আজ চোদ্দই জানুয়ারি মা, পৌষ সংক্রান্তি।
মনে পড়ে সেই ঘুড়ির মেলা? দামোদর, মাইক বাজিয়ে গান?
আমাদের রাত জেগে পৌষ ডাকা, একসাথে বসে পুলিপিঠে তৈরি?
আমি ঠিকমতো পারতাম না মা, কিন্তু কেউ আমায় বারণ করেনি।
লম্বা, গোল, বেমানান – যাই করেছি, কত যত্নে সাজিয়ে দিয়েছো তোমরা!
ছোড়দির সাথে লক্ষ্মীপুজোর আলপনা,
সারাদিন ধরে ছাদে জেঠু, দাদাদের সাথে আমাকেও ঘুড়ি হাতে দেখে সে কি আমোদ তোমাদের!
আমি ওড়াতে পারতাম না মা, ছিঁড়ে ফেলতাম, কেটে ফেলতাম,
তাও কেউ বারণ করেনি।
তখন করতে পারতাম না অনেক কিছুই, তাও কত বেঁচেছি!
আজ চোদ্দই জানুয়ারি মা, পৌষ সংক্রান্তি।
কিন্তু এ শহরে ওরকম ঘুড়ির মেলা হয়না।
শীতের দুপুরে ছাদে উঠলে আমি আর ঘুড়ি দেখিনা, মেঘ দেখি হাঁ করে।
পড়ন্ত সূর্যের পাশ দিয়ে ভেসে যাওয়া নরম মেঘগুলোর ফাঁকে ফাঁকে আমি এখন ছোড়দি, জেঠুদের খুঁজি।
আর পিঠেপুলি হয়না মা?
এখন আমি বড় হয়ে গেছি, এখন আমি অনেক কিছু করতে পারি।
কেবল আর আগের মত বাঁচতে পারিনা মা, আর বাঁচতে পারিনা।