কবিতায় স্বর্ণযুগে সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য (গুচ্ছ কবিতা)

রাতে

রাত্রি গভীর হলে রোজ
টুপ টুপ কবিতা নামে
সৃষ্টির দুচোখ ভাসিয়ে
অমাবস্যার
আকাশে আলোর বন্যা…
অবকাশে সুরের মূ্র্চ্ছনা
ভালোবাসা তিল তিল
রক্ষিত থাকে
বায়ু অগ্নি নৈঋত কোণ
বিহ্বল
বিগত জন্মদিনে
শুধু ঠোঁটে লেগে আছে
রক্তাক্ত প্লেটোনিক দাগ

লেখনী

এ কন্ঠ ধারণ করেনি ঐশ্বর্য
এ কন্ঠ হারিয়েছে উত্তাপ
এ কন্ঠ সমুদ্রনীল
এ কন্ঠ অসাড়

তবু প্রায়শই কবিতা আঁকার চেষ্টা
নিয়ে এসেছে
সমুদ্র সমুদ্র মরু,পাহাড় পেরিয়ে
তুলসীমঞ্চের পাশে
এক সলতে আলো ছড়ানো সন্ধ্যায়
তোমার উঠোনে

মুখ্য চিন্তার ভিতর ব্রহ্মজিজ্ঞাসা
স্পষ্টত বিষয় ভিত্তিক
মর্মস্পর্শী
ঘষামাজা ছাড়াই স্বাভাবিক ও চিরন্তন
পরিশ্রান্ত মনে জোরালো অক্ষর সমাবেশ
বিরামহীন টুকরো টুকরো স্বাক্ষাৎকার
জাঁকজমক নেই
জাঁকজমকহীনও নয়
অপ্রতিভ মুখচোরা কবিতা নেমে আসছে
বোধে,সংকটে,সম্ভ্রমে
রূপান্তরকামী প্রেক্ষাপটজুড়ে
ছড়িয়ে পড়ছে জীবনযুদ্ধ নয় সংগ্রামে
কন্ঠে কন্ঠে

সম্পাদনা শুরুর ভাবনাতে ইতি টানলেন সম্পাদক।

ভালোথাকা

যাক গে
অনেক কিছুই তো গেছে
এসেছেও অনেক
যা ছেড়ে থাকা যায়না ভাবতাম
দিব্যি সেসব ছেড়ে বেঁচেবর্তে আছি
হয়ত সেসব সঙ্গে নিয়ে এতটা ভালো থাকতাম না
কেজানে!আবার এরথেকে ভালোও হতে পারত
এসব মাপামাপি নিক্তির ওজনে কি দরকার
ভাবতে ভাবতেই এবছরের বর্ষা এসে গেল
মেয়েদের বললাম,তোমাদের কাছ থেকেই
নতুন করে শিখলাম
সবকিছু মেনে নিতে নেই
২৬শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ এর পর
নতুন স্বাগত ভাষণ লেখা শুরু করনি কেন
মাম্মাম তুমি
ভালো থাকাটাই জরুরি

যাপনচিত্র

টুকরো টুকরো বর্ষা দুপুর
ছিঁড়ে খাচ্ছে
যাপনচিত্র
ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে
সরযূরাণীর রান্নাঘর,দাওয়া,
উঠোন ও অলিন্দে টাঙানো
কাপড় মেলার তারটিকেও
ঝিমঝিম
একটা বর্ষা দুপুর
স্লথ করে দিচ্ছে
চেতনা,
আশা আকাঙ্ক্ষার পট-ছবি
কুলুঙ্গির মধ্যে রাখা
সিঁদুরমাখা টাকাটিকেও
সন্ধ্যারাগে বেজে উঠছে
বর্ষা রঙ
ভেজানো দরজা ঠেলে
সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসছেন
শ্রীযুক্ত প্রতাপনারায়ণ
সরযূ অপলক
কে ইনি
‘এতো নয় যাকে আমি
কামনা করেছি শূন্য রাতে’
ধারালো চাউনি মাখা
কার্নিশে ভোর নয়
রাত্রির ছেঁড়া কথা জাগে
ছিঁড়ে খায়
সমস্ত অনুষঙ্গ সহ
আস্ত একটা বর্ষা দুপুর।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।