প্রবন্ধে রতন বসাক

নদী ও সমুদ্রের অবদান অনস্বীকার্য যদি আয়ত্বে থাকে

আমাদের দেশের উপর দিয়ে বহু নদ-নদী বয়ে চলে গেছে। মানুষের জীবনে নদীর দান অনস্বীকার্য। নদীর উপর ভরসা করেই অনেকের জীবন চলে। এছাড়া জলের প্রয়োজনীয়তার কথা লিখে ঠিক বোঝানো যাবে না। কেননা কথায় বলে ” জলই জীবন। “

আমাদের জীবনে যেকোনো জিনিসই আয়ত্বে থাকলে তার সুফল আমরা পাই। আর আয়ত্বের বাইরে চলে গেলেই আমাদের ভুক্তভোগী হতে হয়। এমন কি জীবন নষ্টও হতে পারে। তাই নদীর যেমন অবদান আছে, ঠিক উল্টোটাও আছে আমাদের জীবনে।

বিশ্ব উষ্ণায়ন ও বর্ষার কারণে নদীগুলোর জলের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। সেই জল আয়ত্বের বাইরে চলে গেলে মানুষের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নদীর আশেপাশের এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে মাঝেমধ্যেই। এছাড়া সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলেও একই অবস্থা দেখা যায়।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেই প্রত্যেক বছর আমাদের দেশে বেশ কয়েকটা ঝড়ের আবির্ভাব হয়। সেই ঝড়ে ঘরবাড়ি গাছপালা ভাঙে ও জলের উচ্ছ্বাস বেড়ে যায়। ফলে কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনার মুখ দেখতে হয় মানুষকে। প্রকৃতির কর্মকাণ্ডকেতো আমরা থামাতে পারি না। তবে চেষ্টা করলে অনেকটাই আমরা এর ধ্বংসের হাত থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে পারি।

নদীতে মাটির বাঁধ দিয়ে নদীর জলকে আয়ত্বে রাখা হয়। কিন্তু এই মাটির বাঁধ নিচু ও কমজুরি হওয়ার জন্যই মাঝেমধ্যেই ভেঙে যায়, জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়ের কারণে। ফলে যা হবার তাই হয়, দুর্ভোগ! সরকারি তরফ থেকে যদি এই নদী বাঁধগুলোকে কংক্রিটের করে দেওয়া হয়; তাহলে সেই বাঁধগুলো অনেক টেকসই হয়।

এছাড়া বৈজ্ঞানিক উপায়ে নদী ও সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় বিভিন্ন ধরণের গাছ লাগালেও মাটিকে ধরে রাখতে পারে। দেখা গেছে এসব এলাকায় আর্থিক ভাবে কমজুরি মানুষের বসবাস। তাই তাঁদের জানকারি না থাকার ফলে আর্থিক সাহায্য ও নিজেকে বাঁচানোর উপায় ঠিক করে উঠতে পারে না। এদের যদি আমরা ও সরকারের তরফ থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই; তাহলে এদের জীবন অনেকটাই সুখের হয়।

আসুন রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আমরা সবাই নিজেদের যতটুকু পারি এদের সাহায্যে এগিয়ে যাই। বিজ্ঞানের অবদানের জন্যই, আজকাল আমরা অনেক আগেই জানতে পারি প্রাকৃতিক দুর্যোগ কখন ও কোথায় আসবে। তাই সঠিক পরিকল্পনা করে নদী বাঁধগুলোকে তৈরি করা হোক। এর ফলে উপকূলবর্তী মানুষগুলোর সাথে-সাথে আমাদের সবার ভালো হবে নিশ্চই।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।