অণুগল্পে রমেশ দে

সংসার
অমল, কমল দুই ভাই। এদের এক বোন দীপ্তি। আবার এদের বাবা,কাকা চার ভাই। দুই বোন। একান্নবর্তী পরিবার। এদের বাবা সুভাষ সকলের বড়ো। তাই সংসারের দায়িত্ব অনেক বেশি। উনি একজন কোম্পানির কর্মচারী।মাসের শেষে মাইনে যা পান সবটাই খরচ হয়ে যায়। এভাবেই দিন কাটতে থাকে। সকলে একসাথে থাকার আনন্দ যেন অন্য রকম। কিন্তু সুখ বেশি দিন স্থায়ী হয় না। ভাইদের বিয়ে হয়ে যাবার পর, কোনো এক ঝড়ো হাওয়া সব যেন তছনছ করে দিয়ে দিতে চায়। দেওয়ালে যেন ফাঁটল ধরতে থাকে। সবাই সংসার থেকে সরে যেতে চায়। বোনেদের বিয়ে দিতে হবে। টাকা লাগবে তাই কেউ দায়িত্ব নিতে চায় না। একা সুভাষবাবু বোনদের ফেলতে পারে না। ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দেন। আবার সুভাষবাবু তার ছেলে, মেয়েকে ভালো স্কুলে পড়ান। তার যত স্বপ্ন তাদের নিয়ে।দশ বছর পর তাদের পড়াশোনা শেষ হয়। দুই ছেলে চাকরি পেয়ে যায়। মেয়েকে চাকরি করা ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। সুভাষবাবু ছেলের বিয়ে দিতে চায়। কিছুদিনের মধ্যে বড়ো ছেলের বিয়ে দেওয়া হতো। এদিকে সুভাষবাবু কাজের থেকে অবসর নেন। একদিন পা পিছলে বাড়িতে তিনি পড়ে যান। পা ভেঙে যায়। বিছানায় শুয়ে যেতে হয়। এখন সবাই তাকে অবহেলার চোখে দেখে। এরই নাম বোধহয় সংসার!!