সে সময় বাড়ি বাড়ি চারচাকা গাড়ি ছিল না। গনপরিবহন মাধ্যমও ছিল যারপরনাই সীমিত। অনলাইন টিকিট বুকিং হতো না কোথাও। আর মানুষ তখনও বিশ্বাস করেনি যে “তুমি আর আমি আর আমাদের সন্তান এই আমাদের পৃথিবী”। ফলত তখনও পাড়ার ইয়াং ছেলেপিলেরা শীতকালে আয়োজন করত এক রাত্রি দুই দিন দীঘা ভ্রমণের। একদিন আয়ু বাড়ালে বাসের চাকা পুরীতে গিয়ে ঠেকত। কিংবা দেওঘর, রাজগীর বা চাঁদিপুরে। আর হ্যাঁ তখনও দীঘায় ঝাউ ওরফে ক্যাসুরিনার বাড়বাড়ন্ত ছিল এবং পুরী থেকে ঘরে আসত বুটিদার অ্যালুমিনিয়ামের থালা এবং রঙিন ছড়ি।
মাসখানেক আগে থেকেই ক্যাম্পেন শুরু হয়ে যেত পাড়ায়। মুখার্জি বাবু, বোস বাবু, সেন কাকা মিটিং ডেকে প্রস্তাব ফেলে দিত সবার সামনে। ন্যূনতম খরচ খরচার হিসেব। রান্নার ঠাকুর, বাজার ঘাট, পথের জলখাবার, হোটেল, বাস বুকিং – এসব পর্ব মিটত একে একে। সপরিবার সমীর দা’র শালা কিংবা আল্পনা বউদির ছোটো বোন এসে হাজির হত কয়েকদিন আগেই। অবশেষে এসে পড়ত শুভ দিন। লাক্সারি বাসে চাপার আনন্দ। কিভাবে নব ঘুরিয়ে সিট বাঁকানো হয় দেখে নিতাম সবার প্রথমে।