সম্পাদকীয়

উত্তপ্ত পরিবেশ… অপদার্থ মানুষ…

উত্তপ্ত পৃথিবী… গাছগাছালিতে ভরা জায়গাও ভীষণ উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। আজকাল মনে হয় গাছেদেরও গরম লাগে। ঠা ঠা রোদ্দুর মাথায় নিয়ে ঘুরে এলাম গারো পাহাড়ের পাদদেশ থেকে। রাঙা মাটি, নীল আকাশ, সবুজ পাহাড় রঙের কন্ট্রাস্টে ডেউয়া ফলের খোঁজ করে চলা। ছোটবেলায় এই ফল দিয়ে স্লেট মুছেছি কতো! কিন্তু আজ এ গাছ দেখাই যায় না। যেখানেই যাচ্ছি একটাই কথা শুনছি, দু’বছর আগেও ছিল, ওই যে রাস্তা চওড়া হলো, ওই যে বাড়িটা তৈরি হলো… তখনই কাটা পড়েছে। যাইহোক তিনটি গাছের খোঁজ পেলেও ফলের দেখা পেলাম না। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে ফুল ফল ফোটার সময় পরিবর্তন হয়ে গেছে। অবশেষে ব্যর্থমনোরথ হয়ে ফিরলাম। তীব্র গরমে পিঠ পুরো ভিজে গিয়েছে। এসময়ে একটু ফ্যানের হাওয়াও বড় আরামদায়ক। অথচ আমাদের অফিসে ফ্যান নেই। রয়েছে এসি। এদিকে এসি মেশিন খারাপ হয়েছে। আমাকেই ফোন করতে হলো মেকানিককে। সব দেখে মেকানিক বললেন CFC অর্থাৎ ওই যে পড়েছিলাম পরিবেশ বিদ্যার বইয়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং, গ্রীন হাউস এফেক্টের জন্য দায়ী গ্যাস ক্লোরো-ফ্লুরো-কার্বন, ওটা শেষ হয়ে গেছে, ভরতে হবে। তাতেই সায় দিতে হলো। গ্রেটা থুনবার্গ, তুমি ওদিকে লড়ছো পরিবেশের জন্য, গ্রেফতার হচ্ছো, আর তোমাকে আদর্শ মানা আমি বাইরে ঘুরতে ঘুরতে কত পরিবেশ নিয়ে চিন্তা করে শেষে কি করলাম দেখো… এভাবেই আমাদের মতো মানুষের পরিবেশ প্রেম, প্রতিবাদ সমূলে উৎপাটিত হয়। পৃথিবী তুমি তো ঠিকই বেঁচে যাবে কিন্তু মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। যাওয়াই উচিত।

যাক, তার আগে কিছু মানুষের সৎ চিন্তার প্রতিফলন দেখে যাই আজকের সংখ্যায়…

সায়ন্তন ধর

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *