মেয়েগুলো স্নিগ্ধ কেউ, প্রেমিকা আপনারও, ভুল ভাববেন না, সত্যতার পিস্টনের আগ্রাসনে মহিলাগুলোও। হ্যাঁ রে বাবা হ্যাঁ, ‘বি বিউটিফুল’ স্মারকবক্তৃতার ছেনি-হাতুড়ি, বালি-জল সিমেন্টে গড়া সেই মেয়েগুলো, কাশবনে দুর্গাছাপ ঘটিহাতা ব্লাউজ, বুটিকের সাজসজ্জা, শালিখের রিনরিনে নোয়াবাঁধানো ঘাটদুপুরে কলসি কাঁখে সেই শ্যামের বাঁশির মেয়েগুলোর কথাই বলা হচ্ছে।
আপনার প্রেমিকা, ওই যে সেই ‘নো ব্রা’ ক্যাম্পেইন অথবা ‘আমাদের ছোট নদী’ যে বলার জন্যে সলতে পাকায় রাতদিন, মূর্খের স্তব্ধতা নির্ধারিত পরিমাণে উপচে পড়ে যার স্তনে, নাভিতে, উরুসন্ধিতে আর পিঠের লাল তিলটার উপর, হ্যাঁ, সেই কলেজ-কাটা, শ্বশুরবাড়ির মুখে কাদাছোঁড়া ধিঙ্গিটাই সেই মেয়েগুলো, প্রেমিকা আর মহিলাগুলো।
লেবুর জল-খাওয়া নোনা-ঠোঁটে এক ঢোকে ট্রামের পাশের লাল স্ফটিকের সূর্য্য ধরে খায় যে, ওই হতচ্ছাড়ি রাক্ষুসী মেয়েগুলো, প্রেমিকা আর মহিলাগুলোর কথাই বলছি রে বাবা, বাস, ট্রামের পাদানিতে গোড়ের মালা জড়ানো সেই প্রগল্ভ পাগলীগুলোর কথা, যাদের জন্যেই কবিতা নির্নিমেষ, অন্ত্যজ ভালোলাগা, আর ব্লাউজের হাতায় শিরশিরানি, থমকে থাকা লাজুক বিকেল, কপোত-সন্ধ্যে আর ডার্বি-ছুটের ফ্লাডলাইট।
হ্যাঁ, এইবারে মন দিন, ভাবুন, এরাই সেই মেয়েগুলো, প্রেমিকা, মহিলাগুলো, ভাবতে থাকুন! চিনতে পারবেন ঠিকই, যদি আবার চিতাভস্ব থেকে ফিনিক্স জন্মায়!