|| নারীতে শুরু নারীতে শেষ || বিশেষ সংখ্যায় স্বপঞ্জয় চৌধুরী

নারী

নারীতো আলো আঁধারময় এক অবারিত জ্যোৎস্না অরণ্য। যার ভেতরে আজীবনই এক অনন্ত রহস্যের লুকোচুরি। ভুলভাল তর্ক বিতর্কের শেষে নারীও বিজ্ঞ রমণীর মতো পুরুষতন্ত্রের হেঁশেল ধুতে যান।
চোখের সামনে ভাসে গর্ভঘর, চোখের সামনে ভাসে কাবায়িত স্নিগ্ধ পবিত্রতা, তার নগ্নদেহ থেকে নেমে আসে ঈশ্বর, নেমে আসে বন্দনা। নারী ছলনাময়ী হলে
পৃথিবীতে নেমে আসে দুরারোগ্য দুরাচার। নারীর প্রতীমা ভেঙে গেলে ঈশ্বরও শয়তান হয়ে ওঠে।
নারীর ছায়া আঁচলের ছোয়ায় চোখ মুদে শুয়ে থাকে মহাকাল। তার জীর্ণ চামড়ার ভাজে লেখা আছে পৃথিবীর ইতিহাস, লেখা আছে সভ্যতা, ভাষা ও বর্ণমালা। আদিতে পুরুষ বাকহীন ছিল। নারীই শেখালো ভাষা, ভালোবাসা, তীব্র আলিঙ্গন। নারীই শেখালো যুদ্ধ, ঘৃণা ও অপার মহিমা। আজ নারীকে নারীসত্ত্বার পিরান খুলে মানবসত্ত্বার রাজসিক আবরণে ঢাকার আয়োজন চলছে। তোমার এক হাতে সন্তান, এক হাতে পৃথিবী, একহাতে বিনাশ ও সৃষ্টির ওঙ্কার। দশভুজে দশ যজ্ঞে তুমি আমৃত্যু মহিয়ান। তোমাকে সপেছি আমার দেহমন, যা খুশি করো ভাঙো গড়ো, আমার মন খারাপের বারান্দায় তোমার স্পর্শ চাই, আমার শুষ্ক উষর অধরে তোমার চুম্বন চাই। তুমি আসো নিবিড় প্রচ্ছন্নতার কপাট ভেঙে ভেঙে। তোমাকে চাই বেলা অবেলায়, সুখে দুখে, পূর্ণ ও শূণ্যতায়। মায়াবতী মায়ের মতো তোমার বুক থেকে ধেয়ে আসে সুতীব্র ওম।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।