কবিতায় পিয়াংকী

পরম অথবা পরমাণু

সূর্য উঠল, এইমাত্র। এইমাত্র নাকি বিগত আজন্মকাল সময় ধরে ? জানা নেই সেসব। তবু, রাত পোহালে বিছানায় এসে পড়ে সম্রাটের মতো বিশালাকার এক আলো। সেই আলোর ভিতর গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসেন আমার পরম,জোনাকি। একটি বেদী। শুভ্র পাথর। ভোরে এসে কে যেন ধুইয়ে রেখে গেছে এই স্থান। কে সে? আমি নাকি আমার মতো? কে-এর সন্ধান করতে করতে সাঁকো হচ্ছে দীর্ঘ। বেদীর পাশে রাখা কাঞ্চনকন্যা আর তুলসীমঞ্জরী।

তিনি এলেন। বসলেন। ঊর্ধ্বে উত্তরীয় নিম্নে গরদধুতি। উপবীতর সুতোয় এখনো লেগে আছে পবিত্র জলবিন্দু। যিনি কৃষ্ণ তিনিই স্বয়ম্ভু, যার বাঁশিতে উত্তাল সুর তার হাতে রূদ্রাক্ষের মালা…

আধো ঘোলাটে চোখ অথবা ধনুকভুরু কিংবা কালপুরুষ জাতকের তিল-জরুল-আঁচিল —

পুরুষের গায়ে মা-মা-গন্ধ থাকে? বিপ্রতীপ বলে কেউ সাহসী হয় না হয়ত কিন্তু যদি বলি তার গায়ের ভিতর যে আধার সেই আঁধারেই আছে জন্মদাত্রীর আরেক শাখানদী তাহলে কি আমায় ঘোষণা করবেন দক্ষিণকোণের মেয়ে বলে? যদি প্রমাণসমেত হাজির করি জন্মদানের প্রক্রিয়া, বিবর্তন বলে খেদিয়ে দেবেন আমায়?
এসব প্রশ্নের উত্তর আদৌ কিছু আছে কি? এসব শুধুই সমুদ্রস্নান। ভিতরের কচুবনে ফুটে থাকা কর্কট রাশির কষ। জানি, তুমি নিশ্চিত করেছ এ মহার্ঘ্য। এই যে এত রাজ্যের পাখপাখালি এত রঙ এত নিস্তব্ধতা, এসব নিয়ে তুমি কী করো? তুমি তো সুন্দরতম এক পুরুষ, তোমার ভিতরের ঔদার্য থেকে ঝরে পড়ে ফুল, সেই ফুলে এসে বসে রঙিন প্রজাপতি।

কেউ পরমতীর্থ জানতে চাইলে আমি দেখিয়ে দিই তোমার মনের একখণ্ড অংশ।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।