সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে প্রদীপ গুপ্ত (পর্ব – ২৩)

সুন্দরী মাকড়সা

— কী ভাবছো ঋষি?
স্নেহা ঋষির কাঁধ ধরে ঝাঁকানি দিলো।
— উঁ, না ভাবছি না মেলাচ্ছি। অঙ্কটা মিলতে এসেই কেমন জানি ফের জট পাকিয়ে যাচ্ছে। আটে আটে ষোল না হয়ে খন্ডৎ ত হয়ে যাচ্ছে। আর একটা বিদঘুটে ডাক বাড়িটা জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
— কি আবোলতাবোল বকছো। কথার কোনো মাথামুণ্ড নেই। কিসের খন্ডৎ ত! আর ডাকটাই বা কোথায়? কে ডাকছে?
— কান পেতে শোনো, শুনতে পাবে। বেড়ালটা বাড়ির চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে কেঁদে বেড়াচ্ছে। ও নিশ্চয়ই কিছু একটা বলতে চাইছে স্নেহা।
— শোনো, বাজে কথা রাখো। তুমি ভুলে যেওনা যে আমি একজন মহিলা। স্বাভাবিকভাবেই তোমার চাইতে আমার নার্ভের জোর অনেকটাই কম। যেখানে তুমি আমাকে গার্ড দেবে, সাহস জোগাবে, সেখানে উলটে তুমিই আমায় ভয় ধরিয়ে দিচ্ছ। আমি কি তোমার কথা শুনে তোমার বাড়ি এসে ভুল করেছি ঋষি?

এতক্ষণে যেন ঋষির হুশ ফিরলো। ও স্নেহার দিকে ফিরে ওর দুচোখের ওপর চোখ রাখলো।
— আ এ্যাম স্যরি স্নেহা। এক্সট্রিমলি স্যরি। আমি আগামীকালই এ বাড়ি ছেড়ে দেবো। এ বাড়িতে থাকলে আমি জাস্ট পাগল হয়ে যাবো। কেউ আমাকে অনেক কিছু জানাতে চাইছে পাগলের মতো। আর অন্য কেউ আমাকে এখান থেকে চলে যেতে বলছে। একটা জিনিষ আমার কাছে পরিষ্কার যে কেউ একজন খুন হয়েছেন। আর সেই খুন হওয়া…

হঠাৎ বেড়ালটা চিৎকার করে ডেকে উঠলো। ওরা দুজনেই দৌড়ে জানালার কাছে গিয়ে দেখতে পেলো বেড়ালটাকে কেউ একজন ভারী কিছু একটা দিয়ে আঘাত করেছে আর বেড়ালটা, যেখানে সেই কংকালের হাতটা ছিলো সেখানে শুয়ে পড়ে কাৎরাচ্ছে আর চিৎকার করে কাঁদছে।
ঋষির কেমন যেন মনে হলো, ওটা কোনো বেড়াল না, ওটা একজন মহিলা।

ক্রমশ…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।