গল্পেরা জোনাকি তে রীতা চক্রবর্তী (পর্ব – ১৮)

নীল সবুজের লুকোচুরি

মিঠি প্রথমে মা’কে প্রণাম করে। তারপর ডাঃ আনসারির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে বলে আমাকে আশীর্বাদ করুন যাতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি।
আয়ানের চোখ জলে ভরে যায়। অবরুদ্ধ আবেগে স্বগতোক্তির মতো বলে ওঠে,”My blessings always with you my child. Hope you will be a great one infuture of medical surgery. মনের গভীরে তোমার জন্য আমার যে অনুভূতি তাথেকে একটা কথা বলতেই হয়,” অগনিত মানুষের শ্রদ্ধা-ভালবাসায় তুমি অনেক আগে থেকেই তাদের পাশে আছো। আর সর্বশক্তিমান হয়ে তোমার পাশে রয়েছেন তোমার দুই মা’। তাদের পবিত্র আশীর্বাদ তোমার সঙ্গে রয়েছে। তোমার যশ ছড়িয়ে পড়ুক সারা পৃথিবীতে, এই আশীর্বাদ করি। ”
ডঃ আনসারির কান্নাভেজা গলার স্বর শুনে মিঠি চোখ তুলে দেখে স্যারের চোখে জল। সাথে সাথে স্যারের হাত ধরে বড়ো আর্ম চেয়ারটাতে বসিয়ে দেয়। সুমি অবাক হয়ে দেখে মিঠি পরম আদরে তার বাবার হাতে রুমাল ধরিয়ে দিয়ে একগ্লাস জল মুখের কাছে এগিয়ে ধরেছে। আয়ান মেয়ের হাত ধরে পাশে বসিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। বাবা – মেয়ের এই মহামিলনের মুহূর্তে সবারই চোখ জলে ভরে যায়।
মিঠি একটু ইতস্তত করে বলে, “আপনাকে যেদিন প্রথম দেখেছিলাম সেদিন থেকে একটা অদৃশ্য ভালোলাগায় ভরে থাকতো আমার মন। আপনি কাছে থাকলে মনে হত ভগবান স্বয়ং আমার পাশে আছেন। তখনতো জানতাম না আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে! কিন্তু তখন মনে হতো” বাবার ভালোবাসা “বোধহয় এমনই হয়। আপনিও তো জানতেন না, তবুও আমার স্নেহের পাত্র পূর্ণ করে দিয়েছেন। আমি কি করলে যে আপনার যোগ্য সম্মান জানানো হবে জানিনা। তবে চেষ্টা করবো আপনার আশীর্বাদের মান রাখতে। ”
-আয়ান মিঠির হাতধরে উদ্গত কান্নায় ভেঙে পরে।

আসছি পরের পর্বে

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।