সময়টা অসময়ে এসে মেশে-
চায়ের ভাড় হাতে ফুটন্ত রক্ত বুকে নিয়ে-
একদল কিশোর ভীড় জমায়।
রাস্তার সাথে প্রাঙ্গণে’র ব্যবধান রাখতে,
১০ ইঞ্চির যে পাচিল টানা হয়েছে;
সেটাকেই সিংহাসন বানিয়ে জমে উঠেছে আড্ডা।
পাশে একটা দাদুর দোকান,
আজকাল বয়সের ভারে সন্ধ্যায় আর খোলে না।
দুদিকে দুটো অটোস্ট্যান্ড-
বালখাল-বাগখাল, বালিখাল-সালকিয়া।
মাঝে একটা গোল চৌবাচ্ছা।
ফোয়ারা আর রকমারি রঙের আলো গুলো খারাপ হয়ে গেলেও,
অযত্নেই বেঁচে আছে বেশ কিছু বিলাতি মাছ।
উন্মত্ত যৌবনের উৎসূক আর পিপাসু চোখ-
গিলে খায় সদ্য যৌবনপ্রাপ্ত মেয়ে বউদের শরীর।
বয়ঃসন্ধিতে পথের সন্ধিই যেন পথ দেখায়।
দুটো ব্রিজ, চারটে রাস্তা-
যেন দুটো অসম্পূর্ণ সম্পর্ক।
প্রথম ব্রিজের পুরুষ দ্বিতীয় ব্রিজের নারীর প্রস্তাবে যেমন সাড়া দেয়নি,
ঠিক তেমনই রাস্তাগুলো সমান্তরালে চলে গেছে চোখের বাইরে।
মন ভাঙ্গা প্রেমিক-প্রেমিকার মতো,
সম্পর্ক বাঁচানো একটা ছায়া দিচ্ছে অবিরাম।
সদ্য গজিয়ে ওঠা দোকানগুলোর বেশ রমরমা।
মোমোর স্যুপের উষ্ণতা গুণে গুণে তিন ফু’য়ে ঠান্ডা করে,
প্রেমিকের মুখে তুলে দেয় প্রেমিকা।
৪০ টাকায় জব্দ করা ৫ টা মোমোর সঠিক ভাগ হতে দেখিনি কখনও।
চিকেন প্যায়ারি কাবাব’এ কতটা ভালোবাসা জমে থাকে,
তার খোঁজ, তারাও বোধ হয় নেয়নি কখনও।
এর মাঝেই ঠিক হয়ে যায় ধর্মতলা অভিযানের পরিকল্পনা।
চাপ কি, চুয়ান্ন আছে যে।
খুব অসুবিধা হলে খিদিরপুর মিনিতেও চলে যাওয়া যায়।