কবিতায় রত্না দাস

সচ্চিমুচ্চি ভালোবাসা
মেঘেদের বাজে দুষ্টুমিতে দিনভর বেকার খুনসুটিতে, মোটেই আমি দেইনি সাড়া,
অমনি মেঘ ঝাঁপিয়ে এল, গায়ের ওপর চাপিয়ে দিল বাজের কড়ানাড়া!
বাঁচিনে তার রঙ্গ দেখে, এনেছে সোহাগ মেখে, জুঁইয়ের ফোঁটা বর্ষণসিক্ত
যতই ঠেলি কাছে আসে, সত্যিই কি ভালোবাসে, ভাবনাতে টাপুর টুপুর চিত্ত।
আদর ছোঁয়া কালো চাদর, বুলিয়ে দিয়ে মাথার ওপর, জাপটে নিল জড়িয়ে,
আমিও সাত উপোসী, চোখেতে চমকে খুশি, লক করা মন গেল হারিয়ে।
আজ সারাদিন মেঘের সাথে, বুনবো কাঁথা আলপনাতে, রেশম জরির সুতোয়,
ভুল হবে যে সব কাজে, মেঘ তো বসে বুকের খাঁজে, ছুঁয়েছে নানা ছুঁতোয়।
সাঁঝ নামবে উঠোন জুড়ে, কইবো কথা দুজন সুরে, উঠবে প্রাণে মাতন
আমরা থাকি একটি গাঁয়ে, আদর জড়ানো পায়ে পায়ে, সেই আমাদের যাপন।
জীবন কিছু ইচ্ছের নাম, মেঘ সেখানে এনেছে চার্ম, আলো ঠিকরে উপহার,
গিফ্ট প্যাক খুলে দেখি, সাজানো আছে গজল গালিবী রবাবে মল্হার।
গাঢ় রাত ঘন হলো, নিশি নিঝুম গভীর কালো, উষ্ণ নিঃশ্বাসে,
তার ডাকে সাড়া দিয়ে, বুকের কাছে গুটিয়ে গিয়ে বুঝেছি, মেঘ এখন বেঁধে নেবে প্রেমপাশে
সত্যি, সত্যি, সত্যিই… ভালোবাসে…