নেরুদার নেশায়
আমি তো কিছুতেই পাবলো নেরুদা হতে পারবোনা
বড় জোর একটা হুলোবেড়ালে হতে পারি
নিধিরাম সর্দারের বাগান বাড়িতে। সুযোগ সন্ধানী
চোখের কোনে সম্মোহনী আগুন জ্বেলে
বড়জোর সর খেয়ে মুছে আসতে পারি মুখ
গারো পাহাড়ের গায়ে।
সহোদর হয়ে বসে থাকতে পারি
হাহাকার পিঠে আঁকা নদীর জলজ সঞ্চারে,
নদীর আঁশাটে গন্ধে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় নেচে উঠবে
আড়ালে আবডালে !
মিত্রতায় জিয়নকাঠি দিয়ে
চুষে খেতে পারি মেধার অপূর্ব সৌর নীল!
তবু আমি কিছুতেই পাবলো নেরুদা হতে পারবো না,
খালের ধারে মুন্ডুহীন যুবকের মৃত্যু রহস্য
নিয়ে কনিষ্ক হবে ডাকটিকিট।
বাংলা বর্ণমালার চিঠি পৌঁছবে না তার
হাঁ করে থাকা পাথুরে মুখের করুণায়,
আহত চিবুকে, পিঁপড়ে ধরা কলজে কুসুমে!
এতো কিছুর পরেও
বড়জোড় একটা শ্লথ শামুক হতে পারি, আমি
প্রতিবাদী মিছিলের প্রান্তিকায়
ঘর মুখো নিভু নিভু মানুষের দলে!
তবু আমি কিছুতেই পাবলো নেরুদা হতে পারবো না!