সম্পাদকীয়

প্রজাপতি 

পাতা খাওয়া শুঁয়োপোকা 
তার থেকে গুটিয়ে যাওয়া গুটিপোকা 
তার থেকে খোলস কেটে বেরিয়ে আসা ডানারা 
এইসব হল জীবন। 
নাকি আসলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে 
পায়ে পায়ে প্রাণ 
তা কে জানে। 
গেলাস অর্ধেক ভর্তি না আসলে আধখানা 
খালি রয়ে গেল 
এ প্রশ্ন অনাদিকালের। 

আমি রোদের উত্তাপ মাখি 
তিরতির ডানায়, 
হিসেব কষব কিসে
খাতা আছে নাকি ? 
ফুরুৎ ফুরুৎ করে ওড়ে যারা 
বইপত্র পিছে ফেলে আসে। 
এই ওই পাতারা ফুলেরা 
সবুজ কমলা লাল গেরুয়া 
হেমন্তের দিন এলে 
ঝুপ করে ডানা মোড়ে 
বিষন্ন বিকেল। 

তখনই তমসা নামে। 
কানে কানে বলে 
কেউ নেই। 
আসলে তোমার
 কেউ কখনও ছিল না। 
বসে পড়ো বসে পড়ো 
কিসের আল্লাদ ? 
এই তো এসেছে দিন 
ঘুমিয়ে পড়ার। 
নট নড়ন চড়ন নট কিচ্ছু হয়ে যাও। 

সব কিছু শৈত্য আর অন্ধকারে ঢেকে যেতে যেতে ও 
আমি মনে মনে বলি 
আলো আছে 
তাপ আছে 
রঙ আছে 
ফুলের নরম গাল 
সুগন্ধি আদর 
আদরের কোল আর 
ঘরের আরাম… 
আছে আছে, আছে ঠিক
উষ্ণ রোদ্দুর উঠবে 
হেসে উঠবে শৈশব কৈশোর 
রাত শেষ পহরে এলেই
ভোর হবে কাল। 

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।