গারো পাহাড়ের গদ্যে স্বপঞ্জয় চৌধুরী

সত্য হে, সুন্দর হে

অসীম এ মহাবিশ্ব। সহস্র-সহস্র, কোটি – কোটি গ্রহ-নক্ষত্রের সমহার এই জগতে। তার মাঝে ছোট্ট একটি গ্রহ পৃথিবী।
আর এই পৃথিবীতেই অস্তিত্ব রয়েছে প্রাণের। প্রাণিকুলের শ্রেষ্ঠ মানুষ। প্রাণ আছে বলেই উপলব্ধি আছে।ভাল-মন্দ, সুখ-দুঃখ এসব উপলব্ধিকে ঘিরেই তৈরি হচ্ছে মানব সংসার। মানুষ নিজের ভেতর উপলব্ধি করতে শেখে ঈশ্বরের অস্তিত্ব । ঈশ্বরকে খুঁজতে মানুষ গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ছুটে বড়ায়। আবার কেউ কেউ স্রষ্টাকে বেমালুম ভুলে গিয়ে নিজেকে আধুনিক হিসেবে জাহির করে। কোথা থেকে এলাম আমি, আবার কোথায় মিলিয়ে যাব। আমি কি শুধুই আমি নাকি অন্য কোন কেউ। আমার ভেতরের এ অদ্ভূত ক্ষমতা কে দিলো? ঈশ্বর আমাকে সে ক্ষমতা দিয়েছেন। আমরা শ্রেষ্ঠ হই কিন্তু যিনি আমাদের শ্রেষ্ঠ হওয়ার গুনাবলী দিয়ে তৈরি করেছেন তাকেই ভুলে যাই। আমরা ডুবে থাকি মিথ্যে ও ভ্রমের সাগরে।
এ পৃথিবীতে নানা জাতের মানুষের বসবাস। তাদের আচার-আচরণ, কৃষ্টি-কালচারও ভিন্ন। কিন্তু কিছু কিছূ মৌলিক বৈশিষ্ট্য সব মানুষের ভেতরই বিদ্যমান। মানুষের স্বভাব, আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে তার সত্ত্বা। মানুষের ভেতরে দুটো সত্ত্বা বাস করে। এক হচ্ছে পশুসত্ত্বা আর অন্যটি হচ্ছে মানবসত্ত্বা। পশু জন্মগ্রহণ করেই পশু হয় কিন্তু মানুষ জন্মগ্রহণ করেই মানুষ হয়না। বিষয়টি একটি উদাহরণের মাধ্যমে বললে সহজ হবে। যেমন- একটি গোখরো সাপের বাচ্চা জন্ম নেয়ার সাথে সাথেই তার অজান্তেই সে পাশবিকতা অর্জন করে ফেলে। সাপের বাচ্চাকে আঘাত করলে সে সঙ্গে সঙ্গেই ছোবল দেবে। তাকে কেউ ছোবল দেয়ার কথা শিখিয়ে দেয়নি। কিন্তু একজন মানব শিশু(নবজাতক)কে আঘাত করলে সে পাল্টা আঘাত করতে পারবেনা। কারণ তার ভেতর তখনও না সৃষ্টি হয়েছে মানবিক গুন, না সৃষ্টি হয়েছে পাশবিক গুন। সে বড় হতে হতে তার পরিবার থেকে, পরিবেশ থেকে, সমাজ থেকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দেখে দেখে এই গুনগুলো আয়ত্ত¡ করবে। সে মনুষত্ব্য অর্জন করবে। ভাল সঙ্গ, ভাল বন্ধু তাকে মানবিক হতে শেখাবে। খারাপ সঙ্গ, খারাপ বন্ধু তাকে পশু বৈ অন্য কিছু তৈরি করবেনা। মানুষকে জ্ঞান অর্জনের আগে যে জিনিসটি অর্জন করতে হয় তা হচ্ছে ‘কান্ডজ্ঞান’। কি ভাল? কি মন্দ? কি সত্য? কি মিথ্যা? তা বাছাই করার, উপলব্ধি করার ক্ষমতাই হচ্ছে কান্ডজ্ঞান। কোন বই পড়ব- কোন বই পড়বনা, কোন সিনেমা দেখব- কোন সিনেমা দেখবনা, কোথায় যাব-কোথায় যাবনা, কার সাথে মিশব- কার সাথে মিশবনা এসব বিষয়কে নির্বাচন করতে হবে কান্ডজ্ঞান দিয়ে। কিছু বিষয় আছে, জিনিস আছে যা চোখে ভাল লাগে, তাকে স্পর্শ করলে, চিন্তা করলে চিত্তে মোহময় সুখ অনুভূত হয়। কিন্তু তা মনকে একবিন্দুও বিকোশিত করেনা। এসব বিষয় থেকে অবশ্যই দূরে থাকা বাঞ্চনীয়।খারাপকে বুঝতে হলে খারাপ হওয়ার প্রয়োজন নেই। আগুনকে বুঝতে হলে এর তাপই যথেষ্ঠ, এতে পুড়ে মরবার কোন যুক্তি নেই। মন্দের বীজ মনের গভীরে বোপিত হলে তা তর-তর করে বড় হয়ে বৃক্ষে রূপ নিবে। সে বৃক্ষের বাতাসে বিষ থাকবে, যা গ্রহণ করলে মানুষ ক্রমশই জীবন্মৃত হয়ে উঠবে। তাই সেই বীজ শুরুতেই বিনষ্ট করতে হবে।
আমরা অনেকেই উপদেশ শুনতে পছন্দ করিনা। আমাদের কাছে তা তিক্ত মনে হয়। মনে মনে বলি আরে ওটাতো আমি জানি। আমাদের ভেতরে জানার অহমবোধ কাজ করে। আর এ কারণেই আমরা সত্যকে উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হই। ক্রমশই ডুবে যাই মিথ্যের সাগরে। মুসলিম দার্শনিক ইবনে রুশদ্ এ সম্পর্কে বলেছেন- “ আমরা সত্যকে উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হই তিনটি কারণে- এক হচ্ছে আমরা যা বলি তা সত্য মনে করি, দুই হচ্ছে আমরা নিজের অজ্ঞতা সম্পর্কে জ্ঞাত নই, তিন হচ্ছে আমাদের সংকুচিত গ্রহণ করবার ক্ষমতা।” কোন মহৎ কিছু , ভাল কিছু অর্জন করলে যা তোমার এবং তোমাদের সম্মান বাড়িয়ে দেবে তার জন্যে আত্মঅহংকারে নিমজ্জিত হইওনা। নম্র হও। নম্রতা মানুষের সম্পদ। এটি মানুষকে অনেক উপরে নিয়ে যায়। মানুষের চিন্তাকে শুদ্ধ করে। মানুষ নিজের অজান্তেই স্বর্গসুখ অনুভব করে।
মানুষের ধর্ম কি? শিক্ষা কি?মানুষের ধর্ম নিজেকে গড়া, নিজেকে জানা। ছাত্রের ধর্ম অধ্যয়ন, মুচির ধর্ম জুতো সেলাই, স্রষ্টার ধর্ম সৃষ্টি করা, বৃক্ষের ধর্ম অক্সিজেন দেয়া। প্রতিটি কাজের উদ্দেশ্যই সেবা।  অতএব সেবাই ধর্ম। একজন ছাত্র বই পড়ে নিজের ভেতর যে বোধকে আবিষ্কার করে সে বোধই হচ্ছে তার জন্যে ধর্ম। নিজের ভেতর বোধকে জন্মালে কিন্তু করলে এর উল্টো তবে তোমার সমস্ত শিক্ষাই বৃথা হলো। মা-বাবা, শিক্ষক, সমাজের মানুষ তোমার আচরণে কষ্ট পেল। তুমি সাময়িক চোখের ভাল লাগায়, দেহের সুখের জন্য মাদকতাময় কিছু গ্রহণ করলে। তোমার ভেতর উগ্রতাকে ঠাঁই দিলে অথচ তুমিই কিনা বলছ তুমি শিক্ষিত! আধুনিক! সে শিক্ষা শিক্ষাই নয় যা চিত্তকে, আত্মাকে বিকশিত করেনা। সে বন্ধু বন্ধুই নয় যে বিপদে কাজে লাগেনা। যে চিন্তায় ও মননে নিচ্ সে প্রকৃতপক্ষে অথর্ব বৈ অন্য কিছু নয়।
জ্ঞান কি? বিজ্ঞান কি? যা মানুষের চেতনাকে জাগ্রত করে, মহৎ ও উন্নত করে তা-ই জ্ঞান।যা মানুষকে সত্য ও যুক্তিবাদী করে তোলে তা-ই বিজ্ঞান। বিজ্ঞান ঈশ্বরের দান। মানুষ একে ছোঁয়ার চেষ্টা করছে মাত্র। মানুষ পুরোপুরি এর ব্যবহার করা শিখে উঠতে পারেনি। দেশে-দেশে যুদ্ধ বিগ্রহ, মিথ্যে সংস্কৃতি, বোধশূন্যতা এখন বিদ্যমান। জাগতিক মোহ, লোভ তাকে ধ্বংসাত্মক করে তুলছে।  মানুষকে বিজ্ঞানের অপব্যবহার, অপপ্রয়াস বন্ধ করতে হবে। নতুবা খুব শীঘ্রই কালের গহŸরে মানবজাতি হারিয়ে যাবে। বিজ্ঞানকে বিকাশের পথে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কিন্তু এও খুব শঙ্কার কারণ বিজ্ঞান ক্রমশই এ পৃথিবীকে, মানুষকে কৃত্রিম করে তুলছে।  মানুষ ভালবাসা নিয়ে বাঁচে। মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ভালোবাসা । মানুষ এই সম্পদকে দিনকে দিন হারিয়ে ফেলছে। মানুষ নিজেকে যান্ত্রিক করে তুলছে। সত্যকে-সুন্দরকে ফেলে দেয়া হচ্ছে অন্ধকার ভুবনে। যা কিছু মহৎ, চিরন্তন তা-ই আধুনিক। যা কিছু শালীন-সভ্য তা-ই সুন্দর। বিজ্ঞান সত্য ও সুন্দরের উর্ধ্বে নয়।
এবার আমরা জানতে চেষ্টা করবো শিক্ষা কি? শিক্ষার সংজ্ঞা কি? তাৎপর্য কি? আর প্রকৃতপক্ষে শিক্ষা বলতে কি বুঝায়? প্রথমে কয়েকটি শব্দ ব্যাখ্যা করতে চাই। যেসব শব্দ ব্যবহার করে শিক্ষা বুঝানো হয় সেগুলোর বিশ্লেষণ শিক্ষার মর্ম বুঝার সহায়ক হবে। যেমন কোনো বস্তুকে বুঝতে হলে তার উপাদান বিশ্লেষণ করে দেখা একান্ত জরুরি।
ইংরেজি ভাষায় শিক্ষার প্রতিশব্দ হলো Education. Education শব্দের সাধারণ আভিধানিক অর্থ হলো : শিক্ষাদান ও প্রতিপালন। Educate মানে : to bring up and instruct, to teach, to train অর্থাৎ প্রতিপালন করা ও শিক্ষিত করিয়া তোলা, শিক্ষা দেওয়া, অভ্যাস করানো।২
Joseph T. Shipley তাঁর  Dictionary of word Origins এ লিখেছেন, Education শব্দটি এসেছে ল্যাটিন Edex এবং Ducer-Duc শব্দগুলো থেকে। এ শব্দগুলোর শাব্দিক অর্থ হলো, যথাক্রমে বের করা, পথ প্রদর্শন করা। আরেকটু ব্যাপক অর্থে তথ্য সংগ্রহ করে দেয়া এবং সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করে দেয়া।
একজন শিক্ষাবিদ লিখেছেন, Education শব্দের বুৎপত্তি অনুযায়ী শিক্ষা হলো শিক্ষার্থীর মধ্যকার ঘুমন্ত প্রতিভা বা সম্ভবনার পথ নির্দেশক।
আরেকজন শিক্ষাবিদ লিখেছেন :
‘Education denotes the realization of innate human potentialities of individuals through the accumulation of knowledge’.
আমরা কিভাবে শিখি? শেখার অনেকগুলো পদ্ধতি আছে যেমন: See and Learn – দেখো এবং শেখো, Hear and Learn-শোন এবং শেখো, Read and Learn- পড় এবং শেখো, Think and Learn চিন্তা করো এবং শেখো, Discuss & Learn আলোচনা করো এবং শেখো।
আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ও অর্থবোধ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। সনদধারী শিক্ষিতের হার বাড়ছে। বাড়ছে না প্রকৃত নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন দেশপ্রেমিক ও দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষিতের সংখ্যা। রবীন্দ্রনাথ সেই একশত বছর আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন এই তথাকথিত পুঁথিগত বিদ্যা সম্পর্কে তাই তিনি যথার্থই বলেছিলেন-“বাল্যকাল হইতে আমাদের শিক্ষার সহিত আনন্দ নাই। কেবল যাহা-কিছু নিতান্ত ই আবশ্যক তাহাই কণ্ঠস্থ করিতেছি। তেমন করিয়া কোনোমতে কাজ চলে মাত্র, কিন্তু বিকাশ লাভ হয় না। হাওয়া খাইলে পেট ভরে না, আহার করিলে পেট ভরে; কিন্তু আহারটি রীতিমত হজম করিবার জন্য হাওয়া খাওয়ার দরকার। তেমনি একটা শিক্ষাপুস্তকে রীতিমত হজম করিতে অনেকগুলি পাঠ্যপুস্তকের সাহায্য আবশ্যক। আনন্দের সহিত পড়িতে পড়িতে পড়িবার শক্তি অলক্ষিতভাবে বৃদ্ধি পাইতে থাকে; গ্রহণশক্তি ধারণাশক্তি চিন্তাশক্তি বেশ সহজে এবং স্বাভাবিক নিয়মে বললাভ করে…।” (শিক্ষার হেরফের)
আমাদের দেশের শিশুরা উটের মত কুঁজো হয়ে একগাদা বইপুস্তক নিয়ে বিদ্যালয়ে যায় । কিছু শিট ও মুখস্থ নোটবিদ্যা ছাড়া তারা আর কিছু লাভ করেনা । অন্যদিকে, জাপানের তোমোএ গাকুয়েন স্কুলের শিশুরা হাঁটতে হাঁটতে, ঘুরতে ঘুরতে, সাঁতার কাটতে কাটতে,  ফুল-পাতা, প্রজাপতি দেখে দেখে শেখে প্রাণিবিদ্যা, ইতিহাস, শারীরবিদ্যা। নদী, পাহাড়, সমুদ্র ঘুরে ঘুরে শেখে জীবনের প্রয়োজনীয় শিক্ষা। আর সেতো এক মজার জায়গা। যেখানে শিশু শুধু শেখেই না জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুঃসাহসিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে। তত্ত¡চানের স্কুল তোমো এ গাকুয়েন। এই স্কুলের শিক্ষার্থী ছিল তত্ত¡চানের মতো চঞ্চল প্রকৃতিপ্রেমিক, তেমনি ছিল প্রতিবন্ধীসহ নানান ধরনের শিক্ষার্থীও। স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য ছিল-তা হচ্ছে এদেরকে বিভিন্ন স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোবাইয়াশি সোসাকুর বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে শিশু উপযোগী শিক্ষাপদ্ধতির ফলে ঝরে পড়া শিশুরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ওঠে। ‘জানালার ধারে তত্তচান’ বইটিতে তত্ত¡চানের ছোটবেলার ঘটনার মধ্য দিয়ে কোবাইয়াশির পাঠদান পদ্ধতির বর্ণনা করা হয়েছে। যা আমাদের পাঠদান পদ্ধতির ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেয়। তাই আমাদের জন্য দরকার বিনোদনভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি। শিশু শিখবে খেলতে-খেলতে, দেখতে-দেখতে, জানতে-জানতে, প্রশ্ন করতে-করতে।
মানুষের বেঁচে থাকার সুখ কোথায়? যখন মানুষ নিজের ভেতরের সত্ত¡াকে সত্য ও সুন্দরে ভরে তুলবে তখন ঈশ্বর তার মনকে স্বর্গীয় সুখে ভরে তুলবেন। আত্মস্বচ্ছতার চেয়ে জগতে আর বড় সুখের কিছু নাই।প্রতিটি মানুষ নিজেই তার নিজের মনের খবর জানে।
সত্য ও সুন্দরের মধ্যে সম্পর্ক কি? সৌন্দর্য একটা শিল্প। সত্য বাসনা মনের ভেতরের সৌন্দর্যের কুসুমবৃত্তিকে জাগ্রত করে। কি ছাত্র জীবন, সমাজ জীবন, কর্ম জীবন সকল ক্ষেত্রেই এই কুসুম বৃত্তিকে লালন করতে হবে। রোমান্টিক কবি    কীটস  সত্য ও সুন্দরকে দেখেছেন অভিন্নভাবে বলেছেন-‘Truth is beauty, Beauty is truth’. অর্থাৎ সত্যই সুন্দর, সুন্দরই সত্য। আমরা স্রষ্টাকে কাছে পাইনা কিন্তু তার সৃষ্টির সৌন্দর্যকে অনুভব  করি। আর এজন্যই স্রষ্টা নিজেকে তুলে ধরেছেন তার সুন্দর সুন্দর গুনবাচক নামের ভেতর দিয়ে। তিনি আমাদের কাছে কিছুই চাননা, শুধুই চান আমরা যাতে তার গুনগুলোকে ধারণ  করে সুন্দর হয়ে উঠি। নিজেকে, পরিবারকে,সমাজকে সুন্দর করলে পৃথিবী সুন্দর হবে সেটাই হবে স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ উপাসনা। প্লেটোর গুনমুগ্ধ শিষ্য এরিস্টটল এর একটি বাণী দিয়ে লেখা শেষ করব। এরিস্টটল তাঁর Rhetorics নামক গ্রন্থে বলেছেন-“ সৌন্দর্য হচ্ছে সেই মঙ্গল যা মঙ্গলকর বলেই সুখকর। ” যা কিছু মঙ্গলজনক তাই সুন্দর, তা-ই মানবজীবনের জন্য সুখকর।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।