গুচ্ছকবিতায় সুদীপ্ত বিশ্বাস

১| সৃষ্টি

নক্ষত্রের আগুনে ডানা সেঁকে নিচ্ছে প্রাচীন পেঁচারা
সুপারনোভার পরে আবার বাজনা বেজে উঠল
সত্য আর মিথ্যা একাকার হয়ে যায় যে বিন্দুতে
তারও ওপারে অনেকটা ফুটে উঠেছে সূর্য
ফ্যাকাসে রাত্রিরা পুড়ছে নক্ষত্রের আগুনে
পাখির মত ছোট পৃথিবী উড়ে যাচ্ছে আকাশে
লম্বা চাঁদটা গোল টিপের মত হয়ে এল
শিশু ঈশ্বর কাদামাটি দিয়ে গাছপালা আর মানুষ গড়ছেন
বিন্দু বিন্দু আশার বাষ্প জমে উঠছে দিগন্তে
পৃথিবী আর মানুষের ভাগ্যের মত কৃপণ নয়
তোমার মুখে একটি সবুজ গ্রামের ছবি

২| মহাজাগতিক যাযাবর

আলোকবর্ষ পেরিয়ে উড়ে চলেছি
আলোর চেয়েও জোরে
অনেক দূরে পড়ে রয়েছে
ছোট্ট পৃথিবী আর বিবাদমান ধর্মগ্রন্থগুলো
পৃথিবীর সব ছেঁদো আইনের বই থেকে
খসে পড়ছে এক একটা পাতা
জাতপাত ভ্যানিস হয়ে গিয়েছে
সাদা কালো বলে আর কিছু নেই
সময়কে পাত্তা দিচ্ছি না
মুখ ভেংচে এলাম গ্রাভিটি
সামনে একটা রেড জায়েন্ট তারা
জিরিয়ে নিচ্ছি হীরের তৈরি একটি প্রাচীন গ্রহে
হঠাৎ মনে পড়ল মাটির পৃথিবীর স্মৃতি
সবুজ গ্রামের মত তোমার নরম মুখ
টিনের চালে সেই রাতভোর বৃষ্টি

৩| সুবিচার 

আদালতে বিচার চাইছে মৃত ধর্ষিতারা
রাস্তারা মাথা নীচু করে আছে
পাশ দিয়ে হেঁটে গেল দুটো আলোক স্তম্ভ
জমা হয়েছে কয়েকটি নীল চোখের ঈগল
মধ্যযুগীয় ট্রামে চেপে বাড়ি ফিরছে শহর
ছোট্ট পৃথিবীকে নিয়ে উড়ে চলেছি
বাতাবি উরুর মত চাঁদের গা থেকে ঝরে পড়ছে সুবিচার
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।