কবিতা সিরিজে প্রভাত মণ্ডল
by
·
Published June 15, 2021
· Updated June 15, 2021
১| জীবননদীরগাথা
একলা কাঁদে রাতের আকাশ
স্নিগ্ধ চাঁদ আর তারা;
একলা সময় স্তব্ধ যখন মৃত্যু দেয় সাড়া।
জীবন যখন ক্লান্ত ভূমি
ফসল বপন বৃথা; বৃষ্টি আবার আনতে পারে,
মৃত্যু মুখে গাইতে পারে, জীবন নদীর গাথা।
২| সভ্যতা
লাল মিশে গেছে সবুজে,সবুজ মিশছে গেরুয়ায়;
আমরা সাদা আজন্ম হতে।
আমাদের মৃত্যু হয় রোজ,অপমানে আর বঞ্চনায়;
তবু স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখি।
প্রভাত-ফেরির গানে আমাদেরই সুর ভাসে।
গভীর হতাশা জাগে,তবুও তৃপ্ত হই বিবেকের কাছে;
প্রদীপের আলো হয়ে জ্বলি।
রঙের বেসাত হয়ে,সাদাপথে কেটে যায় জনম;
অপেক্ষা নয় উপেক্ষা করি রাঙা জ্যোতি।
সভ্যতা এগিয়ে চলে আমাদেরই রক্ত-লাশে।
৩| কালপেঁচা ও শকুন
ক্রমশ গভীর হচ্ছে রাত
কালপেঁচার চোখ বারুদের মত জ্বলছে।
ওরাও দৌড়াচ্ছে খালি পায়ে রাস্তা দিয়ে।
ওরা আজন্ম দৌড়ায় রোজ
সমতল পাহাড় নদী সাগর অরণ্য তুচ্ছ করে।
রাত্রি শেষে কালপেঁচারা ঘুমিয়ে পড়ে।
সকাল হতেই শকুনের তীক্ষ্ম দৃষ্টি
ঝাঁকে ঝাঁকে শকুন নামে পৃথিবীর প্রান্তরে।
ওরা জঞ্জাল যত পৃথিবীর ডাস্টবিনে।
ওরা কালপেঁচা আর শকুনের
পেট ভরিয়ে রাখে আজীবন গভীর কর্মযজ্ঞে।
ওরাও বারুদের মত জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
৪| গাছ ও মানুষ
ভাঙা গাছগুলো জেগে উঠেছে হঠাৎ,
পাতা গজাচ্ছে প্রতিটি শাখা-প্রশাখায়।
অভিশপ্ত ঝোড়ো হাওয়া,হেরে গেছে প্রাণের কাছে।
ভেঙে পড়া মানুষ ভেসে উঠেছে হঠাৎ,
শ্মশানের প্রতিটি ঘাটে ঘাটে অবেলায়।
চোরাস্রোতও হেরে গেছে,জীবন যুদ্ধের কাছে।
ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ রাতে শাসকের রক্তরাঙা চোখ,
ভোজালিতে চাপ চাপ রক্তের দাগও মুছে যাবে।
গাছেরা সইতে জানে,মানুষ জানে মৃত্যুকে জয় করতে।