অণুগল্পে রত্না দাস

ম্যাচমেকার
এই যে শুনছেন?
আপনিই তো ঘটক তাই না!
অরিজিৎ পেছন ফিরে তাকালো।
কে রে মেয়েটা!
ও আচ্ছা এর বাড়িতেই গতসপ্তাহে গিয়েছিল।
দেখুন, এখন ওই সেভেন্টিন্থ সেঞ্চুরির শব্দ চলেনা। এখন ম্যাচমেকার বলে। ম্যানেজমেন্ট লাগে এসব কাজে। আর আপনার বাবা আমাকে অ্যাপয়েন্ট করেছেন।
পর্ণা খেপচুরিয়াস হয়ে বলে ওঠে, ও তাই একটা হোঁদলকুঁতকুঁত উজবুক ধরে, আমাদের বাড়িতে নিয়ে গেলেন!
অরিজিতের বেশ হাসি পেয়ে গেল। কোনোমতে গিলে বললো, আরে আপনি জানেন উনি কতবড় বিজনেসম্যানের ছেলে, প্লাস নিজেও চাটার্ড অ্যাকাউন্টটেন্ট!
পর্ণা দাঁত খিঁচিয়ে ওঠে ।আমি কী বলেছি মূর্খ! তা বলে ঐরকম বিতিকিচ্ছিরি! তা কি করবো! আপনার বাবা পয়সাওয়ালা ঘর চাইলেন, হাতে তখন ওই এক পিস ছিল। বাহ্ বেশ, তাই আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার কথা মনে হলো!
আপনার কি করা হয়! পর্ণার কথার উত্তরে অরিজিৎ বললো, আমি সেলসে আছি আর কয়েকজন বন্ধু মিলে এই ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটটা খুলেছি। তা, নিজেকে কমোডিটি হিসেবে প্রোডিউস করলেই পারেন, চেহারাখানা তো মন্দ না।
পর্ণার কথা শুনে অরিজিৎ হেসে ফেললো। তাকিয়ে দেখলো পর্ণার মিষ্টি মুখটাতে একটা দুষ্টু হাসি খেলছে। তাই বলছেন! হুঁ। তবে…
হয়ে যাক।
দুজনেই দুজনের দিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালো। আকাশটা লালচে আভায় ঢাকছে তখন সাঁঝবাতির আলোয়।