|| রোনাল্ড রস: জন্মদিনের স্মরণলেখায় || মৃদুল শ্রীমানী

রোনাল্ড রস: জন্মদিনে স্মরণলেখ
আজ চিকিৎসা বিজ্ঞানী রোনাল্ড রসের জন্মদিনে ম্যালেরিয়া রোগের সাংঘাতিক উপদ্রবের কথা স্মরণ করি।
ম্যালেরিয়া ছিল একটা ভয়াবহ রোগ। কী থেকে ম্যালেরিয়া হত, সেটাই কেউ জানত না। আর শত্রু কে, কী তার চরিত্র, জানা না থাকলে, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যায় না।
মানুষ জানত ঘিঞ্জি এলাকা, বদ্ধ জলাশয়, এ রকম জায়গায় পচা জিনিসের সংস্পর্শে বাতাস পচে ওঠে। ওই পচা বাতাস আনে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর। রোগী দুর্বল হয়ে পড়ে। মারা যায়।
খ্রিস্ট জন্মের দুহাজার সাতশ বছর আগে, চীন দেশের লোক তাদের পুঁথিপত্রে ম্যালেরিয়া ধাঁচের অসুখের কথা লিখে রেখেছে। খ্রিস্ট জন্মের একহাজার পাঁচশ সত্তর বছর আগে, মিশরীয় ও মেসোপটেমিয় প্যাপিরাসে ম্যালেরিয়া অসুখের ইঙ্গিত ছিল। এমনকি, ষষ্ঠ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের হিন্দু শাস্ত্রেও এই অসুখের বর্ণনা আছে।
আজ চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কারণে আমরা জানি, ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী হল প্লাজমোডিয়াম নামে এককোশী পরজীবী আদ্যপ্রাণী। সবচাইতে পরিচিত প্রজাতিগুলা হল, প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম, প্লাজমোডিয়াম ম্যালেরি, প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স, প্লাজমোডিয়াম ওভালে কার্টেসি, প্লাজমোডিয়াম ওভালে ওয়ালিকেরি ও প্লাজমোডিয়াম নলেসি। পি ফ্যালসিপেরাম যে ম্যালেরিয়া ঘটায়, তাতে কুইনাইন ওষুধ কাজ করে। বহু আগে থেকেই বলিভিয়া, পেরু, এবং ইকুয়েডর নামে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলির আদিবাসী মানুষ যাঁরা কেচুয়া জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত, তাঁরা সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে তৈরি এক ধরনের আরক পান করে কাঁপুনি দিয়ে আসা জ্বর ঠেকাতো। স্পেনীয় জেসুইট ধর্মপ্রচারকেরা কম্প দিয়ে জ্বর ঠেকাতে কেচুয়া জনগোষ্ঠীর এই ঐতিহ্যগত শিক্ষা লক্ষ্য করে ইউরোপে সিঙ্কোনা গাছ নিয়ে আসেন। এই ধর্মপ্রচারকদের মধ্যে অগাস্টিনো সালুমব্রিনোর নাম উল্লেখযোগ্য। ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লস যখন সপ্তদশ শতাব্দীর শেষে কুইনাইন সেবন করে ম্যালেরিয়া থেকে রেহাই পেলেন, তখন তা লণ্ডনে জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
ঠিক কিভাবে, কি করে, কুইনাইন সেবন করতে হবে, তা আবিষ্কার করেছিলেন চার্লস ম্যারি দে লা কনডামাইন। সেটা ১৭৩৭ সাল। সিঙ্কোনার ছাল থেকে কুইনাইনকে নিষ্কাশন করে দেখিয়েছিলেন ফরাসি গবেষক পিয়ের জোসেফ পেলেটিয়ার এবং জোসেফ বিয়েনাইমে ক্যাভেনটাউ।
কিন্তু ম্যালেরিয়া কি করে সারে, তা জেনেই বিজ্ঞানীর শান্তি হল না। বিজ্ঞান তো জানতে চাইল কেন, কোন্ উৎস থেকে কিভাবে ম্যালেরিয়া হচ্ছে। অসুখের বিবরণ জানা হল। তার সঙ্গে শুরু হল শত্রুর খোঁজ খবর নেওয়া।
ম্যালেরিয়া যে দেবতার ক্রোধ নয়, অভিশাপ নয়, এর পিছনে কোনো জাগতিক কারণ থাকতে পারে, সেটা আন্দাজ করা হল আন্তনি ভ্যান লিউয়েন হকের আবিষ্কারের সূত্রে। ১৬৫৭ সালে লিউয়েন হক নিজের হাতে বানানো অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে লক্ষ্য করেছিলেন, পুকুরের জল আর বৃষ্টির জল। তন্ন তন্ন করে দেখেছিলেন, পচা জলের ভিতর কারা সব নড়াচড়া করে।
আমরা ওই জীবগুলিকে এককোশী প্রাণী, আদ্যপ্রাণী, প্রোটোজোয়া এবং ব্যাকটিরিয়া হিসেবে চিনি। ক্রমে ক্রমে জানা গেল, কলেরা, সিফিলিস, কুষ্ঠ, যক্ষ্মা, ধনুষ্টঙ্কার এবং প্লেগের মতো কঠিন কঠিন অসুখের জন্য দায়ী হচ্ছে ব্যাকটিরিয়া। তারই অনুষঙ্গে ম্যালেরিয়া ঘটানোর জন্য দায়ী কোন্ আদ্যপ্রাণী তার খোঁজ পড়ল।
এই সূত্রে ভারতে জন্মিনো, এবং ভারতে কর্মজীবন কাটানো চিকিৎসা বিজ্ঞানী রোনাল্ড রসের নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
সেই সময়টা ভারতে সিপাহী বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। মে মাস, ১৮৫৭ সালের একেবারেই গোড়ার দিকে সিপাহী বিদ্রোহ দেখা দেয়। আর ওই সময়েই ১৩ মে, ১৮৫৭ সালে, উত্তর পশ্চিম নেপালের লাগোয়া কুমায়ুন পাহাড়ের আলমোড়া শহরে ক্যাম্পবেল ক্লে গ্র্যান্ট রস ও মাটিল্ডা শার্লট এল্ডারটনের কোলে জন্মেছিলেন তাঁদের দশটি সন্তানের মধ্যে সবচাইতে বড়টি, রোনাল্ড রস। বাবা ছিলেন ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান আর্মির উচ্চপদস্থ অফিসার। র্যাঙ্ক ছিল জেনারেল। আট বছর বয়স হতেই বাবা মা রোনাল্ডকে ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। শৈশব থেকেই তাঁর মনে সুকুমারবৃত্তি, কবিতা ও সংগীত ভালবাসা, সাহিত্যপাঠে অনুরাগ ও চিত্রাঙ্কনে আগ্রহ জন্মায়। এছাড়া, তাঁর গণিতেও প্রগাঢ় আগ্রহ ছিল।
রস চেয়েছিলেন, লেখক হবেন। বাবা তা চাননি। ১৮৭৪ সালে ১৭ বছর বয়সে বাবা তাঁকে লণ্ডনের সেন্ট বার্থলোমিউ হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে দিলেন। ডাক্তারি পড়তে রসের খুব একটা ভাল লাগত না। ইচ্ছে করত কবিতায় ডুবে যেতে। তারপর, ইংল্যাণ্ডের রয়্যাল কলেজ অফ সার্জনস এ পরীক্ষায় পাশ করলেন। ১৮৮১ তে আর্মি মেডিক্যাল স্কুলে চারমাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে ১৮৮১-র ৫ এপ্রিল তারিখে ইণ্ডিয়ান মেডিক্যাল সার্ভিসে যোগদান করলেন। কয়েক মাস পর ২২ সেপ্টেম্বর, ১৮৮১ তারিখে তিনি ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১৮৮৩ সালে বাঙ্গালোরে পোস্টেড থাকার সময়, তাঁর মনে হয়, মশাকে জলের কাছে না যেতে দিলে বোধহয় কিছু ভাল হতে পারে। তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন স্কটিশ চিকিৎসা বিজ্ঞানী স্যর প্যাট্রিক ম্যানসন।
ম্যানসন ছিলেন অসাধারণ মানুষ। বহুমুখী প্রতিভা। মাস্টার অফ সার্জারি, ডক্টর অফ মেডিসিন, এর পাশাপাশি তিনি আইন বিষয়েও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি আবিষ্কার করেছিলেন, মশার দ্বারা ফাইলেরিয়াসিস নামে একধরনের রোগ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। কিউলেক্স পিপিয়েন্স নামে মশা মানুষের মধ্যে এই রোগ ছড়ায়। স্যর প্যাট্রিক ম্যানসনকে ফাদার অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন হিসাবেও চেনানো হয়। তিনি মশার সঙ্গে ম্যালেরিয়ার কোনো একটা যোগসূত্র থাকতে পারে, তা আন্দাজ করেছিলেন।
লণ্ডনে গিয়ে ১৮৯৪ সালের ১০ এপ্রিল তারিখে রোনাল্ড রসের সঙ্গে স্যর প্যাট্রিক ম্যানসন এর প্রথম সাক্ষাৎ হয়। এবং চৌত্রিশ বছর বয়সের প্রতিভাবান চিকিৎসক রোনাল্ড রসকে তিনি ভারতে কাজ করে মশার ব্যাপারে বিস্তৃত অনুসন্ধানে উদ্বুদ্ধ করেন।
রোনাল্ড রস আবার ভারতে ফিরতে জলযাত্রা শুরু করলেন ২০ মার্চ ১৮৯৫ তারিখে। এবং মাসখানেক যাত্রার পর ২৪ এপ্রিল তারিখে তিনি সেকেন্দ্রাবাদে এসে পৌঁছালেন। জাহাজঘাটায় নেমেই তিনি দৌড়ালেন হাসপাতালে, ম্যালেরিয়া রোগী দেখবেন বলে। অল্প কদিনের মধ্যে ১৮৯৫ সালের মে মাসে তিনি ধরে ফেললেন, মশার পেটের ভিতর ম্যালেরিয়ার বীজ বাড়তে থাকে। অনেক উথাল পাথালের পর, ১৮৯৭ সালে ২০ আগস্ট তিনি রক্তপান করা স্ত্রী মশার ব্যবচ্ছেদ করে সেখানে ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী পরজীবী প্রাণীর অস্তিত্ব প্রমাণ করেন।
এই আবিষ্কারটি ১৮৯৭ সালের ২৭ আগস্ট ইণ্ডিয়ান মেডিক্যাল গেজেটে প্রকাশিত হয়। এবং আরো কিছুদিন পর ডিসেম্বর ১৮৯৭ তে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়। ১৮৯৮ এর ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেনারেল হসপিটালে (অধুনা এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ) কাজে যোগদানের সুযোগ পান। এই সুযোগ করে দিতে তাঁর গুরু স্যর প্যাট্রিক ম্যানসন এর ভূমিকা ছিল।
নইলে এর আগে বিভিন্ন প্রতিকূল জায়গায় পোস্টিং পেয়ে তাঁর গবেষণা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়ে ছিল। ১৮৯৩ তে রোনাল্ড ইণ্ডিয়ান মেডিক্যাল সার্ভিস থেকে পদত্যাগ করে ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়ে লিভারপুল স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন।
ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী পরজীবী প্রাণীর জীবনচক্র আবিষ্কারের জন্য ১৯০২ সালে রোনাল্ড রসকে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। কিন্তু রস পাখির মধ্যে কোন্ আদ্যপ্রাণী ম্যালেরিয়া ঘটায় তা দেখাতে পেরেছিলেন। এদিকে ওই একই সময়ে জিওভান্নি বাতিস্তা গ্রাসি নামে একজন ইতালীয় চিকিৎসক প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম, প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স ও প্লাজমোডিয়াম ম্যালেরি এই তিনটি প্রজাতির আদ্যপ্রাণী যে স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার অন্ত্রে বসবাস করে মানুষের শরীরে ম্যালেরিয়া ঘটায়, তা আবিষ্কার করেছিলেন।
নোবেল কমিটি রস ও গ্রাসি, এই দুজনকেই সম্মানিত করতে চেয়ে যৌথভাবে পুরস্কৃত করবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু রবার্ট কখের ভূমিকায় গ্রাসির পুরস্কার পাওয়া হয়ে ওঠে নি। বরং ঠগবাজ অভিধা জুটেছিল।
ম্যালেরিয়া কিভাবে মহামারী হয়ে ওঠে, তা নিয়ে রস গাণিতিক মডেল তৈরিতে অবদান রেখেছেন। ১৯০৮ সালে, রস এই কাজে প্রবৃত্ত হধ এবং ১৯১০ সালে ম্যালেরিয়ার প্রতিকার বিষয়ে লেখা একটি বইতে তিনি এই বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে লিখেছিলেন। এই গবেষণাকে গাণিতিক ভিত্তি দিয়ে দাঁড় করানোর পর ১৯১৫ এবং ১৯১৬ সালে রয়্যাল সোসাইটি তা প্রকাশ করে।
এইসব গবেষণা শুধুমাত্র মহামারীর প্রতিরোধ করানোতে সীমিত থাকে নি। বরং বিশুদ্ধ গণিত ও ফলিত গণিতেও তাঁকে অবদান রাখতে সাহায্য করেছে।
১৮৯৭ সালে রোনাল্ড রস যে আবিষ্কার করলেন, তাকে সম্মান জানিয়ে ২০ আগস্ট তারিখে আন্তর্জাতিক মশক দিবস পালন করা হয়।
স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়ার পরজীবী নিজের অন্ত্রে বহন করে। একজন ম্যালেরিয়া রোগীকে কামড়ে রক্তপান করে তবেই স্ত্রী মশা এই পরজীবী প্রাণীটি নিজের অন্ত্রে ঢোকায় । বলা ভাল, পরজীবী প্রাণীটিই স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশাকে ব্যবহার করে। পুরুষ মশা রক্তপান করে না। একমাত্র স্ত্রী মশাই ডিম পাড়ার সুবিধার জন্য অতিরিক্ত পুষ্টি পেতে চেয়ে রক্তপান করে।
তারা তাদের মুখের উপাঙ্গকে এজন্য কাজে লাগায়। এই উপাঙ্গটি অত্যন্ত বিকশিত এবং রক্তপানে মশাকে সহযোগিতা করতে বিশেষ ভাবে তৈরি। এই উপাঙ্গ দিয়ে তারা প্রাণীর ত্বক বিঁধতে পারে এবং রক্তশোষণ করতে পারে। মশা ওড়ার সময়ে উপাঙ্গটি ভিতরে গুটানো থাকে। প্রাণীর গায়ে বসলে তখন তারা ওটি বের করে। রক্তপানের সময়ে মশা তার লালা ওই প্রাণীর দেহে কামড়ের জায়গায় ঢুকিয়ে দেয়। যাতে রক্ত উপাঙ্গের ভিতর জমে না যায়, সেই তঞ্চনরোধী কাজ করার জন্য এই লালা বিশেষভাবে তৈরি।
প্লাজমোডিয়াম পরজীবী স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার লালাগ্রন্থিকে ব্যবহার করে। মশার কামড় ছাড়াও ম্যালেরিয়া ছড়াতে পারে। মা থেকে গর্ভস্থ শিশুতে ম্যালেরিয়া ছড়াতে পারে। এছাড়া রক্তসঞ্চালন ও ইঞ্জেকশনের সূঁচের মাধ্যমেও এই পরজীবী ছড়াতে পারে।
একবার এই পরজীবী মশার কামড়ের মাধ্যমে মানবশরীরে ঢুকলে তা তার যকৃতে আশ্রয় নেয়। এবং তা রক্তের লোহিত কণিকাকে সংক্রমিত করে। এই সময়ে ম্যালেরিয়ার লক্ষণগুলি প্রকটিত হয়। এই রকম মানুষকে মশা কামড়ে দিলে তার শরীর থেকে মশার শরীরে পরজীবী প্রাণীর প্রবেশ ঘটে। ২০২১ সালে সারা পৃথিবীতে ২৪৭ মিলিয়ন সংখ্যক ব্যক্তি ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এটা ২০২০ তে ছিল ২৪৫ মিলিয়ন সংখ্যক। ২০২০ তে ৬২৫০০০ জন মানুষ ম্যালেরিয়া তে মারা গিয়েছেন বলে মনে করা হয়। ২০২১এ মৃত্যুর হার সামান্য একটু কমে হয়েছে ৬১৯০০০। ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী পরজীবী গুলির মধ্যে ফ্যালসিপেরাম আর ভাইভ্যাক্স সবচাইতে ভয়ংকর। ফ্যালসিপেরামের কারণে যে ম্যালেরিয়া হয়, তার চিকিৎসার শুরু না হলে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু ঘটতে পারে। মশার বংশবৃদ্ধির মতো পরিবেশ না রাখা এবং মশাকে কামড়ানো থেকে আটকানো হল ম্যালেরিয়া রুখবার সেরা পথ।