তু আমরা এসেছি বাবার কাছে, উনি নির্বিঘ্নে টেনে এনেছেন ওনার কাছে। প্রণাম জানাই, বার বার বাবা মায়ের কথা মনে আসে। ওনারা থাকলে কি খুশী হতেন। ঠাকুরকে বলি, তোমার কাছে ওঁদের ভালো রেখো। সাথে আনা পূজা সামগ্রী শিব লিঙ্গের সামনে ঠেকাই,যারা পূজা পাঠিয়েছেন আমার মাধ্যমে সবার নাম করি, বলি সবার পূজা গ্রহণ করো ঠাকুর। ইচ্ছা ছিলো আরো কিছু টা সময় থাকার কিন্তু এবার যে ফিরতে হবে। এবার নামতে শুরু করি। কিন্তু ঘন্টা খানেক হেঁটে যখন আস্তাবলের কাছে এসে পৌঁছে যাই, শুনি আমাদের দলের কয়েকজন বলছেন আজ রাত এখানেই কাটাবেন। মিটিং শুরু হয়। বলে দি আমি দল ভারি দের দলে। এক দোকানে ঢুকে এককাপ চা নিয়ে বসি। শরীর ছেড়ে দেয় পুরো।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।