• Uncategorized
  • 0

রবিবারে রবি-বার – এ মৃদুল শ্রীমানী

সন্ন্যাসী ও সুন্দরী : অভিসার কবিতার পুনঃপাঠ

“কথা” কাব্যগ্রন্থে “অভিসার” নামে একটি কবিতা লেখেন রবীন্দ্রনাথ। লেখার তারিখ ১৯ আশ্বিন ১৩০৬ অর্থাৎ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৯, এই সময় কবির বয়স আটত্রিশ। কবিতার সূচনায় আভাস দেওয়া আছে যে কবিতার কাহিনী অংশ ‘বোধিসত্ত্বাবদানকল্পলতা’ অবলম্বনে । কবিতায় উপগুপ্ত নামে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ও মথুরাপুরীর নগরনটী বাসবদত্তার জীবনের দুটি পৃথক পৃথক দিনের সম্পর্কের কথা উঠে এসেছে। দুটি দিনের মধ্যে সময়ের কিছু ব্যবধান অবশ্য ছিল। দুটি দিনেই সন্ন্যাসী এবং নগরনটী পরস্পরের কাছে আসেন। এই দুটি দিনের ঘটনা পরস্পরের সাথে গভীর ভাবে জড়িয়ে আছে। প্রথম দিনের ঘটনার সময় গভীর শ্রাবণ রজনী। আকাশ শ্রাবণের ঘন মেঘে ভরপুর। জোরে বাতাস বইছে। সেই বাতাসে নগরীর দীপ নিভেছে। সাবধানী নাগরিক দুর্যোগ আশঙ্কায় ঘরে কপাট দিয়েছে। সন্ন্যাসী মথুরাপুরীর প্রাচীরের ধারে পথেই ঘুমিয়ে ছিলেন। বোঝাই যাচ্ছে সর্বত্যাগী শান্ত স্বভাবের মানুষ তিনি। আর বাসবদত্তা, নগরনটী, চলেছিলেন অভিসারে। বিখ্যাত গণিকা বাসবদত্তার পরণে মূল্যবান পোশাক, গায়ে বহুমূল্য আভরণ। বুঝে নেওয়া সম্ভব যে গণিকাবৃত্তির মাধ্যমেই মথুরাপুরীর এই ডাকসাইটে নটী নিজের ভরণ পোষণ করেন। গণিকার কাজ নাগরিকের ইন্দ্রিয় পরিতৃপ্তি। তার মধ্যে বাসবদত্তা নগরীর সেরা নটী। তার ঘরে কাস্টমারের অভাব হবার কথা নয়। এই মাপের ব্যক্তিদের স্থান তো নগরের সেরা এলাকায় হবার কথা। তাহলে নগরের নটী ঝড় ঝঞ্ঝার আশঙ্কা মুখর শ্রাবণ রজনীতে প্রদীপ হাতে কেন সীমানার কাছে যাচ্ছেন? এসব প্রশ্ন অবশ্য কবিতায় আসে নি। বাসবদত্তা অভিসারে চলেছিলেন, তাঁর পেশাগত পরিচয়কে উপচে গিয়ে যে হৃদয় মন সম্পন্ন মানুষটা, সে বুঝি ঝড় জলের ভ্রূকুটি উপেক্ষা করে মনের মানুষের খোঁজে চলেছিল। এবং চলেছিল একা। সাথে প্রদীপটি ধরার লোক পর্যন্ত নেই। সেই রকম ডাকসাইটে নগরনটী শ্রাবণের ঘনমেঘাচ্ছন্ন সন্ধ্যায় প্রদীপ হাতে চলেছিলেন অভিসারে। নটীর কি মন থাকতে নেই? বারবিলাসিনী বলেই কি সে সর্বদা কাস্টমারের খিদমতগারি করবে? বাসবদত্তা প্রদীপ হাতে আসন্ন দুর্যোগের আশঙ্কাপূর্ণ রাতে অভিসারের পথে। যাঁরা নিয়মিত মূল্য দিয়ে বাসবদত্তার মতো হাই প্রোফাইল গণিকার সঙ্গসুখ পান, তাঁরা নিশ্চয় নাগরিক সমাজের অগ্রগণ্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। বিদ্যায় বুদ্ধিতে কাঞ্চন কৌলীন্যে তাঁরা নিশ্চয় সমাজের শিরোভূষণ। অভিসারিণী বাসবদত্তা নগর প্রাচীরের কাছ ঘেঁষে যে পথে হাঁটছিলেন, সেখানেই শুয়েছিলেন সন্ন্যাসী উপগুপ্ত। ক্লান্ত সন্ন্যাসীর কি ঘুমে দু চোখের পাতা জড়িয়ে ছিল? না কি চোখের পাতায় খেলা করছিল কোনো মানুষী স্বপ্ন? বার বিলাসিনীর নূপুর পরা পা খানি ঠেকল একেবারে সন্ন্যাসীর বুকে। অভিসারে চলেছিল যে মেয়ে, পেশাগত পরিচয়ে সে রূপোপজীবিনী হলেও, মনের মানুষের টানে যে মেয়ে ঝড় বাদলের রাতে একলাটি বেরিয়ে পড়তে পারে, তার অন্তরের আকুলতা কল্পনা কাজলে সহজেই এঁকে নিতে পারি। বুকে নূপুর পরা পায়ের ছোঁয়া লাগতেই সন্ন্যাসী সুপ্তি ভেঙে চমকে উঠলেন। তাঁর চোখ জুড়ে যে স্বপ্নমায়া ছিল, তা পলকে উধাও । কিন্তু সন্ন্যাসীর অন্তরভরা প্রীতি মমতা। যে তাঁর বুকে পা রেখেছে, তার প্রতিও তিনি ক্ষমাসুন্দর। বস্তুতঃ অপরিমাণ করুণা ও ক্ষমাই উপগুপ্তকে সুন্দর করেছে। কার বুকে তুই পা রাখলি, মেয়ে বুঝি নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে। প্রদীপটির আলোয় ভালো করে দেখতে চাইল কোন সে পুরুষ, অজ্ঞাতে যাঁর বুকে পা দিয়ে ফেললেও তাঁর প্রীতি ও করুণার অভাব নেই? বাসবদত্তা তার মেয়ে অস্তিত্ব নিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে চায় পথপ্রান্তে শয়ান পুরুষটিকে।কি দেখল সে মেয়ে? এমন পুরুষ যেন জীবনে কখনোই দেখে নি সে। সন্ন্যাসীর নবীন বয়স। দেহ গৌরবর্ণ। শরীর জুড়ে একটি সৌম্য ভাব। মুখমণ্ডলে একটি স্নিগ্ধ শান্ত ভাব চাঁদের আলোর মতো খেলা করছিল। স্মিত দুটি চোখে জগৎ জীবনের প্রতি অপার করুণা। মেয়ে ভুলে গেল কাকে সে চেয়েছিল, কাদের কে সে সঙ্গ দিয়েছে। বাসবদত্তার মনে হল এই তো সেই পুরুষ যাঁকে মেয়েরা জন্ম জন্ম ধরে প্রার্থনা করে এসেছে। লজ্জানত চোখে বাসবদত্তা সন্ন্যাসীকে মিনতি করে বললো, তুমি আমার ঘরে চলো, পথে শুয়ে থাকা তোমার মতো উন্নত মানুষকে মানায় না।উপগুপ্ত যেন মনের কথা পড়তে পারেন। যৌবনমদে মত্তা বাসবদত্তার মেয়ে মনের আকাঙ্ক্ষাটি বুঝে নিতে বিন্দুমাত্র দেরি হয়নি সন্ন্যাসীর। কিন্তু উপগুপ্ত যে নিজেকে জয় করেছেন। শারীরিক সুখভোগ, কামনা বাসনাকে তুচ্ছ করেই সন্ন্যাসমার্গ। ভিতরে ভিতরে কঠিন ও কঠোর আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকেন একজন প্রকৃত সন্ন্যাসী। অথচ বাইরে এই কঠিন কঠোর মনোভাবের কোনো প্রকাশ নেই উপগুপ্তের। করুণা ও স্নিগ্ধতায় তিনি বাসবদত্তাকে বললেন যে সেই মেয়ের আহ্বানে নিশ্চয় তিনি সাড়া দেবেন, স্বেচ্ছায়, স্বতঃস্ফূর্তভাবেই সাড়া দেবেন। কিন্তু তার সময় এখনো আসেনি। এই যে কথাটা হল দুজন মানুষের মধ্যে, যাঁদের একজন পুরুষ আর একজন নারী, তাঁদের মধ্যে পূর্ব পরিচয় ব্যতিরেকেই দেখা হল এবং সামান্য দুটি কথা হল । তাতে দুজনেরই হৃদয় প্রকাশ পেল। এ একেবারেই ব্যক্তি মানুষের মনের আদান প্রদান। এতে বাইরের পরিবেশে কোনো প্রভাব পড়ার কথা নয়। কিন্তু একেবারেই যেন আলংকারিক ভাবে বাইরের প্রকৃতি সন্ন্যাসীর সাথে রূপোপজীবিনীর কথায় সাড়া দিল। কবিতায় দেখতে পাচ্ছি সন্ন্যাসী যেই মাত্র বললেন, মেয়ে, তুমি যেখানে যাচ্ছ যাও, এখনো আমার সময় হয় নি। সময় হলে নিজেই তোমার কাছে পৌঁছাবো; এই প্রেক্ষিতেই বিপুল গর্জনে বিদ্যুৎশিখা সমেত ঝড় নেমে এল। বাতাসে ঝড়ের বিকট আওয়াজ। আকাশে তীব্র সশব্দ বজ্র ঝলক দেখা গেল। বাসবদত্তা প্রকৃতির রুদ্ররোষ দেখে ভয়ে কেঁপে উঠলো। বলা দরকার যে বজ্র বিদ্যুৎ ঝড় ঝঞ্ঝা সকলি কতকগুলি ভূ প্রাকৃতিক বাস্তব ঘটনা, যার কারণগুলি পদার্থবিদ্যার নিয়মকানুন দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়। কিন্তু মানুষের মনোভাব মতপ্রকাশের সাথে প্রাকৃতিক ঘটনার কিছুমাত্র যোগসূত্র নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের মনের উপর প্রভাব ফেললেও মানুষের মতপ্রকাশ প্রাকৃতিক ঘটনার উপর কিছুমাত্র প্রভাব বিস্তার করতে পারে না । ওই যে উপগুপ্তের কথার প্রতিক্রিয়ায় প্রকৃতি অমন ঝামরে উঠলো, ওর মানেটা সম্পূর্ণ ভেতরের দিকে। সেটা অভিসার কবিতার দ্বিতীয় অংশে কবি খোলসা করেছেন। উপগুপ্তের সাথে সেই শ্রাবণ রাতে পথের মাঝখানে হঠাৎ পরিচয়ের ছয়মাস বাদে সম্পূর্ণ একটা ভিন্ন পরিবেশে দুজনের পুনরায় দেখা হবে। প্রথম দেখার সময়টা ছিল বর্ষাকাল। যৌবনমদে মত্তা অভিসারিকার প্রিয় শ্রাবণ মাস। আর পরবর্তী দেখা হল চৈত্র সন্ধ্যায়। সেটা বসন্ত ঋতু। প্রেমের প্রকাশ্য হুল্লোড়ে ভেসে যেতে চায় প্রকৃতি। মাঝে মাত্র ছয়টি মাসের ফারাক। প্রথম দেখার দিনে প্রকৃতি ছিল করালবদনা। বাতাস ছিল বিপ্রতীপ। আর আকাশ ছিল কালিগোলা অন্ধকার মাখা। চৈত্রসন্ধ্যাটি দেখা দিল মনোরম বেশে। গাছে গাছে প্রকৃতি কথা কয়ে উঠেছে মুকুলের ভাষায়। বাগানে সুবাস ঢেলেছে জানা অজানা কত সে ফুল। কোথা থেকে সুমধুর বাঁশির শব্দ ভেসে আসে। মথুরাপুরীর নাগরিকেরা মধুমাসে ফুল উৎসবে গিয়েছে। মিল শুধুমাত্র একটুকু। সেদিন ঘন ঘোর বাদল রাতে নাগরিকের দরজা বন্ধ ছিল। আজ চৈত্রসন্ধ্যায় পৌরজন গিয়েছে বসন্ত পূর্ণিমা পালনে। নগরীর পথ আজও জনহীন। সেদিন অভিসারে বেরিয়েছিলেন নগরীর সেরা বারবিলাসিনী। আর আজ অভিসারে বেরিয়েছেন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী। সন্ন্যাসীর অভিসার যাত্রায় মঙ্গল ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে বসন্তের কোকিল। তাঁর যাত্রাপথ আমোদিত করে তুলেছে আমের নবাগত মুকুল। আর জ্যোৎস্নাধারা হয়ে চাঁদ ঢেলেছে আলো। নগরের বাহিরেই কি তবে অভিসার? প্রথম দেখা যেদিন হয়েছিল, সেদিনও নগরীর বাহিরেই চারচক্ষুর মিলন। আজ মধুমাসে দ্বিতীয় মিলনও নগরীর বাইরে, প্রাচীর পেরিয়ে সুরক্ষা বলয় পরিখার পারে। দেখা হবে কোন বরাঙ্গনার সাথে। এইবার কবিতার একটি মোক্ষম মোচড়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। আমরা সন্ন্যাসী উপগুপ্তকে জানি জিতেন্দ্রিয় পুরুষ হিসেবে। বাদলের সেই ঘন ঘোর রাতে সদ্যপরিচিত সন্ন্যাসীকে ঘরে নিয়ে গিয়ে অভ্যর্থনা করতে আকুল হয়েছিল নগরীর শ্রেষ্ঠ রূপোপজীবিনী । সেদিন ভারি যত্ন ও মাধুর্যের সাথে তার যৌন আবেদন প্রতিহত করেছিলেন উদারহৃদয় সন্ন্যাসী। উপগুপ্ত যে জানেন বারবিলাসিনী হলেই একটি মেয়ে ঘৃণ্য হয় না। অসামান্য করুণাবোধ থেকেই সন্ন্যাসী সর্বপ্রকার মানুষের মধ্যে সুন্দরের প্রকাশ দেখেন। সেদিন তিনি যে বলেছিলেন, এখনো আমার সময় হয় নি, যেদিন সময় হবে, সেদিন আমায় আর তোমাকে ডাকতে আসতে হবে না, আমি নিজেই তোমার সন্নিধানে আসব।আজ কি সেই রাত্রির টানে ছুটে এসেছেন সন্ন্যাসী? এতদিনে কি তাঁর টান জন্মালো নারী শরীরের প্রতি?
আমরা একটা কঠোর বাস্তবের সামনে দাঁড়িয়ে। বাসবদত্তা এই বসন্তকালে বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। সে সময় বসন্ত রোগ একটা বীভৎস ব্যাপার। বসন্ত মানেই করাল মৃত্যু। কেননা তার কোনো চিকিৎসা নেই। আর সে রোগ সাংঘাতিক ছোঁয়াচে। রোগিণীর সারা শরীর মারী গুটিকায় ভরে গিয়েছে। সে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে। ওই শরীরের প্রতিটি গুটি থেকে কালান্তক বসন্ত রোগ ছড়াবে। হিসেবি মানুষ, ঘরোয়া মানুষ পরের কারণে আত্মবলিদান করতে শেখে না। কিন্তু যথার্থ সন্ন্যাসী একেবারেই অন্য রকম। সংসারের হিসেবিপনা তাঁকে গ্রাস করে না। যে হাই প্রোফাইল গণিকার মন পেতে ধনী শ্রেষ্ঠীগণ বহুমূল্য মণিমাণিক্য কবুল করে বসেন, একান্তে সেই বাসবদত্তার পরিচর্যা করার মিনতি উপগুপ্ত জয় করতে পারেন। আমরা “উপেক্ষা” শব্দটি ব্যবহার করছি না। উপেক্ষা কথার মধ্যে যে অবহেলা আর ঘৃণা মেশান থাকে। উপগুপ্ত বারবণিতার আমন্ত্রণটি উপেক্ষা করেন নি। সম্মান দিয়েই মাধুর্যপূৰ্ণ বাক্যে জয় করেছেন। আশ্বাস দিয়েছেন যে, কোনো একদিন নিশ্চয় সময় হবে, আর সেইদিন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সন্ন্যাসী আসবেন রূপাজীবার ঘরে। আমরা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করবো যে উপগুপ্ত কথা রেখেছেন। তিনি সাড়া দিয়েছেন। যে বসন্ত রোগীকে মূর্তিমান বিভীষিকা গণ্য করে পরিজনেরা নগর থেকে অনেক দূরে পরিখার পারে ফেলে গিয়েছে, যে হতাশ্বাস মরণোম্মুখ মেয়েটির শুষ্ককণ্ঠে দু ফোঁটা জলটুকু দেবার দয়া কারো হয় না, যারা বাসবদত্তার শরীর বেচা অন্নে পরিপুষ্ট হয়েছে এই সেদিনও, বসন্ত হয়েছে বলে সেই তারাই আজ অবলীলায় অন্নদাত্রীকে ভুলে যেতে পারল। হায় রে হিসেবি মন! হায় রে মানুষের সংসার! মৃত্যু যেন মেয়েটির শিয়রে এসে দাঁড়িয়েছে। বাকরোধ হয়ে গিয়েছে। মরণ বুঝি এইবার তাকে কোলে তুলে নিয়ে চলে যাবে সমস্ত হিসেব নিকেশের ওপারে। এমন সময় সন্ন্যাসী উপগুপ্ত মেয়েটির আড়ষ্ট হয়ে যেতে থাকা মাথা পরম যত্নে কোলে তুলে নিলেন, তার তৃষ্ণা নিবারণ করলেন, নিজের সাধ্যমতো চিকিৎসা ও পরিচর্যা করলেন। সে সেবায় ছিল চূড়ান্ত আত্মনিবেদন। যত্ন ও পরিচর্যায় বাসবদত্তা বুঝি একটু হলেও চেতনা ফিরে পেল। তার দৃষ্টি তখনো ঘোলাটে। রোগের তীব্রতায় প্রাণশক্তি যুঝতে যুঝতে ক্লান্তির শেষ ধাপে। মেয়ে তার গায়ে মাথায় স্নেহস্পর্শ পেয়ে জানতে চাইল “কে এসেছ তুমি ওগো দয়াময়?”
মৃত্যুপথযাত্রিণীকে সন্ন্যাসী আশ্বাস দিলেন যে আজ রজনীতে তাঁর “সময়” হয়েছে। বললেন “এসেছি বাসবদত্তা”। জীবন মরণের দোলায় দুলতে দুলতে একটি ক্লিষ্ট প্রাণ শুনে গেল অসামান্য মনুষ্যত্বের কণ্ঠ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।