ক্যাফে কাব্যে পৌলমী ভট্টাচার্য্য

সরাসরি মা ভিটে থেকে
পুষ্টিবর্ধক আঙুলগুলো লালশাকের মতো লতানো। জলে ঢাকা পিঠ টুপ করে ডুবে ফের উঠেছিল কিন্তু জানতো না পোড়া কয়লার মতো রাঙা হবে কাম।
মৈথুনের সাথে ক্যাপসিকাম আর পেঁয়াজ দিয়ে কামড় বসাবে আঙুল খ্যাপানো দাঁত। দালান পেরোনো বীর্য-ফোয়ারা ওঠা-নামা করে ছন্দে ছন্দে মৌসুমী ঢঙে,
উল্টে পাল্টে সেঁকছে কেউ পরিণত তন্বীকে।
কাঠগোড়ায় ন্যাকা বউয়ের মত গীতা ঘোমটা টেনে বলে –
ছাতি কো নজর সে মিলাও মেরি জান্ ।
সামনে চকচকে উত্তেজনায় কাবু পরাগদন্ড।
— আপনি কাশ্মীর বলতে কী বোঝেন? ঢোক গিলে দাঙ্গা অথবা সীমান্ত পোড়ানো উপত্যকার কথা বলবেন না নিশ্চয়ই? তথাকথিত স্বামী নামক জন্তুটি ঋতুপর্ণের ছায়াছবির নায়ক হয়ে ঠোট কামড়ে বাবার দিকে তাকায়, ক্লাসিক বয়ানে গুঞ্জন ভাসে । পাবলিক প্রসিকিউটরের চোখ ভারতবর্ষের দিকে একেবারে খাঁজে, ভাঁজে।
– লজ্জা পাচ্ছেন ! নিজেকে দেশ ভাবতে ক্ষতি কি! কান পাতলে শুনবেন দুলকি চালে অর্গাজম হয় ফার্ণ দেহে, ফ্লোরেসথাস আপনার দুই স্তন। এখনও মধ্যরাতের কন্যাকুমারী চেখে দেখি নি। ততক্ষণে যে আপনাকে ডাল হ্রদগামী যান ভাবলো তার ডটেড গন্ধ কেমন লাগলো,বলুন …
ট্রাউটের মত ছটফটে হয় তন্বীশালা, অভিজাত উপত্যকার সামনে ইলিশ হয়ে লাভ নেই। মায়ের কোল ঘেষে বলছি-
আমি নারী,
খুনি কিন্তু হাতুড়ে নই। উত্তর টু দক্ষিণ আমি ভারতবর্ষ কিন্তু পর্যটন কেন্দ্র নই , উর্বর উপত্যকা এবং ছলিয়া দক্ষিণী কুমারিকাকে নিয়ে গর্বিত হয়েছি। আতনু ডাইনিং স্পেস জোড়া সোহাগী নিসর্গকে ছেড়েছে বেজন্মা পিন কোড। খুন হওয়া ধ্যানজ অন্তরকে বিড়াল টপকে যাবে ভেবেছিলাম অনায়াসে, কিন্তু উত্তেজকহীন হওয়ায় অনুপম মেধার মশালে হাওয়ায় উড়ন্ত পতাকাকে রোমান্টিক হতে দেখেছি,
তাও ঘৃণিত জন্ম থেকে বলছি-
অন্তিম পাপের ব্লুপ্রিন্টে লেখা মানুষ জন্ম।