অণুগল্পে রমেশ দে

টেকনোলজি
রামবাবু বয়স্ক মানুষ। চাকরি থেকে দশ বছর আগে রিটায়ার্ড করেছেন। তার একজন ছেলে। উনি একজন বিজ্ঞানী।অবসর প্রাপ্ত রামবাবু একাই বাজারে যান। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আনার জন্য। ছেলে বাবাকে অনেক বার বলেছে অনলাইন শপিং, ব্যাঙ্কিং শিখে নিতে। বাবা শিখতে রাজি নয়। অসুবিধা হলেও বাজারে সে যাবেই। ছেলে বলছে বাবা এখন টেকনোলজি গ্রহণ করতে হবে। তাহলে বাড়িতে বসেই সবকিছু পেয়ে যাবে। বাড়িতে বসেই সবকিছু পেয়ে লাভ কি জানিস। সময় বাঁচানো। এতো সময় বাঁচিয়ে মানুষ কি করে বলতে পারিস? নিজে নিজেই মোবাইল নিয়ে সবাই ব্যাস্ত থাকে। পাশাপাশি বসে থাকলেও কথা বলার সময় থাকে না। এইভাবে ট্রেনে,বাসে, রাস্তায় সবাই যদি ব্যাস্ত থাকে ভাববিনিময়, সৌজন্য বোধ একে অপরকে জানাবে কিভাবে। তোদের এই টেকনোলজি সময় বাঁচাতে জানে। কিন্তু কারো চোখের জল মোছাতে পারে না। তোদের এই টেকনোলজি অর্ডার করলে বাড়িতে খাবার এনে দিতে পারে। কিন্তু না খেয়ে থাকা মানুষ গুলোর পাশে গিয়ে সাহায্য করতে পারে না। তোদের এই টেকনোলজি পণ্য এনে দিতে পারে কিন্তু পুণ্য কোনো দিন এনে দিতে পারে না।এই ডিভাইস নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটানো যায়। কিন্তু কারো পাশে বসে তার সুখ, দুঃখের সাথী হয়ে সময় কাটানো যায় না।