ক্যাফে কাব্যে শুভ্রজীৎ চোংদার

এটা আছে পশ্চিমবঙ্গ, এখানে দেখবে কতই রঙ্গ।
ভেড়ার পালের মধ্যে থেকেও, একদম নিঃসঙ্গ।।
এটা অন্ধকারের গলি, এখানে শিক্ষা বড়োই সস্তা।
পুলিশতো নয়, সবকটা যেন পচা আলু ভরা বস্তা।।
দোষীরা সব ছাড় পেয়ে যায়, দ্বিধাহীন করে নৃত্য।
পাঁচ টাকা মেরে চোর হয়ে যায়, বাবুসাহেবের ভৃত্য।।
রোগী মরলেই ডাক্তার দোষী, আশিতেও থাকে দম।
চকোলেট ছেড়ে হাতে উঠে আসে, দড়ি বাঁধা পেটো বম।।
কুত্তার মতো কেলিয়ে পাঠায়, ক্রিটিক্যাল সভা কক্ষে।
গরীব মায়েরা হাত চাপড়ায়, শুকনো হওয়া বক্ষে।।
চটি জুতো পরা মোটা হিরোইন, বলে হাত করে খাঁড়া।
ক্রিমিন্যাল সব, পালাস কেন, একবার শুধু দাঁড়া।।
বাংলার খায় বাংলার পরে, বাংলার পাতে মোতে।
প্রসাদ ভেবে চেটে মেরে দেয়, চামচারা এক ছো-তে।।
আমার রাজ্যে তিনি রাজমাতা, আমি হয়ে গেছি ফেলনা।
মানবিকতা, ধর্ম-বিভেদ শুধুই হাতের খেলনা।।
সিভিকে সিভিকে ভরা সিটিজেন, লন্ডন আজও কালো।
তিনখানা হাত তুলে ধরে বাতি, জ্বালায় নিছক আলো।।
গালাগালি ভেবে গায়ে মেখে নেয়, জয় শ্রী রাম মন্ত্র।
ডিনার শেষে গরু পরিপাক, করে পৌষ্ট্রিক তন্ত্র।।
বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দের রাজ্যে।
কোরাপশনের বেগের টানে, দ্রুত মিটে যায় কাজ যে।।
এটা আছে পশ্চিমবঙ্গ, এখানে দেখবে কতই রঙ্গ।
সংখ্যায় কম মেয়েরা হলেও, থেকে যায় নিঃসঙ্গ।।
এটা বহিরাগতের বঙ্গ, এখানে সস্তায় দেখো রঙ্গ।
মৃত্যুও হেথা হার মেনে যায়, করেনা অহং ভঙ্গ।।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।