T3 || সমবেত চিৎকার || বিশেষ সংখ্যায় রীতা চক্রবর্তী

তিলোত্তমা
রাজ্যজুড়ে ধিক্কার মিছিলে আমিও সামিল আজকে।
হৃদয়ের গভীর থেকে জেগে ওঠা এই প্রতিবাদ, লক্ষ মানুষ জড়ো হয়েছে দিকে দিকে।
তিল তিল করে বড় করেছিল মা বাবার একমাত্র সন্তান।
বড় আশা ছিল তাদের মেয়ে হবে ভালো ডাক্তার, বাঁচাবে মানুষের প্রাণ।
কে জানত হায়, মেয়েকে এভাবে বেঘোরে দিতে হবে প্রাণ!
হত্যা করা হল তাকে, করল ধর্ষণ, অকথ্য নির্যাতন।
ছেলেদের দুষ্টুমিতে লাটবাহাদুর ধর্ষনের রেট বেঁধে দিল।
এবার মৃত্যুর টেন্ডারে দশ লাখি দর হাঁকা হল।
ইশিলের যেমন কানকো ফুলকো কিছুই যায়ন
ফেলা।
ছিঁড়ে খেলো মেয়েটাকে শ্বাপদের দল;
শ্মশান বলল, শবের কান ছিলনা দাহ করার বেলা।
আজকের এই মৃত্যুপুরীতে মেয়েরা নয় নিরাপদ।
চাটে চোখ দিয়ে নারীর শরীর পদলেহী যত ক্রীড়নক।
মানুষখেকো তাড়কার হাতে পড়েছে শাসন যন্ত্র।
মন্ত্রী সান্ত্রী পোষা কঙ্কাল নীতিহীনতাই মন্ত্র।
কুরুক্ষেত্র হয়েছিল শুরু কৃষ্ণার বস্ত্রহরণে।
আজও দুঃশাসন পাবেনা পালাতে মানুষ নেমেছে রণে।
আম জনতার হাতে হাত রেখে এগিয়ে এসেছে আদালত।
সব পরিসেবা ঘোষনা করেছে একত্রে হোক কলরব।
দেশ- মহাদেশ-বিশ্ব জুড়ে আজ সমবেত চিৎকার।
তিলোত্তমার হত্যাকারীর মুখোশ খোলো – আর, জি, কর।