কাব্যক্রমে প্রভঞ্জন ঘোষ
by
·
Published
· Updated
১| যত বলি
যত বলি আয়
হাত নেড়ে নটবর
বলে ওঠে- হায়।
যত বলি নে
অনুপম্ বলে ওঠে
নীচে ফেলে দে।
যত বলি দ্যাখ্
ডাঁয়ে-বাঁয়ে ঘাড় নাড়ে
তিন-দুই-এক।
যত বলি ধর
অপলক চেয়ে থাকে
দাঁড়িয়ে দোসর।
যত বলি চল
অকস্মাৎ কাঠ হয়
চরণ যুগল।
যত বলি ওরে-
হাত জুড়ে অমায়িক
বলে, ক্ষ্যামা দে রে।
খুঁটে বেঁধে নে,
বলে, আগে তুমি বলো
কোন্ চাঁদু হে।
যত বলি ঠিক
বলে ওঠে, সবকিছু
বেতাল, বেঠিক!
২। সোজাসাপটা
তার কোন মূল্য নেই?
যতবার বলতে গেছি
পাতে পেয়েছি সুক্তো
আলু-মটরের ঘুগনি
আর, নিতান্ত শাকের চচ্চড়ি।
তার কোন মূল্য নেই,
যতবার বেচতে গেছি
কানাকড়ি পেয়েছি
দু’-এক টাকার চাকতি,
নিতান্ত খুচরোর পাততাড়ি!
তার কোন মূল্যই নেই:
যতবার খেলতে গেছি
বিষন্নতা পেয়েছি,
কানাঘুঁষো টিপ্পনি
ধমক্ আর উস্কানির ফুলঝুরি।
আসলে, ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে না বললে,
আসলে, রাঙিয়ে-চাঙিয়ে না বেচলে,
আসলে, হাঁইফাঁই করে না খেলাধুলো করলে-
পায়েস-পরমান্ন নেই,
নোটের বান্ডিল নেই
সমুদ্যত হাততালি নেই———
আসলে, সোজাসাপটার
কোন মূল্যই নেই!