কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সৈয়দ মিজানুর রহমান (পর্ব – ১০)

অনন্ত – অন্তরা 

স্ফটিক-স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ঢাকনাটা উঠিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বন্ধু বাঁধনে শুভ জন্মদিনে সুগন্ধ Yami Yami নজর কাড়া কেকের মোড়ক উম্মোচন সন্ধ্যার উপলক্ষে । রেস্তোরার উদ্যোগে কিছু সংখ্যক বন্ধুরা এলো মোদের মাঝে জানাতে শুভেচ্ছা সন্ধ্যার শুভ জন্মদিনে । কেকের চারিপাশে সাজানো মোমবাতিগুলি জ্বালিয়ে দিলাম- হঠাৎ করে ঠিক টেবিলের উপরের লাইটগুলি বন্ধ হয়ে গেল! অপ্রস্তুত সন্ধ্যার মুখ মোমের আলোয়ে গলে গলে বন্ধুত্বের বন্ধন রেখা ঘুরে ঘুরে ভরাট হতে লাগলো অটুট বন্ধনে । আমি এমন করে কখনও দেখিনি ওর ঐ দু’টি চোখ আত্মবিশ্বাসে ভরে ওঠা আনন্দে!
বরাবরের মতো খুনসুটি মনোভাব কোথায় যেন মিলিয়ে গেল ফুটে উঠলো চটক চপলতা এক মায়াবী ইন্দ্রজাল!
ওগো বন্ধু!
তুমি মোর বিশ্বাসে বিশ্বস্ত
বন্ধুত্বের অমরবাণী ।
তুমি সুন্দর তুমি অবোলা
তুমি নারী- সব সম্পর্কের
উর্ধে বন্ধু তুমি ।
সন্ধ্যার মুখোরিত লগনে
চাতক মনে-
তুমি সন্ধ্যা হৃদয়ে মোর জাগরিত
শুভ লগন যে যায় বয়ে
সে তোমার জন্মদিনে ।
Happy Birthday to you
Happy—- Birthday——- to you————–
জীবন তোমার উঠুক ভরে অনাবিল আনন্দে
হে শুভদিন যাক ভরে জন্মদিনে আগামী পথ চলা অবারিত আনন্দে,
সানন্দে জীবন হোক সুখময় অপ্রতিরুদ্ধ ।
শুভ হোক শুভ দিনে
শুভ জন্মদিন ।
কবিতা আওড়ানোর শেষে সবাই আনন্দে উদ্ভাসিত হলো- তালি বাজালো- মনে হলো
ছাব্বিশটা রেস্তোরার সুপ্রশস্ত ক্ষেত্রটি স্তমিত হয়ে ভালবাসার সম্মান জানালো- মুহূর্তে আবার ঝলমল
করে উঠলো খিলখিল হাসি আনন্দে ।
অনন্ত আমার পাশে এসে দাঁড়া –
আমি চুপচাপ ওর পাশে এসে দাঁড়ালাম, পাশের বন্ধুরা কেক কাটতে বলল, সন্ধ্যার হাতে কেক কাঁটা ছুরিটি দিয়ে বললাম দেরি নয় এখনি কেক কাটতে হবে । আমরা সবাই হ্যাপি বার্থডে বলতে শুরু করলাম, সন্ধ্যা জলন্ত মোমবাতিগুলি এক এক করে নিভিয়ে কেক কাটতে আমার হাত নৈশব্দে টেনে নিল ওর হাতের মধ্যে- আমি মানা করলাম না একসঙ্গেই কেক কেটলাম-পরমুহূর্তে ওর মুখে তুলে দিতে ইশারা করল ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।