সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে পিয়াংকী (পর্ব – ২২)

স্টেশন থেকে সরাসরি

ইংরেজি ১৫ই নভেম্বর
বাংলা ২৮শে কার্ত্তিক
সোমবার

অকারণ এত দশমিক? অপেক্ষা আর উৎসব ? দূরদৃষ্টির সাথে চশমার ভবিষ্যৎ ?

জানি না।এরা কি প্রশ্ন নাকি গোপনীয় উত্তর। জানবার সুযোগ হয়ে ওঠার আগেই উঠে গেলাম মগডালে।সুরক্ষার ওপর নজর দিতে শিখিয়েছিলেন আমার বাবা।আজও দু’পা এগোলেই চার পা পিছিয়ে দেবার জন্য তিনি লাঠিয়াল পাঠান। দুয়ার এঁটে বসে থাকব ভাবলেই কে যেন তাড়া দেয়। ঘর কিনতে জোরাজুরি করে,
ঘরবাড়ি চাঁদ উঠোন এসব কি কোনোভাবেই দশমিক রিলেটেড? প্রশ্নের মুখে পড়ে যাই ফেরবার

নদীর জন্য গচ্ছিত রাখা আধনয়া থেকে একঘটি জল তুলে বাকিটুকু নদীকেই ফেরৎ দিয়ে এসে বলি,”ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন”। কিছু কথা বলা হয় না, গাফিলতি হোক বা অনিচ্ছা। এরাই আলোর মত লেগে থাকে চোখের কোলকাজলে। সময় হলে আমি লজ্জাবাক্স খুলে তাদের উড়িয়ে দিই, প্রজাপতির পেছনে যেমন কুয়াশা ভোর ছোটে ব্যারিকেড টপকে যেমন উড়ে যায় ম্যারাথন মেয়েরা ইতুপূজার চালদূর্বায় যেমন তরতরিয়ে বাড়েন শস্যদেবী… এ সমস্ত কিছুর অনুকূলে বরাদ্দ করে রাখি ভিতরের ভাঁড়ার ঘর

এই নভেম্বরই যত নষ্টের গোড়া,এ আসলেই সাথে চলে আসে তীব্র শিরশিরানি বেহায়া বৃষ্টি আর কিছু উড়ন্ত ডানা। শামুকভাঙা অবসরে আমি পুকুরধারে চিল খুঁজি।চোঁ-চোঁ করে শুষে নিই জল।যারা এতকাল ছায়ায় বসে আশ্রয়ের গল্প লিখত আজ তারাই ফসফরাস খোঁজার জন্য মাটি খোঁড়ে। আমাকে ডাকে হাত বাড়িয়ে, দ্বন্দ্বে ভুগতে থাকি। সিদ্ধান্ত নেবার আগেই কানের কাছে ফিসফিস করে যায় শুকনো পাতা।
তুমি কোথায়…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।