কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সৈয়দ মিজানুর রহমান (পর্ব – ২৪)

অনন্ত – অন্তরা

কাঁচা ঘুমে এই অবেলায় আমার দরজায় কে ঠক ঠক করছে? ইস! এখন ঘুম থেকে উঠতেই হবে- না হয় দরজা আর আস্ত রাখবে না । কোন্‌ পাগলের পাল্লায় পড়বো দরজা খুলে আল্লাহই জানেন । দরজা ভেঙ্গে ফেলবে না তো? একটু রক্ষা করুণ আমি আসছি ।
কি হয়েছে? আরে তুই? পাগল! না না পাগলী!!! ভুল করে পাগল বলে ফেলেছিলাম । তো কি হয়েছে এতো হৈ চৈ কেন? মনে হয় বাড়িতে ডাকাত পড়েছে! আর একটু হলে তো দরজা ভেঙ্গে ফেলতি !!
তোর বাসায় এসে তোর সাথে এখন আর ঝগড়া করবো না –
বাসায় কোথায়? এখনো বাইরে দাঁড়িয়ে আছিস, এখান থেকে ঝগড়া করা যায়, কর না ঝগড়া- জ্বালা মেটেনি তাই বাসায় এসছিস ।
শোন তুই আমাকে সেইটা দিয়ে দিয়েছিস ঠিক তো? সেটাই সামনা সামনি শুনতে এসছি । এবার বল ।
হ্যাঁ আমি যা বলি সেটা বুঝে শুনে বলি এবং সেই কথায় অনড় থাকি । সেট তোকে দিয়ে দিয়েছি । এটাই ফাইনাল ।
আমি যে কী খুশী হলাম অনন্ত, এই না হয় বন্ধু, একেই বলে পরাণের বন্ধু । আমি তোর কাছে চিরকৃতজ্ঞ থেকে আমি আবার আমার পরাণের বন্ধুকে এই আনকোরা সেটটি আমার পক্ষ থেকে তোকে তোফা দিলাম । এই নে বন্ধু আমার ।
আরে না আমি তোকে মন থেকে দিয়েছি ওটা তুই রাখ আর যদি দিতে চাস তাহলে তোরটা আমাকে দিয়ে যেতে পারিস ।
বন্ধুত্বের ভালবাসায় আমার বুক ভরে গিয়েছে – অনেক সময় হয়ে গিয়েছে আমাকে বাসায় ফিরতে হবে, প্লিজ তুই সেটটা রাখ, আমি যাব । এই ধর সেটটা । পারলে আমাকে একটু এগিয়ে দিয়ে আয় সন্ধ্যা উৎরে গিয়েছে তো ।
চল তোকে দিয়ে আসি, তুই ভেবেছিলি আমি মন থেকে বলিনি তাই না? তোর সাথে ঝগড়া না করতে পারলে আমার কেমন যেন লাগে! তাই ঝগড়া করি এই ঝগড়া মধ্যে এক অন্যরকম মায়া আছে যা ঝগড়ার সাথে ভুলতে বসেছিলাম, যখন বুঝলাম, তখন মনে হল এটাতো সামান্য একটা সেট এর চেয়ে বেশী কিছু চাইলেও আমি দিয়ে দিতাম ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।