কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সৈয়দ মিজানুর রহমান (পর্ব – ১৫)

অনন্ত – অন্তরা

আরে এই দেখছি অন্য রকম ছেলে!! উল্টো আমাকে কিনা !! ঠিক বুঝতে পারছিনা – তাহলে তো একটু দেখতে হয় বাজিয়ে । ওকে- এখনই এক কাপ ধুঁয়া উড়া কফির চুমুক চাই ! মিলিকে ডেকে বললাম – আমার এই মুহূর্তের চাওয়াটা যেন পূরণ করে । হ্যালো- জ্বী বলুন হ্যাঁ আমি অন্তরা বলছি – হ্যাঁ – হ্যাঁ হ্যাঁ – ঠিক আছে কাল ওকে আমার কাছে একটু পাঠিয়ে দিবেন আমি ওর সাথে কথা বলা দেখি । ওকে — আপনিও ভালো থাকবেন । কী যেন নাম ওহ অনন্ত- হ্যাঁ অনন্ত সাহেব এখন কথা বলা যাবে? মনটা কি স্বাভাবিক হয়েছে?
বুবু এই আফনের কফি – একদম যেমন কইছেন তেমনি হইছে- কী যে সুবাস মন ভোইরা যায় –
তাই নাকি? এখানে রেখে যা ।
জ্বী বুবু-
হ্যালো-
জ্বী আমি আছি যাইনি –
হ্যাঁ এবার বলুন কী বলতে চেয়েছিলেন?
হ্যাঁ বলছি– আমি যখন আপনার অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসেছিলাম এই জটিল নেটের দুর্গম পথে- তখন কিছু অনুভব আমায় তাড়া করেছিল- সেই কথাগুলি আমি লিখেছিলাম- যদি আপনি চান তাহলে আমি এখানে পাঠাতে পারি- তবে এক শর্তে রাগ করতে পারবেন না ।
হি হি হি — আচ্ছা রাগ করবো না – পাঠান ্‌
তোমায় না পেয়ে বন্ধু মন মোর জাগে স্বপনে –
হলুদ জমিন লাল পাড়ে পরলে তুমি ঢং তার আটপৌড়ে
আলতা পায়ে- নুপূর তার এক পায়ে-
কাজল বরণ কেশ তার- খোঁপায় গুঁজা গোপাল সাদা-
প্রেয়সীর সাঝে সেও সেজেছে এ যেন নব যৌবনা প্রকৃতি !
কী অপূর্ব প্রকৃতি-
ঐ চরণ যেন যায় ছুঁয়ে হৃদয় –
সবুজ, ধুসর মেঘ, নুড়ি পাথর বুকে আগলে
ধন্য জনম তোমার পরশে ।
পেয়েছেন ?
হি হি হি – আপনি এইগুলি কী ভাবেন ? এটা একদম ঠিক নয় – আপনি শেষ পর্যন্ত কষ্ট পাবেন । আমি একজন নিরস মানুষ – আমার মধ্যে অনুভব থাকলেও তার বহিঃপ্রকাশ মোটেও নেই । আমারও কল্প জগত আছে তবে আমি বাস্তববাদী, তাই বলি কী সুবোধ বালকের মতো অন্য কাউকে খুঁজে নিন । আমি এই জগতে অধরা থেকে যেতে চাই ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।