• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় সন্দীপ গাঙ্গুলী

দক্ষিণের বারান্দায়

একটা বড় ঢেউয়ের বাচালতায় অবন্তীর হাতটা ছেড়ে যায়।পরের পর ঢেউয়ে সে ক্রমশ দূরে চলে যায় শৌণকের থেকে। বাঁচাও বাঁচাও শব্দের অনুরণনের মধ্যে অবন্তী ফিরে যায় উত্তর কলকাতার একচিলতে বারান্দায়।
অবন্তী তখন প্রেসিডেন্সির থার্ডইয়ার,এক রবিবার দিদি অহনাকে দেখতে এসেছিল পাত্র শৌণক। বেশ কিছুক্ষণ কথোপকথন হয় দুপক্ষের, স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে এই আলাপচারিতায় মধ্যমণি হয়ে ওঠে স্রোতস্বিনী অবন্তী।
কয়েকদিন পর কলেজস্ট্রিটে দেখা হয় অবন্তীর সঙ্গে শৌণকের। কেমন আছো র আচ্ছাদন সরিয়ে কয়েক মিনিট কথাবার্তার পর যে যার নিজের
পথে চলে যায়।
সপ্তাখানেক পর এক আদুরে সন্ধ্যায় দক্ষিণের বারান্দায় গল্পে মশগুল অবন্তী আর অহনা। হঠাৎ টেলিফোনের শব্দে কথার রেশ হারিয়ে দুজনেই চেয়ে থাকে চুরি যাওয়া গোধূলির
শেষ আলোকরেখায়। মা রেবাদেবীর কথায় ঘুরে তাকায় দুজনেই,”শৌণক বিয়ে করতে চায় অবন্তীকে।”
অদ্ভুত ভালোলাগার আবেশে হারিয়ে যায় অবন্তী।কোলের ওপর রাখা কুশান দিয়ে সেই অচেনা অবন্তীকে স্নেহের আঘাত করতে থাকে অহনা। পুরোনো কুশান ছিঁড়ে যায়- পেঁজা তুলোর হাহাকারে হারিয়ে যায় অহনার সুখবিলাস।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।