গল্পেরা জোনাকি -তে রঞ্জিনী ব্যানার্জী

বাসন্তী পোলাও

সারাদিন দুজনের তুমুল ঝগড়া হয় সুমনা আর পরিমলের, বিয়ের পর থেকে চলেই আসছে। বিলাস-ব্যসনের কোনো অভাব নেই বাড়িতে তবুও কেউ কারোর জায়গা একটুও ছাড়তে রাজি নয়! আজ সুমনা ঠিক করেছে, নিত্য দিনের এই অশান্তি থেকে মুক্তি পাবে সে! নিজেও মরবে আর পরিমলকেও শেষ করবে। আজ তাই বাসন্তী পোলাও আর কষা মাংস রাঁধলো সে আর তাতে মেশালো কড়া বিষ। চাকর বাকরদের সব ছুটি দিয়েছে আজ। সন্ধ্যেবেলা পরিমল বাড়ি ফিরল হীরের কানের দুল নিয়ে। সুমনা বড্ড খুশি, ওসব অশান্তি সব সংসারেই একটু আধটু হয়। রান্না করা পোলাও-মাংস রাস্তায় ফেলে দিল সে, সেজেগুজে বেড়িয়ে গেল বরের সাথে, আজ তারা বাইরে খাওয়া দাওয়া করবে।

অন্যদিকে, দু’দিন একবেলা মুড়ি খেয়ে কাটানো, চারজনের পরিবারের আজ খুব আনন্দ! ফুটপাতে আজ তাদের খুশির ঢল নেমেছে! পোলাও মাংস এরা কোনোদিন খায়নি। বড় বাড়িটার সামনে থেকে ওরা পেয়েছে আজ এই স্বর্গীয় খাবার। বড় বাড়ির বৌটা বাইরে ফেলে দিয়ে গেল। এই খেয়ে আজ তারা ভরা পেটে ঘুমোবে, শান্তির ঘুম!