সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে শম্পা রায় বোস (পর্ব – ২)

আমার মেয়েবেলা

আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই কিছু কিছু মুহূর্ত,,,এতটা স্মরণীয় হয়ে রয়ে যায় যে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সেটা ভুলতে পারা যায় না,,,রয়ে যায় অনেক কিছুই,,,মনের আনাচে কানাচে,,,আজ স্মৃতিচারণ করতে বসে যেন সেই কথাই বার বার মনে হচ্ছে ।

যে স্মৃতি আমাদের মনে সুখ এনে দেয়,,,,, যে স্মৃতি আমাদের নিয়ে যায় সেই কৈশোরের সারল্যে,,,,, বা যৌবনের উদ্দামতায়,,,,, সেই স্মৃতির তো কখনই মৃত্যু হয় না,,,,,, চলে যায় না বিস্মৃতির আড়ালে,,,,, সে আজীবন আমাদের মণিকোঠায় বাস করে,,,,,,

বয়স যত বাড়তে থাকে,,,,,, সেই সুখ স্মৃতি যেন আমাদের নতুন করে ফেলা আসা জীবন ফিরিয়ে দেয়। আর এই জীবন তখন আনন্দ, তৃপ্তি, ভালোবাসার চাদরে যেন প্রতিদিনের ঘর গেরস্থালি সাজাতে থাকে। একটা যেন অসম্ভব ভালোলাগা ফিরিয়ে দেয় একটু একটু করে,,,,,,,,আজ এই এত গুলো বছর পর ফরাক্কার কথা মনে করলে,,,, একটা কেমন যেন ভালো লাগায় ভাসতে থাকি,,,,,, মনে হয় এই তো সেদিনের ঘটনা ,,,,,

আমরা যে ভাবে ফরাক্কায় আমাদের মেয়েবেলা বা শৈশব কাটিয়েছি,,,,, আর হয়তো কোনও দিনই তেমন ভাবে কাটাতে পারব না,,,
সেই আনন্দ,,,সেই বাঁধন ছাড়া খুশি,,,সেই উচ্ছ্বাস,,, সেই পাগলামি,,,
না। কোনও দিনই আর ফিরে আসবে না এই জীবনে,,,,,
ফিরে আসবে না সেইসব টক মিষ্টি ঝাল আড়ি ভাবের দিন, ফিরে আসবে না প্রথম বড়ো হওয়ার অনুভূতি,, স্কুলের দুষ্টুমির দিন,,,একসঙ্গে শাস্তি পাওয়ার আনন্দ,, স্কুলের পরেও তো আমরা একে অপরকে জড়িয়ে থাকতাম। কী টিচার কী ক্লাসমেট, কী পাড়ার কাকু, এমন কী বাজারের সব দোকানি কাকুর সঙ্গেও তো আমাদের একটা আত্মার সম্পর্ক ছিল। কখন কাউকে পর মনে হয় নি। আমরা সবাই ছিলাম একসঙ্গে মিলেমিশে দলগত ভাবে। বাবাদেরও যেমন একটা বন্ধু বান্ধবদের সার্কেল ছিল, মায়েদেরও তেমন ছিল। তেমনি আমাদেরও ছিল। গরমের সময় নিয়ম করে লোডশেডিং হত। সারা সন্ধ্যেটা পাড়ায় পায়চারি,, লুকোচুরি খেলেই কীভাবে যেন পার করতাম আমরা। কখন ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে জমায়েত হতে দেখিনি। কারোর আলোচনাতেও শুনিনি। আমরা সকলেই প্রত্যেকটা পরিস্থিতিকেই সামলে নিতাম হাসি মুখে। কোয়ার্টার এর সামনে বাবাদের মায়েদের জোর আড্ডা হত। “আরে কারেন্ট যখন আসবে তখন দেখা যাবে।”তখন আমাদের কারোরই বাড়িতে গ্যাস আসে নি। হিটার বা স্টোভ বা উনোনেই রান্না হত। বাবা মাকে বলত,” এই গরমে তোমাকে আর রান্না করতে হবে না। কারেন্ট আসুক তারপর হবে ক্ষণ । তুমি হাওয়ায় একটু বোসো।”
কারেন্ট এলে রান্না বসত। হ্যাঁ এমনও দিন গেছে আমাদের মায়েরা রাত বারোটায় ভাত বসিয়েছে। আসলে যে কোনও পরিস্থিতিতেই যে ভালো থাকা যায় সেটা আমি এবং আমরা ওখান থেকেই শিখেছিলাম। শিখেছিলাম এডজাস্ট করা,,, লোকের বিপদে পাশে থাকা, ভালোবেসে পরকে আপন করার মন্ত্র,, একটা
খুব সাধারণ অর্ডিন্যারি জীবনও যে এক্সট্রা অর্ডিন্যারি,,,, বা অসাধারণ ভাবে কাটানো যায় তার সরল সমীকরণ হাতে ধরে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে শিখিয়েছিল এই ফরাক্কাই ।কত শিখেছি,,, কতটা শিখিয়েছে আজ জীবনের শেষ বেলায় এসে বুঝতে পারি। তখন তো একটা ঘোরের মত কেটে গেছে আমাদের জীবন। কিছুই বুঝতে পারি নি। বাস্তব যে কী তা ফরাক্কা ছাড়ার পর বুঝতে পেরেছি। বলে বা লিখে বোঝানো সম্ভব নয় ,,,, কী যে অসাধারণ দিন আমরা কাটিয়ে এসেছি ফরাক্কায়। যা আজও ভুলতে পারলাম না।

আমার এই ভালোবাসার মাটিতে এত গুলো বছর পর স্মৃতি চারণের মাধ্যমে আবার যেন প্রথম পা রাখার অসাধারণ অনুভূতি হচ্ছে ।যা বলা যায় না গুছিয়ে কাউকেই। না…
বলা হয়ে ওঠে না আমার আর।

ফরাক্কার মাটির একটা নিজস্ব আলাদা গন্ধ আছে। যা অন্য সব জায়গার মাটি থেকে তাকে আলাদা করে রাখে…

স্টেশন থেকে বা বাস স্ট্যান্ড হয়ে সেই যে চওড়া রাস্তাটা গঙ্গার ধার বরাবর এগিয়ে এসে থমকে দাঁড়ায়! সোজা গেলে ঐ যে ১০৯ টা গেটের হাতছানি!
আর বাঁ দিকে ১১ টা গেটের কেমন একটা গোপন ভালোবাসার ইশারা।তাকানো মাত্রই শরীর মন অবশ করে দিত নিমেষেই।
মন্ত্রমুগ্ধের মতো আমরা ঠিক ঐ জায়গায় এসে বাঁ দিকে বাঁই করে ঘুরে যেতাম। মনে হত এই তো এতক্ষণে পা রেখেছি আমার স্বর্গে ,,, ঘুমিয়ে থাকলেও ঘুম ভেঙ্গে যেত।
গঙ্গার উত্তাল জলচ্ছাসের গর্জন ,,, উথালপাথাল ঢেউ,, গর্বের সঙ্গে তাকাতাম। হুঁহু আমরা জল না দিলে কলকাতার অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী সেও আমাদের ভরসায়।
যতবার পার হয়েছি ততবার ই মনে এসেছে কথাটা। জোর করে না,,, এমনি এমনিই মনে এসেছে। কত ভালবাসা ছিল,,, কত গর্ব বোধ করতাম আমরা ফরাক্কা কে নিয়ে। এত বছর পরও সেই ভালবাসার এতটুকু খামতি হয় নি। এখনও গর্ব করি আমি,,,, আমরা প্রত্যেকে। ফরাক্কা নিয়ে কোনও কথা উঠলেই আমার সিংহ মশাই কে বলতে ছাড়ি না,,, আমাদের দয়ায় তো বেঁচে আছ। প্রথম প্রথম বুঝতে পারত না। এখন বুঝতে পারে।। মুচকে হেসে বলেছিল তোমার ফরাক্কা তো আমারিকা।। ওখানেই বসিয়ে দিয়ে এস না।

মরণ। কোন কথার কী উত্তর। দূর আমি আর কথা বাড়াই না। বাজে লোক একটা। ফিলিংস এর দাম দেয় না।

আমার মনে হয় মাতৃভূমির উপর এতটা টান একমাত্র আমাদের এই ফরাক্কাবাসী দের মধ্যেই আছে।। অপরিচিত কেউ পৃথিবীর যে কোনও অংশে থাকুক। একটা ফরাক্কা নামেই যেন পরমাত্মীয়।। কলকাতায় এত বছর হল,,, কিন্তু পথে ঘাটে একবার ফরাক্কা নামটা শোনার জন্য কান খাড়া রাখি। যেখানেই যাই চোখ খুঁজে মরে যদি কোনও চেনা মানুষ পাই।।

আমার এক বন্ধু মানসী আমাদের খুঁজে পেয়েছে ট্রেনেই। ওর অফিস ক্যানিং এর ওদিকে। ট্রেনে বসে বসে শুনছে সামনে বসা সহযাত্রীর কথা। ফরাক্কা শুনেই চেপে ধরেছে। তারপর যা হয় কান টানলে মাথা আসে। একে একে আমাদের সবার খোঁজ পেয়ে গেল।। এক রাতেই ফোন নম্বর পেয়ে গেল। প্রথম ফোনটা ও আমাকেই করেছিল। প্রথমে কথা বলতে পারি নি আমরা। শুধু কেঁদেই গেছি। কী করে এক সেকেন্ডের মধ্যে যে চোখে এত জল আসে ! এখন ও অনেকের খবর জানি না। আশায় আছি ঠিক পেয়ে যাব একদিন। ফরাক্কা আছে না?

ফরাক্কা মানেই নির্জন শুনশান পরিষ্কার পিচঢালা রাস্তা,,,ভোরের কুয়াশার আদর,,,সেই চেনা হাড় কাঁপানো শীত,,,ঘুঘু পাখির ডাক,,,গাছেদের ফিসফিসানি,,,বুনো ফুলের গন্ধ,,কাক,,, শালিকের ব্যস্ততা,,,চড়া পড়া গঙ্গার বিশালতা,,, দূরের ছোট্ট ঐ নৌকোটা,,

গঙ্গার ধারে ডান পাশে সেই ঝুরিপড়া বুড়ো বটগাছটা!!যে আমাদের সকলের ,,,কত ভাল খারাপ মুহূর্তের সাক্ষী নিয়ে আজও তেমনি ভাবে… ঠায় দাঁড়িয়ে!

কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি! এই যে এত গুলো বছর পার করে,,,জীবনের অবসরে এসে যেভাবে তাকে প্রথম ছোঁয়া? আজ লিখতে বসে যেন বার বার ছুঁয়ে যাচ্ছি আমার ভালোবাসার মাটিকে,, আকাশ বাতাস গাছ পালা ,,, ভোরের গঙ্গার ধারের ঐ হলুদ সূর্য টাকে যেন ছুঁতে পারছি। গঙ্গার ধারের সেই রাস্তাটা! যেটা সোজা ডিয়ার পার্ক পর্যন্ত চলে গেছে! আহা কি সেই অনুভূতি! সারা শরীরে যেন শিহরণ,,, একটা ভাল লাগার শিরশিরানি কিন্তু তারই মধ্যে একটা বিচ্ছেদের কষ্ট একটা মোচড়ানো যন্ত্রণা, আর একটি বার,,, একটি বার যদি ফিরে পেতাম আমার সেই ফরাক্কাকে! আমার সেই মেয়েবেলার সোনার দিনগুলো কে !

সেই অনুভূতি কি আর একবার ফিরে পাব কোনও দিন?
আজ শুধুই স্মৃতির ধুলোবালি ঝেড়ে আমার সোনার দিনগুলো খুঁজে দেখা। ঘেঁটে দেখা যদি কোথাও কোনও মণিমুক্তো পেয়ে যাই।

আসল তো আমার সেই সুন্দর মনটা,, যেটা ফেলে এসেছিলাম,,,সেটাই যেন
তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে এদিক ওদিক ।
উদ্দেশ্য একটাই,,, শুধুই স্মৃতি কুড়োনো।

উদ্দেশ্য নিজের জায়গার,, ফরাক্কার মাটি ছোঁয়া,,,,
একটাই তো ইচ্ছে,,,এত বছরের সম্পর্কের হিসেব টা, পুষিয়ে নেওয়া,,, ফরাক্কার মাটিতে প্রথমকে ছুঁয়ে ফেলা।

প্রথম তো প্রথম ই হয়,,, তার সঙ্গে কি কোনও কিছুর তুলনা চলে?
প্রথম হাঁটতে শেখা,,,
প্রথম বাবার হাত ধরে স্কুলে যাওয়া,,,স্কুলের পরীক্ষায় প্রথম ফার্স্ট হওয়া,,,প্রথম ভালোলাগা,,,প্রথম স্টেজে গান গাওয়া,,,
কিংবা প্রথম বাজারের পয়সা (20/50 পয়সা) পকেটে পুরে,,বন্ধু দের সঙ্গে সেই প্রথম একটা সিগারেট।

কোনও এক শীতের সন্ধ্যায়,,,কোচিং থেকে ফেরার সময় নির্জন রাস্তায় প্রথম চুম্বন!
জীবনের প্রথম ভালোবাসার স্পর্শ,,,অথবা প্রথম কাউকে লাজুক গলায় চোখ বন্ধ করে এক নিমেষে বলে ফেলা,,, “আমি তোমায় ভালোবাসি”,,,,

কিংবা কারোর জন্য প্রথম বুকের মধ্যে মোচড়ানো যন্ত্রণা,,,
প্রথম বড়ো হওয়া? দম বন্ধ করে আগে স্কুলে গিয়ে চোখে মুখে সর্বজয়ের সবজান্তা ভাব দেখিয়ে একরাশ অহংকার নিয়ে বন্ধু দের সেই গোপন কথাটা জানানো,,, শৈশবের আড়মোড়া ভেঙে, কোনও এক সাধারণ কিশোরীর প্রথম রজঃস্বলা হওয়ার অনুভূতি ,,,প্রথম পুর্ণ নারী হওয়ার অহংকার!
কিংবা ভালোবাসার সর্বনাশের নিষিদ্ধ খেলায় ভেসে যাওয়া,,, কিংবা ভাসিয়ে দেওয়া!
পরিস্থিতির চাপে প্রথম ভালোবাসা কে,, প্রথম বার ঢোঁক গিলে বুকের মধ্যে সারাজীবন আটকে রাখা,,,
কিংবা প্রথম মা কিংবা বাবা হওয়ার অনুভূতি? প্রথম মা ডাক!!

প্রথম একমাত্র প্রথমই হয়।। প্রথমের সঙ্গে কখনও কারোর তুলনা হয় না।
এর অনুভূতি আর কখনও কোনও দিন ও আসবে কী অন্য কোথাও আমাদের জীবনে?

আমার সঙ্গে ,,, আমার মতো সকলের সঙ্গে,,, আমার ,,,, আমাদের অভিভাবকদের সঙ্গেও তো কত কিছুই ঘটেছে “প্রথম”ইইইইই,,,
এই ফরাক্কায়?
তাকে তো কিছুতেই ভোলা যায় না।আমার,,, আমাদের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ই তো ঐ জায়গার আনাচে কানাচে । যেদিকেই তাকাই স্মৃতির ফ্ল্যাশব্যাকে শুধু যেন নিজেকেই দেখা,, নিজেকেই খোঁজা।

এত বছর পর ফরাক্কার কথা বলতে গেলেই রক্ত যেন দ্রুতগামী হয়,,,,, ফরাক্কা বললেই
সেই গৌড় এক্সপ্রেস!!!
যে নামটা শুনলে বুকে যেন একটা খোঁচা লাগে,,, কিসের খোঁচা ,,, তা বলতে পারব না,,
একটা যেন ভালোলাগা,,কেমন যেন অসম্ভব ভালোবাসার খোঁচা,,একটা যেন হাহাকার ,,, এলোপাথাড়ি ঝড়,,, বুকের মধ্যে যেন রক্ত ঝড়ার যন্ত্রণা ,,,
একটা কেমন যেন মায়া মায়া টান।।

এত জায়গা দেখলাম,,, থাকলাম,,, কিন্তু ঐ ছোট্ট শহরটার মতো তো,,,আর কোথাও এমন ভালোলাগা জন্মালো না? কেন ভালোবাসতে পারলাম না আর কোনও শহর কে? যে শহরে আমি 35 বছর কাটালাম,,, সেই শহর টাকেও তো আপন করতে পারলাম না,,,অথচ ঐ ছোট্ট শহরে আমি থেকেছি মাত্র 16/18 বছর,,,কেন এমন হয়?

কেন গৌর এক্সপ্রেস নাম টা শুনলেই সেই ছোট্ট শহর টাকে মনে করিয়ে দেয়? যেন ঐ ছোট্ট শহর টার জন্য ই তৈরি হয়েছিল এই গৌর এক্সপ্রেস!!!

মাঝে কত স্টেশন আসে ,,, যায়,,,, কিন্তু কোনও দিনই সেভাবে গুরুত্ব দিই না। শুধু মনে থাকে সেই “ফরাক্কা স্টেশন”,,,যেখানে আমি শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ বোধ করি।

হ্যাঁ । সেই ফরাক্কা,, যেখানের মাটির গন্ধ আমার চেনা,,,, আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতে পারি,,, বৃষ্টি হবে কী না,,,
যেখানের ফুলের গন্ধে, এখনও মন মাতোয়ারা হয়,,, প্রথম ভালোবাসার কথা মনে পড়ে যায়,,,

গঙ্গার ধারের কুয়াশায় ঢাকা,, এবং দুপাশে নুইয়ে পড়া গাছের ছায়ায় ,,, আধো অন্ধকার পরিষ্কার পিচঢালা রাস্তা দেখলে
মনে হয় এতো কোনও বিখ্যাত পাহাড়ি রাস্তা থেকে কম কিছু নয়?

বড়ো সখ করে আমার এক বান্ধবী কে একদিন বলেছিলাম,, ” লন্ডনের টেমস এর ধারে বসে আমার সেই কবিতাটা তোকে শোনাব। যেটা আমি লিখেছিলাম আমার প্রথম ভালোবাসার কথা ভেবে।”

“ভালোবাস বলেই না আছি? ঠিক এমন ভাবে?
যেভাবে সূর্যের প্রথম আলো ছুটোছুটি করে, পাহাড়ের চূড়ায় ।
অশান্ত ঢেউ সমুদ্রের বুকে দাপিয়ে বেড়ায়?
চাইলেও শান্ত করা যায় না!
আমি তেমনই এক ঘূর্ণি ঝড়।
তোমার সব কিছু ওলটপালট করে দি মুহূর্তের মধ্যে ।
ভালোবাস বলেই তো?”

এখন মনে হয় আমাদের গঙ্গার ধারটাই বা কম কীসের? যেখানের জল, হাওয়া, মাটি সাক্ষী দেয় আমার বড়ো হওয়াকে! আমার কাটানো মেয়েবেলাকে …

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।